শুক্রবারে যোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে। প্রথমে ৪ রাকাত কাব্লাল জুমা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা , তারপর জুমার ফরয দুই রাকাত এবং এরপর ৪রাকাত বাদাল জুমা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
৪ রাকাত কাব্লাল জুমা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা’র নিয়ত এভাবে করা যায় – ৪রাকাত কাব্লাল জুমার নামাজের নিয়ত করছি। জুমার ২রাকাত ফরয নামাজের নিয়ত এভাবে করা যায়- জুমার ২ রাকাত ফরয নামাজের নিয়ত করছি।
৪রাকাত বাদাল জুমার নামাজের নিয়ত এভাবে করা যায় – আমি ৪রাকাত বাদাল জুমার নামাজের নিয়ত করছি। হযরত আবু লুবাবা ইবনে আবুল মুনযির ( রাঃ ) বর্ণনা করেন,আমি রাসুল(সাঃ ) কে বলতে শুনেছি – জুমার দিন সমস্ত দিনের সর্দার,আল্লাহতাআলার নিকট অন্য সব দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত।
এই দিন আল্লাহ তাআলার নিকট ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা অপেক্ষা অধিক মর্যাদাবান। এই দিনে ৫টি ঘটনা ঘটিয়াছে। এই দিনে আলাহ তাআলা হজরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন। এই দিনেই তাহাকে জমিনে নামায়েছেন এবং এই দিনেই তাহাকে মৃত্যু দিয়াছেন। এই দিনে এমন এক মুহূর্ত আছে যে সেই মুহূর্তে বান্দা আল্লাহ তাআলার নিকট জা চাইবে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাহাকে তা দিবেন। শর্ত হল কোন হারাম জিনিস না চায়।
এই দিনে কেয়ামত কায়েম হইবে। সব নৈকট্য প্রাপ্ত ফেরেশতা, আসমান, জমিন, হাওয়া, পাহাড়, সমুদ্র সকলেই জুমার দিনকে ভয় করে। কারন জুমার দিনেই কেয়ামত সংঘটিত হইবে।
হযরত আউস ইবনে সাকাফি (রাঃ) বলেন,আমি রাসুল(সাঃ) কে এরশাদ করিতে শুনিয়াছি- যে মুসলমান জুমার দিনে উত্তমরূপে গোসল করিয়া অতি প্রত্যুষে মসজিদে যায়,পায়ে হাঁটিয়া যায়, সাওয়ারিতে আরোহণ করেনা, ইমামের নিকটবর্তী হইয়া বসে এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শ্রবন করে, খুতবার সময় কোন কথা বলেনা,তবে সে জুমার জন্য যত কদম হাঁটিয়া আসে তার প্রতি কদমের জন্য সে এক বছর রোজা রাখার সওয়াব এবং এক বছর রাতে ইবাদত করার সওয়াব লাভ করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪