বান্দা-বান্দী যে আমলই করুক না কেন, তার আমলগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য ৭ আসমানে ৭ জন ফেরেশতা মুকাররার রয়েছেন। যাঁরা বান্দা-বান্দীর আমলগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পৌঁছার পূর্বে তা যাচাই-বাছাই করে থাকেন। যদি তাতে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে থাকে অর্থাৎ লোক দেখানো, হিংসা, গীবত, চোগলখোরী ইত্যাদি অন্যান্য ত্রুটি থাকে, তবে সে আমলটি মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করবেন না। কিন্তু যে আমলটি সুন্নত মুতাবিক করা হবে, সে আমলটি কোনো যাচাই-বাছাই ব্যতীতই মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করে নিবেন। অর্থাৎ সে আমলটি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে কোনো যাচাই-বাছাই করা হবে না। অর্থাৎ সুন্নতের অনুসরণে আমল করলেই মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য লাভ করা সহজ ও সম্ভব হবে। তাছাড়া সুন্নতের ইত্তেবায় যে আমল করা হবে তা শুধু কবুলযোগ্যই নয়, বরং অনেক ফযীলত লাভেরও কারণ হবে। কেননা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ফিতনা-ফাসাদের যামানায় অর্থাৎ আখিরী যামানায় আমার একটি সুন্নতকে আঁকড়ে ধরবে সে একশত শহীদের ছওয়াব পাবে।” সুবহানাল্লাহ!
আর আখিরী যামানা ধরা হয় এক হাজার হিজরীর পর থেকে। সুতরাং এখনই উপযুক্ত সময়, যে সময় সুন্নতের ইত্তিবা করলেই পাওয়া যাবে অশেষ অফুরন্ত নিয়ামত। যার কোনো সীমানা নেই। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দার আমলগুলোকে দ্বিগুণ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারেন। আর সুন্নতের ইত্তিবায় আমল করলে তো তা অবশ্যই অধিক ফযীলতের কারণ। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে এই সুন্দর সুযোগের সদ্বব্যবহার করার তাওফীক দান করুন। আমীন।