আরবী বছরের যে পাঁচটি খাছ রাতে দোয়া কবুলের কথা হাদীছ শরীফ-এ ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘বরাত’-এর রাত। কুরআন শরীফ-এর ভাষায় শবে বরাতকে “লাইলাতুম মুবারকা বা বরকতময় রজনী” এবং হাদীছ শরীফ-এর ভাষায় শবে বরাতকে “লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান” বা শা’বানের মধ্য রাত্রি তথা চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আমাদের দেশে এবং বিদেশে কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা, ইমাম-খতীব রয়েছে যারা বলে থাকে শবে বরাত পালন করা এবং রোযা রাখা বিদয়াত। নাঊযুবিল্লাহ!
এমনকী ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা তাদের নিজ নিজ নিয়ন্ত্রিত মসজিদগুলোতে ইশার নামায আদায় করার পর মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয় যাতে মানুষ উক্ত রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করতে না পারে। নাঊযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি কালাম পাক-এ ইরশাদ ফরমান, “ওই ব্যক্তির চেয়ে অধিক যালিম আর কে হতে পারে, যে মানুষকে মহান আল্লাহ পাক উনার ঘরে ইবাদত-বন্দেগী করতে বাধা দেয়?” পবিত্র কালাম পাক-এর ঘোষণা আনুযায়ী ওই সমস্ত ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা, ইমাম-খতীবরা কাট্টা যালিমের অন্তর্ভুক্ত।

কাট্টা ওহাবী, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার মুখালিফ সউদী দারুল ইফতার সাবেক প্রধান আব্দুল আযীয বিন বা’য-এর বরাত দিয়েও সৃষ্টির নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা শবে বরাত পালন করা ও এদিনে রোযা রাখা বিদয়াত বলে প্রচার করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!

সুতরাং এ সমস্ত ধর্মব্যবসায়ী মাওলানাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য পৃথিবীর প্রায় সোয়া ৩০০ কোটি মুসলমানগণের এগিয়ে আসতে হবে।

কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফ-এ পবিত্র শবে বরাত-এর দলীল থাকার পরও সুন্নতকে অস্বীকার করা এবং এটাকে বিদয়াত বলে অভিহিত করা শক্ত কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। আর যে কুফরী করে সে কাফির হয়ে যায়। যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যদি তোমরা তোমাদের নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নতকে অস্বীকার করো তাহলে অবশ্যই তোমরা কাফির ও গুমরাহ হয়ে যাবে”। (আবু দাউদ শরীফ)

আর আক্বাঈদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, “সুন্নতকে ইহানত করা কুফরী”।
উল্লিখিত হাদীছ শরীফ এবং আক্বাঈদের বর্ণনা দ্বারা ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা, ইমাম-খতীবসহ তাদের সমগোত্রীয় সউদী আরবের দারুল ইফতার সাবেক প্রধান আব্দুল আযীয বিন বা’য প্রকাশ্য গুমরাহ হিসেবে সাব্যস্ত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যে খতীবকে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল; সে ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা এবং জাতে ছিল শিখ। গ্রেফতার হওয়ার এক দিন আগে উক্ত খতীবকে কেউ যদি কাফির বলতো তাহলে তা কেউ মেনে নিত না। কিন্তু ঠিকই প্রমাণিত হলো লোকটি চরম মুসলিমবিদ্বেষী কাট্টা কাফির। তদ্রুপ বর্তমান যামানার ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা শরীয়তে উল্লিখিত আদেশ-নির্দেশের বিরোধিতা করে, আশূরা, পহেলা রজব, লাইলাতুর রগায়িব, শবে মি’রাজ শরীফ, শবে বরাত, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করাকে বিদয়াত-নাজায়িয ও শিরক বলে থাকে; তাহলে তারা কোন শ্রেণীর মুসলমান?