somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শব্দকরদের বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দরিদ্রতা এবং সভ্য সমাজের বিরূপতার শিকার হয়ে চরম বিপন্নতার মুখে পড়েছে শব্দকর জনগোষ্ঠি। হতদরিদ্র এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির বাস বাংলাদেশের সিলেট ও মৌলবীবাজার জেলায়। সমকালীন ইতিহাসে দারিদ্রের যে সীমারেখা চিন্হিত করা হয় শব্দকরেরা তার চেয়ে অনেক নীচু অবস্থানে জীবন অতিবাহিত করে। স্থানীয়ভাবে তারা 'ডুকলা' নামে পরিচিত। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত "বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান" পুস্তকে ‌ডুকলা শব্দের অর্থ হিসেবে বলা হয়েছে অসভ্য,নিকৃষ্ট জাতি বা সম্প্রদায়। তারা সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। প্রধান পেশা হলো ঢোল ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো।

শব্দকরেরা ভারতবর্ষের কুল, ভীল, সাঁওতাল, শবর, মুন্ডা ইত্যাদির মতোই একটি প্রাচীন অনার্য জনগোষ্ঠি যারা বৈদিক বর্ণাশ্রম ধর্মের শিকার হয়ে যুগে যুগে সভ্য সমাজের হাতে নিগৃহীত হয়ে আসছে। বর্তমানে তারা সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের শরীক হলেও বৃহত্তর হিন্দু সমাজের কাছে তারা অচ্ছ্যুত এবং অস্পৃশ্য হিসাবে গন্য। বাঙালি বর্ণহিন্দুরা ডুকলাদের হাতে জল খায় না, নিজেদের চেয়ারে বা বিছানায় ডুকলাদের বসতে দেয় না, শব্দকরেরা বাঙালিদের সাথে বড়জোড় প্লে­ট ছাড়া বিশেষ কাপে চা খেতে পারে। দোকানে বা অন্য কোথাও সবার সাথে বসে কোনো কিছু খাওয়া বারণ, এমনকি ধর্মীয় বা সামাজিক উৎসবগুলোতেও। তাদের সাথে একঘরে ঘুমালে, একসাথে উঠলে বসলে, একসাথে খেলে, হাতের রান্না বা জল খেলে বাঙালি বর্ণহিন্দুর নাকি জাত চলে যায়!

শব্দকরদের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রপুর্ণ অতিপ্রাচীন সাংস্কৃতির উপাদান রয়েছে। এমনিতে তাদের সংস্কৃতি ভোগপ্রবল। তারা অদৃস্টবিশ্বাস প্রবল এবং প্রতিদিনের দুঃখ ও কষ্ট থেকে মুক্ত হতে না পারলেও তারা গান-বাজনায় মত্ত থাকে। তাদের উপাস্য দেবতা হচ্ছে শিব বা মহাদেব। তারা বাদ্য বাজিয়ে শিবের গান, রাজার গান গেয়ে থাকে। ঢোল, ঢাক, করতাল, বাঁশি এগুলো তাদের জীবনের অংশ। চড়কপুজা ও গাঁজন উৎসব তাদের প্রধান উৎসব। বছরের শেষে চড়কপুজা হয়ে থাকে। শরীরের পেছনের অংশে বিশালাকার বরশি গেঁথে চড়কিতে ঘুরা তাদের কাছে পূণ্যের অংশ, অন্য সমাজের কাছে যা চিত্তবিনোদন। চড়কপূজা প্রক্রিয়ার সাথে নানান গান ও নাচ জড়িত। এ জাতীয় একটি গানের অংশ -

ও শিব আওরে জগত জটা
জগত জটারে শিব পাগলা বেটা
শিব আইলা সিনান করি
গেরি দিলা সিদ্ধি ভারি

ও মাই ও মাই ও মাইগো
অউনি গৌরির জামাইগো

খাইয়া ভাঙের গুড়া
গৌর করিয়া চায়
তারে দেখি উমার মা
উল্টা পাকে ঘরে যায়
খাওয়ায় বেনি কামাই গো
লেমটা বেটা, জগত জটা।

এছাড়াও আছে আগুনে হাঁটার গান, গাঁজার গান, জামাইষষ্ঠীর গান, ভাইফোঁটার গান, বিয়ের গান, তিননাথের গান, কালীনাচের গান ইত্যাদি। সবগুলো গানই তাদের জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পর্কিত।

শব্দকর সমাজের ছেলেমেয়েরা বরাবরই নানান দৃশ্য ও অদৃশ্য বাধার সম্মুখীন হয়ে, বৃহৎ সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ও অবহেলিত হয়ে হীনমন্যতাবোধে নিয়ে বড় হতে থাকে। বেশীর ভাগ শিশুই প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করতে পারেনা। বয়স্করা এখনো ১০০ পর্যন্ত গুনতে পারেনা। শব্দকর সমাজ আজন্ম দারিদ্রকে নিয়তি বলে মেনে নিয়েছে। তাদের পিতামাতা ও সন্তানদের চোখে কোন স্বপ্ন নেই। সবাই অবধারিত ধরে নেয় মা-বাবারা যেভাবে নিদারুন দারিদ্র ও হতাশার মধ্যে জীবন কাটায়, তারাও সেভাবে জীবন কাটাবে। একটা অদ্ভুত সত্য এদের বিশ্বাসে গেঁথে থাকে যে, তাদের এই দুর্দশার জন্য বিশেষ কোন দেবতার অভিশাপ দায়ী, অথবা ঈশ্বর নিজেই চান না তারা ভাল থাকুক। রাস্ট্রে জনসংখ্যা দমন যখন একটা প্রধান সমস্যা, তখন শব্দকরদের জন্মের চেয়ে মৃত্যুহারই বেশী।

১৯০৫ সালে বি.সি. এলেন সম্পাদিত Assam District Gazeteers -এর সিলেট খন্ডে শব্দকরদের জনসংখ্যার হিসেব দেয়া হয়েছিল ১০,১০৩ জন। অধ্যক্ষ রসময় মোহান্তের লেখা একটি সমীক্ষা গ্রন্থ থেকে জানা যায় মৌলবীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৯৯৫ সালে শব্দকরদের জনসংখ্যা ছিল সর্বমোট ৪,০৭৩ জন। এদের মধ্যে ২০৭৭ জন পুরুষ এবং ১৯৯৬ জন মহিলা। মোট পরিবার সংখ্যা ৯০০ এবং গ্রামসংখ্যা ৩৫। বিদ্যালয়গামী ছাত্রসংখ্যা ৩০৯, বাল্যবিবাহ ৩৪৩টি এবং বসতভিটা সাকুল্যে তাদের জমির হিসাব সর্বমোট ১০১৮৬ শতক যার মধ্যে উৎপাদনশীল জমি প্রায় শুন্যের কোঠায়।

এতটা মুল্যহীন, স্বপ্নহীন ও সম্পদহীন হয়ে কোন জনগোষ্ঠীর বেঁচে থাকা কি সম্ভব?

আমাদের রাষ্ট্রের বড় বড় নথিপত্রে বাঙালিভিন্ন অন্য সকল জাতির কোন তথ্য নেই। কে কোথায় বাঁচলো বা মরলো তা নিয়ে রাষ্ট্রের কোন মাথাব্যাথা নেই; রাষ্ট্র ও তার সুবিধাভোগী মানুষজন ব্যস্ত আইনের প্যাঁচে ফেলে বিপন্নপ্রায় মানুষের ভূমি আর পাহাড়ের দখল নিয়ে। সেটা যদি ১০০ কিম্বা ১০০০ লাশের বিনিময়ে হয় তাও সমস্যা নেই। শব্দকরদের খবরও সেভাবেই রাষ্ট্র রাখেনা, রাখার দরকারও মনে করে না কোন কালে। অবহেলা ও বৈষম্যের এ ধারা অব্যাহত থাকে, আর নিজভুমে পরবাসী ডুকলারা হারাতে থাকে নিজেদের অস্তিত্ব, জীবন, জীবিকা, সংস্কৃতি, গানবাজনা, ঢোল, বাদ্য সবকিছু। নিশ্চিহ্ন হতে থাকে মানুষ আর মানুষের জনপদ, মানুষেরই দাপটে!

মুলসূত্র:
১. প্রাবন্ধিক ও গবেষক আহমদ সিরাজের লেখা 'শব্দকর একটি চরমবিপন্ন জনগোষ্ঠি'। মণিপুরী থিয়েটারের পত্রিকা, ৭ম সংখ্যা।
২. পাভেল পার্থের লেখা 'ডুকলাদের সকল ঢোল বেজে ওঠুক বর্ণদাপটের বিরুদ্ধে'। মৃত্তিকা, ২য় সংখ্যা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫০
১৩টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

১. ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:৩৮

রুবাই রেনো বলেছেন: খুবই ভালো হয়েছে...আরো মুল্যহীন, স্বপ্নহীন ও সম্পদহীন যে সব জনগোষ্ঠী আছে তাদের নিয়ে লিখুন....সাম্প্রতিক তথ্য দেবার চেস্টা করুন..

১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:৪৬

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পড়ার জন্য এবং মন্তব্য রাখার জন্য। ... সময় থাকলে গারোদের নিয়ে লেখা আগের পোস্টটি দেখতে পারেন।

২. ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:৪২

হোসাইন সাজ্জাদ বলেছেন: informative post

thanks to post it

১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:৪৭

লেখক বলেছেন: থ্যাংক ইউ টু।

৩. ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:৪২

পুংটা বলেছেন: দ‍ারুন একটি সংকলন... আসলে আপনি যে এটুকু করেছেন এটাই অনেক। বর্তমানে আমরা.. আমি ও আমার পরিবারের বাইরে কিছুই ভাবতে পারি না...মহল্লা, সমাজ, এলাকা, দেশ এসব তো অনেক দুরের কথা। তবে আশা আছে এখনও। আপনারা আছেন তো...হবে।

১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:৪৯

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পৃথিবীতে জীববৈচিত্র সাংস্কৃতিক বৈচিত্র বাচিয়ে রাখার দ্বায়িত্ব আমাদের সবার।

৪. ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:৫২

রুবাই রেনো বলেছেন: গারোদের নিয়ে লেখা আগের পোস্টটির লিংক টা দেন

১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ২:০২

লেখক বলেছেন: Click This Link

৫. ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ২:০০

বিডি আইডল বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা....



একটু অন্যদিক থেকে দেখলে সভ্যতা এবং উন্নয়নের চাপে এইরকম অনেক পেশা/সম্প্রদায়ই কিন্তু হারিয়ে গেছে/যাবে...

১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ২:০৫

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ বিডি আইডল। যে সভ্যতা বা উন্নয়ন সুষম নয় বা যা মানুষকে বিলুপ্ত করে দেয় তার আবশ্যকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়।

৬. ১৩ ই জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:০১

বঙ্গদর্পণ বলেছেন:

ব্যতিক্রমধর্মী ভালো একটি লেখা। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৮ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫১

লেখক বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭. ১৩ ই জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:৩০

মোমেন বলেছেন: আমেরিকায় গান হাতে ইউরোপিয়রা যা করেছে আমরা গঙ্গার উপর থেকে আর্যদের দে'য়া ধাতু হাতে নীচের দিকে ধেয়ে আসার সময় একই কাজ করেছি।



অন্যদিকে আমরা ইউরোপিয়দের চেয়ে মোটেও কম বর্ণবাদী নয়।



আপনার এহেন বিষয়ে আগ্রহ বা উপলব্ধি ভাল লেগেছে।

৮. ১১ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৭

""ফয়সল অভি "" বলেছেন: "যুগে যুগে বিনাশী যে স্রোত বয়েছে এই মানচিত্রে

আমরা জেগেছি, আমরা জেগে আছি-এখনও দ্রোহে"




এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত "দ্রোহ" চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত লিটল ম্যাগাজিন শ্রদ্ধেয় ড. হুমায়ুর আজাদ'কে উৎসর্গ করে১১ আগষ্ট বুধবার ২০১০ খ্রি:, ২৭ শ্রাবণ ১৪১৭ সাল, ২৯শাবান ১৪৩১ হিজরি দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশ করেছে ।



দ্বিতীয় সংখ্যার লিংক>http://www.droho.net/



::দ্বিতীয় সংখ্যার বিষয় বিন্যাস::



১.ব্ল্যাকবোর্ড

• পাখি হতে হতে মানুষ হয়ে বাঁচি>ফয়সল অভি



২.স্মৃতি সারণী

• ইতিহাসের কালো অধ্যায়>সানাউল্লাহ

• একাত্তরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ>একরামুল হক শামীম

• কালীপদ সাহা: বিহারিদের পৈশাচিক নির্যাতনের জীবন্ত সাক্ষী>এম. রহমান

• বদলে যাওয়া মানুষ ও একটি গুলমোহর >রামানুজ পুরোহিত



৩.স্মরণ:

• বিনয় মজুমদার-পুরোপুরি বিনয় অবতার কেনো>হেনরী স্বপন

• কথাশিল্পী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়>দীপক ভৌমিক

• জহির রায়হান : জীবন,শিল্প ও মুক্তির যুদ্ধে>ইমতিয়ার শামীম

• শহীদুল জহির-এর কবিসত্তা : অপ্রকাশিত কবিতা-প্রসঙ্গ>অনুপম হাসান

• পতনের জন্য, প্রার্থনার জন্যে>সৈকত দে



৪.গদ্য:

• হাংরি জেনারেশনের কবিতা চর্চা : মানবতাপাঠ ও ব্যক্তির পুনরভ্যুত্থান>মোস্তাফিজ কারিগর

• কবি নয়-শেষাবধি কবিতাই মুখ্য>তুহিন দাস

• রাখাইন কবি ও কবিতা>কালাম আজাদ

• অন্ধকার ও সাম্প্রদায়িকতার পঙ্কে বেড়ে ওঠা জীবন>দুরন্ত স্বপ্নচারী



৫.সমকাল:

• জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা>মনিরুল মনির

• হিজড়া,প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালের এক দুর্ভাগা শিকার!>রণদীপম বসু



৬.রাজ-দরবার:

• লেখকের নিরাপত্তার প্রশ্ন>আবদুল হক

• জিয়া জানতেন, কতখানি জানতেন>অমি রহমান পিয়াল

• আমাদের কম্যুনিস্ট পার্টিগুলো,বিপ্লবের পথে প্রধান অন্তরায়>তৎসম বাঙালি অরণ্য

• ভুমির মালিকানা, স্বাধীন গারো রাজ্য এবং আধিপত্যবাদের কাছে গারোদের আদিম সাম্যবাদী সমাজের পতন>কুঙ্গ থাঙ

• ভারতের মাওবাদী বিদ্রোহ-গণতন্ত্রের গৌরবে গ্লানি>উত্তম কুমার দেব

• ব্রুনো 'র সমকালীন আরো যাদের ইনকুইজিশনের বিচারে হত্যা করা হয়েছিল>নরুজ্জামান মানিক

• ডিরোজিও: প্রথাবিরোধী এক অনন্য দ্রোহী>ইমন জুবায়ের



৭.বই:

• বাংলাদেশে কমিউনিজম ব্যর্থ হবার কারণ, মোকাবিলা বইয়ের সরলপাঠ ও বাংলাদেশের মূর্খ মার্কসবাদীরা>রেজাউল করিম

• আরজ আলী মাতুব্বর এর 'অনুমান'>পারভেজ আলম



৮.গল্প:

• পতঙ্গ, ফুল ও মালীর গল্প>কথক পলাশ

• শূন্যতা আর এক শালিকের গল্প>কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি

• আত্মোপলব্ধি>বাবুনি সুপ্তি



৯.কবিতা:

• পাতা থৈ থৈ কবিতা



১০.চোখের জানালা

• বাংলাদেশ ১৯৭৫,দুঃস্বপ্নের প্রতিচ্ছবি>নিঃসঙ্গ বাজপাখি



১১.অনুবাদ

• সন্ত্রাসের জলবায়ু : ভয়ের বদলে যাওয়া মুখোশ-ওলে সোয়িঙ্কা অনুবাদ: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

• ভূ-খণ্ড এর কবিতা সিরিজ



সবাইকে পড়ার আমন্ত্রন রইল ।






২১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:১২

লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিংকগুলোর জন্য। শুভকামনা থাকলো।

৯. ২১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:২৭

দীপান্বিতা বলেছেন: উঁচা উঁচা পাবত তঁহি বসই সবরী বালী।

মোরঙ্গি পীচ্ছ পরহিণ সবরী গীবত গুঞ্জরী মালী।।




-সেই চর্যাপদের শবররা আজ ভাল নেই ........



[আচ্ছা, শব্দকর আর শবর কি আলাদা!]

২১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৪৩

লেখক বলেছেন: চর্যাপদের এই পদটি আমার খুবই প্রিয়।.. শবর বলতে মনেহয় ব্যাধ/শিকারীদের বুঝানো হয়। তারাও কিরাত জাতিভুক্ত।



কেমন আছেন দ্বীপান্বিতা?

১০. ২১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৬

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, কুঙ্গ থাঙ!



আমি ভাল আছি...আপনি ব্লগে আসেন না কেন! খুব ব্যাস্ত নাকি! মনিপুরী নাচের উপর ভাল ভিডিও পেলে দেবেন...বেশ রাধা-কৃষ্ণের উপর... :)

১১. ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৬

দীপান্বিতা বলেছেন: এবার কিন্তু নতুন পোস্ট চাই-ই চাই!... পূজোর বাজার কেমন চলছে! :D

১২. ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩০

অনার্য তাপস বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। মণিপুরীদের তাঁতবিষয়ক কোন পোস্ট কি দিয়েছিলেন? লিঙ্কটা দেন যদি লিখে থাকেন।

১৩. ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

বিপ্লব রহমান বলেছেন: আদিবাসী অধিকার বিষয়ে বরাবরে মতোই অসাধারণ লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

---

আপনার লেখাটি ফেসবুক গ্রুপ পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ CHT Voice -এ শেয়ার করলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শেখ মুজিব, জনপ্রিয় নেতা থেকে স্বৈরশাসক?

লিখেছেন ধূসর সন্ধ্যা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশের সব থেকে জনপ্রিয় নেতা। জীবনের শুরু থেকেই তিনি কাজ করে গেছেন দেশের মানুষের জন্য। তবে জীবনের শেষ দিকে এসে তিনি এমন সব কাজ করেছে যা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা টু দিল্লী : শেখ হাসিনার ভাগ্য ঘুরপাক খাচ্ছে রাউন্ডটেবিলে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৪


তিনি ছিলেন এক সময়ের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি ছিলেন সেই নারী, যিনি অফিসের চেয়ারে বসে দেশ চালাতেন আবার অফিসের বাইরেও সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকি বিরোধী দলের বাথরুমেও কী হচ্ছে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা!

লিখেছেন রাবব১৯৭১, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২০

পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক? শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা!
মা-বোনের ধর্ষণকারীদের যাবা বাবা ডাকে তাদের প্রতি দু কলম লিখতে বাধ্য হলাম।
পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক? কীভাবে সম্ভব? কীভাবে আমরা হাত মেলাই সেই রাষ্ট্রের সাথে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরাধ‍্য

লিখেছেন ধোয়াটে, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৩:২০

তখন এসবের একটা মূল‍্য ছিল,
অথবা সেসব অমূল‍্য ছিল;

হীরক খন্ড চুনি বা পান্নার মত
সব সব কিছু ছাঁপিয়ে ছিল
তোমার একটুকরো হাসি
তোমার একটু ছোঁয়া
তোমার একটু দেখা পাওয়া

এই সব রত্ন-রাশি নিয়ে
সতত মশগুল ছিল
দিন-রাত্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়া জিজ্ঞাসা

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:২৩



"আপনি কি কখনো এমন কিছু স্বপ্ন দেখেছেন, যা পরে হুবহু সত্যি হয়েছে?"

"স্বপ্নের মধ্যে সময়কে ছুঁয়ে যাওয়া কি সম্ভব?"
"একই মুহূর্ত বারবার ঘটতে থাকলে, আপনি কি ভয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×