একদিন খুব উচ্ছ্বাসে, কবিতার বদলে
দূরালাপনীতে ইচ্ছের লম্বা ফর্দে
সাগর দেখার যে বায়না ছিল
আজ তা মুছে ফেলেছি নোনা জলে।
ভয় নেই,
বরাবরের মত আর
তোমাকে কোন দোষারপ নয়;
সাগরের সাথে এতো প্রবল অন্তঃমিল
লুকায়িত ছিল আমারই মাঝে-
কেবল বুঝলাম সেদিন।
তীরে দাঁড়িয়ে হয়ত দেখা যেত
রাশি রাশি জল,
শোনা যেত ঢেউয়ের তীব্র গর্জন;
তবে আমার চোখেও আছে অসীম সমুদ্র
কখনো তোমার হেলাফেলায়
তোমারই অগোচোরে তা ছলকে উঠে
অব্যক্ত কথামালা আছড়ে পরে অনুক্ষণ।
নুড়িগুলো ঢেউয়ের আঘাতে ভাসে, ডুবে
ক্রমাগত এক সময় দুরে চলে যায়
আমি সেই ছোট্ট নুড়ি যেন
বারংবার আঘাতে ক্ষয়ে
অণূ থেকে পরমাণু -
তোমার হেঁয়ালিতে নিশিদিন।
সাগর থেকে সমুদ্র, ঢেউ থেকে ঊর্মি -
সুনীল জলের কত নাম !
একসময় আমারো নাম ছিল কত!
এক তুমি ছাড়া
এখনো কেউ ডাকেনি সে নামে
যদিও বা আজ বালুকা বেলার মত
বিবর্ণ সে সব বিশেষণ।
থমথমে আকাশ দেখে দেখে
সমুদ্র রুদ্র হয়ে ওঠে কখনো
ঠিক যেমন ফুঁসে উঠি আমি
কোন এক দূর্বল ক্ষণে
জমে থাকা, চাপ চাপ ক্ষোভ
শুধু তোমার জন্য
জোয়ারে ভাসায় দু'কূল
আনে বাঁধ ভাঙা প্লাবন।
ওই যে কাঁকড়াগুলো
সরসর করে হেঁটে যায়-
জীবনে নানা রঙের
মানুষের আনাগোনা বুঝি;
সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত হলো
আশা-নিরাশার খেলা ;
নীলাকাশ বুঝি আজ
সান্ত্বনার আচ্ছাদন ।
তাই কি হবে বল আর সমুদ্র দেখে !
কি হবে একঘেয়ে ছন্দে নয়তো সুরে,
মিথ্যে স্বপ্নালয়ে নিজেকে ভুলিয়ে -
শুধু শুধু ছেলেমানুষি আহ্লাদে;
কি হবে আর,
আজ এতটা পথ পাড়ি দিয়ে এসে
সুনীল সমুদ্র দেখে !
যখন অথৈ সাগর
আপন বলয়েই করেছি ধারন ।