আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ উম্মুল মু’মিনীন, আল মুহসানাহ, আছ ছাবিরাহ, হুমায়রা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে কতিপয় হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হলো-
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, হযরত মূসা বিন ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার চেয়ে অধিক বিশুদ্ধভাষিণী আর কাউকে দেখিনি। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী, মিশকাত শরীফ)
উম্মুল মু’মিনীন, আল জামীলাহ, আ’লামুন নিসা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে, হযরত মুসলিম আল্ বাত্বীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি জান্নাতে আমার আহলিয়া হিসেবে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ, কান্যুল উম্মাল)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “উম্মুল মু’মিনীন, আল জালীলাতু, আফক্বাহুন নাস হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফক্বীহ, সবচেয়ে বেশি জানা ব্যক্তি এবং আম জনতার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর মতামতের অধিকারিণী।” (আল মুস্তাদরিক: আয়াত শরীফ ৪/১১)
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার উসীলায় উম্মুল মু’মিনীন, আ’লামু বিল ইলম হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস তিনি উনার মর্যাদা-মর্তবা হাক্বীক্বীভাবে উপলব্ধি করে সে অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।