কিছুদিন আগে পাবনা ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছিল। অমেক ঘুরাঘুরি করেছি সেখানে। তবে সবচাইতে বেশি এক্সাইটেড ছিলাম পাবনা মানসিক হাসপাতাল ও পদ্মা নদী ভ্রমণের সময়। এ দুটোই ছিল প্রধান আকর্ষণ। আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল কোন রুগীকে পেলে কথা বলব। পাবনা মানসিক হাসপাতাল এ প্রবেশের জন্য বেশ কারচুপি করতে হয়েছে।
পাবনা মানসিক হাসপাতাল এর ভেতরের মূল গেটে দাড়াতেই,
এক সিকিউরিটি জিজ্ঞাসা করলঃ
ভেতরে যেতে চান?
আমিঃ হ্যা
পরিচিত কেউ আছে?
আমিঃ না
তাহলে তো যাওয়া যাবে না।
সিকিউরিটির ব্যাজে নাম দেখলাম “ইসলাম”। হাত মিলিয়ে তার সাথে পরিচিত হলাম সাথে সাথে। বললাম, এখন তো যাওয়া যায়। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ৫০ টা টাকা দেন।
আমি পকেট থেকে খুঁজে খুঁজে ২ জনে ১০০ টাকার বদলে ২০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে ভেতরের দিকে হাটা শুরু করলাম। ঘুষ দিতে পেরে খুব শক্তিশালী মনে হচ্ছিল। সিকিউরিটিই বলে দিলেন, ক্যামেরা নিবেন না। না শোনার মত হাটতে থাকলাম আমরা। ভেতরে অনেক সিকিউরিটি ও নার্স। ডাক্তার এর রুম গুলো পার হলেই রুগীদের কামড়া।
পাবনা মানসিক হাসপাতাল অনেক বড় এরিয়া নিয়ে ভেতরের পরিবেশ বাগান বাড়ির মত। আমাদের দেখে বেশ কিছু রুগী জানালা বন্ধ করে দিচ্ছিল। বোঝাই যাচ্ছিল তারা বিরক্ত। রুগীদের এক একটা ক্যাবিনে অনেক রুগী থাকে। প্রায় প্রতিটা ক্যাবিন ২ তলা এবং সরাসরি ২য় তলায় যাওয়ার কোন সিড়ি নেই। প্রতিটা ক্যাবিনের প্রবেশে এক একটা অফিস রুম এর মত। সেখানে ২/৩ জন করে নার্স বসা। অপেক্ষাকৃত সিরিয়াস রুগীদের ২য় তলায় স্থান হয়।
ভেতরে ক্যামেরা ব্যাবহার নিষেধ থাকলেও আমি পেরেছি। রুগীদের সাথে কথা হয়েছে প্রায় আধা ঘন্টা। সেই কথোপকথন এর কিছু অংশ ও হাসপাতালের কিছু অংশ।
[সংক্ষেপিত]
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫০