জামাতে মওদূদী, খিলাফত আন্দোলন, ঐক্যজোট, শাসনতন্ত্র আন্দোলন, খিলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী মোর্চা, আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম ইত্যাদি ইসলামী নামধারী যেসব দল রয়েছে তারা ইসলামের নামে গণতন্ত্র করা জায়িয ফতওয়া দেয় এবং এই গণতন্ত্র ভিত্তিক আন্দোলনকে তারা জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ বলে থাকে। আর কুরআন শরীফ-এ জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এর মধ্যে যারা মশগুল তাদেরকে যাকাত প্রদানের হুকুম দেয়া হয়েছে। এই বরাতে তারা তাদের গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলনকে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ বলে মানুষের নিকট থেকে কুরবানীর চামড়া, যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি গ্রহণ করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
মূলত, গণতন্ত্র ইসলামের নামে করা সম্পূর্ণ হারাম এবং এটাকে জায়িয মনে করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত;
যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন করে তাদের আন্দোলন ইসলামের বোল-বালা, প্রচার-প্রসার বা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়; বরং তাদের আন্দোলন হচ্ছে গণতন্ত্র তথা কুফরী মতবাদকেই প্রতিষ্ঠা করা। নাঊযুবিল্লাহ!
অতএব, তাদের সে আন্দোলন জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ নয়। বরং তাদের সে আন্দোলন জিহাদ ফী সাবীলিশ শয়তান।
অতএব, তাদের আন্দোলনের জন্য কুরবানীর চামড়া, যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান করলে তা কস্মিনকালেও আদায় হবে না; বরং কবীরা গুনাহ ও কুফরী হবে।
প্রকৃতপক্ষে তারা জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর নামে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ ধোঁকা থেকে সাবধান ও সতর্ক থাকা উচিত।