ইহুদীদের নিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি হয়। ভবিষ্যতেও হবে। যদিও বাংলাদেশে কোনো ইহুদী নেই।প্রতিবেশী ভারতে ইহুদী আছে। মুম্বাই, মিজোরাম, আসামের মত কিছু অঞ্চলে ইহুদীদের বসতি আছে বলে জানা যায়। তবে দিনকে দিন এসব অঞ্চলে ইহুদীদের সংখ্যা কমে আসছে।
সে যাই হোক, বাংলাদেশে ইহুদীদের যে রাজনীতি হয় তার মধ্যে ধর্মীয় দল গুলি অগ্র গণ্য। এরা বিভিন্ন ওয়াজ মহফিলে ইহুদী বিদ্বেষ ছড়িয়ে থাকে। তাই জনগণের মাঝে একটি সাধারণ ধারণা ইহুদীরা ষড়যন্ত্র কারী, নবী মহম্মদের শত্রু।
মুসলিমদের এও বলতে শোনা যায় নবী মহম্মদকে ধীর গতির বিষ প্রয়োগে হত্যা করে এক ইহুদী নারী। এভাবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ইহুদী বিদ্বেষকে তাদের ঈমানই বিশ্বাস বলে মনে করে। আর সেই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা এর স্বামী ইহুদী অমুকের জামাই ইহুদী তমুকের ছেলের বউ ইহুদী ইত্যাদি বলে রাজনীতির ময়দান গরম রাখে। এসব বলে তারা জনগণের কাছ একে অপরকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে।
বর্তমান সময়ে ইজরায়েল নামক একটি দানব রাষ্ট্র প্যালেস্টাইন নামক একটি মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। এতে মারা যাচ্ছে শত শত মুসলিম। বাংলাদেশ সহ বহু মুসলিম রাষ্ট্র এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার। বাংলাদেশের বর্তমান তথাকথিত সেকুলার সরকার নিজেদের সেকুলার বললেও ইসলামিক রাজনীতি করে বলে এবং মদিনা সনদে বিশ্বাসী বলে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন করে কিছু সোয়াব হাসিল করলো। অন্য রাজনৈতিক দলরাও সোয়াব হাসিল করেছে ইসরায়েলকে নিন্দা করে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে এদেশের নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস ও ব্রিটিশ খেতাবধারী ব্রাকের ফজলে আবেদ এই সোয়াবের ধার ধারছে না।
দেশের বিভিন্ন মানবিক সংগঠনও এই সোয়াবেরে ধার ধারছে না। অথচ তাদের নিয়ে যারা(জামাত বিএনপি) ফাল পারে তাদেরকে এর সমালোচনা করতে দেখি না। অবাক।
এদিকে ফেসবুকে এক শ্রেণীর মুসলিম আবার হিটলারকে স্যালুট জানিয়ে ইহুদীদের প্রতি বিদ্বেষ জ্ঞাপন করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার বহু ইহুদী মেরে ফেলেছিল। এই কাহিনীটা হচ্ছে ইহুদী মিডিয়ার একটি ভুয়া প্রচার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মারা গেছে তারা যারা যুদ্ধ করেছিল। যারা যুদ্ধ করেনি তারা মারা যাবে কেনো। ইহুদীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দলে দলে জার্মানি ছেড়ে জাহাজে করে আমেরিকা চলে গেছিল। আর বাকীরা রাশিয়াতে আশ্রয় নিয়েছিল। আর যারা এই দেশ দুটিতে আশ্রয় নিতে পারেনি তারা জার্মানির প্রতিবেশী দেশ গুলিতে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদেরকে যদি হিটলার গণহত্যা করতো তবে আজ ইজরায়েলে বসবাস করার মত কোনো ইহুদী থাকতো না। বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মত মহা মানব বেচে থাকতো না।
ইহুদী গণহত্যাকে হলোকস্ট বলে থাকে ইহুদীরা। এই হলোকস্ট হচ্ছে একটি ভুয়ো কাহিনী। একে চ্যালেঞ্জ করে ইউরোপের বহু সংগঠন। আজ পর্যন্ত আমেরিকা ও তার সাগরেদ ইহুদীরা এই হলোকস্টের প্রমাণ দিতে পারেনি। বাস্তবে হিটলার কোনো ইহুদী মারেই নি। ইহুদী হত্যার কোনো গণকবর নেই। পাওয়া যায়নি তাদের দেহের কোনো ধ্বংসাবশেষ। যে কারণে হলোকস্ট ডিনায়েল গোষ্ঠী নামক বহু সংগঠন ইউরোপ আমেরিকায় গড়ে উঠেছে। এসব ইতিহাস আগে পড়ুন তারপর এ নিয়ে প্রশ্ন তুলুন। বাংলাদেশের মুসলমানগণ হুদাই হিটলারের ইহুদী হত্যা নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে।
হিটলার ছিল একজন জার্মান জাতীয়তাবাদী নেতা। তিনি ছিলেন দেশের একজন সফল শাসক। তার শত্রু ছিল তখনকার দিনের কমিউনিস্টরা ও গণতন্ত্র পন্থিরা। যে কারণে হিটলার আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে এক যোগে যুদ্ধ করে। হিটলার যাদেরকে শত্রু বলে মনে করে পৃথিবীতে আজ তারাই খারাপ। আমেরিকার সুনাম আজ কেউ করে না। মার্কসবাদ আজ পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত। টিকে আছে আজ জাতীয়তাবাদ। তাদেরই জয়জয়কার আজ পৃথিবীতে।
হিটলার মহান তাই নেতাজী সুভাষ ব্রিটিশ খেদানোর জন্য হিটলারের কাছে গিয়েছিলেন তার সাহায্য চাইতে। হিটলারের সাহায্য পেয়ে সেদিন ব্রিটিশদের ভারত ছাড়া করেছিলেন নেতাজী। শেষ মেষ গান্ধির কাছে ব্রিটিশরা আত্মসমর্পণ করে এদেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন। নেতাজী কাছে আত্মসমর্পণ করেনি ব্রিটিশরা। কারণ ওই হিটলার নেতাজীর পিছনে ছিল যে। যেমনটি এদেশে পাকিস্তানীরা বাংলাদেশিদের কাছে আত্মসমর্পণ না করে ভারতীয়দের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫