না রাষ্ট্রপতির কাছে আমি আমার প্রাণটা ভিক্ষা চাইবোনা
এখানে আইন টাকা আর ক্ষমতার কাছে জিম্মি
তাই বাঁচতে চাইনা
যে রাষ্ট্র আজও মিথ্যার চামচামি করে সে রাষ্ট্রে
প্রাণভিক্ষা চাইনা ।
না এই সুউচ্চ প্রাচীর কিন্তু আমার সমাধীর জন্য
তৈরি করা না
এ জেলখানা কিন্তু অনেক বড় কিন্তু আমার ঘর
বেশি বড় না
আগামীকাল আবার জন্ম হবে আমার তাই আজ বাঁচতে চাইনা
বদ্ধভূমির জেলখানায় ঘুমটা আসলে বিশ্বাঘাতক
এক অপরাধী
আর কয়েদিরা একেকজন যেন ঘুমহীন একেকটা চাতক পাখি
আর জেল পুলিশগুলো পাখিদের উপরে রেখেছে
তীক্ষ্ণ নজরদারি ।
জেলখানার খুপরিঘর গুলোর দেয়ালে বন্দী রয়
চাপা আর্তনাদ
সু-উচ্চ প্রাচীরেই আটকে থাকে ভেদহীন শতশত
বন্দীর দীর্ঘশ্বাস
তবুও স্বপ্নগুলো কয়েদিদের দিচ্ছে বেঁচে থাকার
জন্য আশ্বাস।
যে সমাজটা আমার সু-শৃঙ্খল জীবনকে করেছে
উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী
যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতি পদেপদে জন্ম দিচ্ছে আমার মতো সন্ত্রাসী
সে সমাজে বাঁচার জন্য অযোগ্য রাষ্ট্রে প্রাণভিক্ষা চেয়ে লাভ কি ?
আমাকে নাহয় বন্দীই করেছো এই সুউচ্চ প্রাচীর
ঘেরা জেলখানায়
কিন্তু আমার চিন্তা চেতনা মস্তিষ্ককে বন্দী করবে কোন জেলখানায়
মনে রেখো এই মৃত্যু চিরস্থায়ী নয় প্রতি সকালেই আমার জন্ম হয়।