গরু-ছাগলের পাকস্থলীর ভেতরের ও বাইরের অংশ ধুয়ে, পরিষ্কার করে খাওয়া হয়। অঞ্চলভেদে এই খাবারকে ‘ভুঁড়ি বা বট’ বলা হয়। প্রচুর পরিমাণে তেল, চর্বি বা ফ্যাটসমৃদ্ধ হওয়ায় বাড়ন্ত শিশু এবং যাঁরা শারীরিক পরিশ্রম করেন বেশি, তাঁদের জন্য এটি সঠিক খাবার। যাঁরা বসে কাজ করেন বেশি, ওজন, বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী তাঁরা পরিহার করুন এই খাবার।
উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল ও প্রোটিনের বসতি ভুঁড়িতে, যা শরীরে জোগায় প্রচুর পরিমাণে শক্তি ও কাজ করার উৎসাহ। শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বক করে মসৃণ। বাড়ায় উজ্জ্বলতা। মাংসপেশিকে করে শক্তিশালী। বাড়ন্ত শিশুদের অধিক প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এই প্রোটিন তাদের ক্লান্তি দূর করে। শিশু, নৃত্যশিল্পী ও খেলোয়াড়—এমন ব্যক্তিদের জন্য চর্বি সরিয়ে রান্না করা ভুঁড়ি ভীষণ উপকারী। এতে দেহে মেদ জমবে না, পূরণ হবে মাংসপেশির ক্ষয়। অধিক প্রোটিন থাকায় দাঁত, হাড় ও চুলকে করে মজবুত। কিন্তু যাঁরা ডায়াবেটিস, হূদেরাগ, বাতের সমস্যা, কিডনির জটিলতায় ভুগছেন, তাঁরা বাদ দেবেন এই খাবার। চর্বি ছাড়া মাংসের চেয়েও ভুঁড়িতে ফ্যাট বেশি।
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা ট্যাবলেট খান—এমন নারীরাও (বিশেষ করে যদি ওজন বেশি হয়, পরিবারের মা-বাবার মধ্যে কারও উচ্চ রক্তচাপ বা হাইকোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে) এ খাবার ত্যাগ করুন। কারণ, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে অন্যতম হলো: উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, হরমোনজনিত সমস্যা ইত্যাদি। তাই দীর্ঘদিন বা বছর ধরে যাঁরা বড়ি খাচ্ছেন বা ইনজেকশন নিচ্ছেন, তাঁরা গরু-ছাগলের ভুঁড়ি, মগজ, নিহারি (গরু ও ছাগলের পায়ের হাড় দিয়ে তৈরি খাবার) বর্জন করুন।
যক্ষ্মারোগ মানুষের ওজন কমিয়ে দেয়। এই রোগীদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ভুঁড়ি। এই খাবার নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই নিজের হজমক্ষমতা বুঝে প্রচুর সবজি ও পানি খান। ভুঁড়ি অবশ্যই ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে রান্না করুন।
সূত্র:প্রথম আলো