টিউশনি করা একদম বন্ধ করে দিলাম, যদি কোন ছেলে বা মেয়ে ব্যক্তিগত ভাবে আসে কোন সমস্যা নিয়ে তখন তাতে সাময়িক ভাবে সমাধান করে দিয়ে বিদেয় করে দিয়ে বাচি। আমার মেজ ভাইকে ফলো করার চেস্টা করলাম, কিন্ত তার মত হারামিপনা করা আমার দ্বারা অসম্ভব হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তাতে অনুসরন করা বাদ দিলাম, একান্ত একঘরে হয়ে বসবাস করার চেস্টা করছি, এখন সময় কাটছে না, সমায় পার করার জন্য বই পড়াকে বেছে নিলাম, আলহামদুলিল্লাহ সময় বেশ কেটে যাচ্ছে
একদিন ঘরের কিছু প্রয়োজনীয় কাচাবাজার আনার জন্য গ্রামের বাজারে গেলাম, অনেক বাজার সওদা করে ফিরছিল বাড়ী কাছেই একজন প্রতিবেশীর রাস্তায় আমার এক পরিচিত, সম্পর্কে বেয়াই হয়, হঠাৎ লোকটা রাস্তায় মাথাঘুরে পরে গেলো, দৌড়ে তাকে ধরার চেস্টা করলাম, তার মাথায় পানি দিলাম ও সহোযোগিতা করা চেস্টা করলাম, প্রায় ২০ মিনিট পর হুস হলো, তার সাথে কথার ফাকে বুঝতে পারলাম, এই সমস্যাটা আঘাতের কারনে হয়েছে, আমি তামওক আমার বাড়ীতে বসে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলাম। এক পর্যায় সে আসতে বাধ্য হইলেন। আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা এই দুট্রে প্রয়োগ একাত্রিত করে, একটা হোমিও ঔষধ দিলাম, মহান আল্লাহুর মেহেরবানীতে তিনি সুস্থ্যতা লাভ করলেন, আসলে এই অবসর সময়টা আমি হোমিও নিয়েই বেশী সময় নস্ট করেছিলাম, আমার উদে্যশ ছিলো করোনা কেন হয়, এবং করোনা রোগীর কি ঔষধ দিলে এই রোগী একটু সুস্থ্য থাকে এটাই ছিলো আমার প্রধান পড়াশোনা, জানি না আমি কতটা সফল, তবে যে লোকেরই জ্বর হতে দেখেছি, তাকেই হোমিও ঔষধ দিয়ে জ্বর ভালো করার চেস্টা চালিয়েছি, আমি কিন্ত জানি না, কার করনা বা কার করোনা না এটা আমার আদৌ জানা নাই।
এই প্রতিবেশী সুস্থ্য হওয়ার পর, আমার গ্রামের পার্শ্বের গ্রাম এমনি করে চারি দিকে ছরিয়ে যাচ্ছে, যাকেই ঔষধ দিচ্ছি তিনিই সুস্থ্য হচ্ছেন, এটা মহান আল্লাহুর মেহেরবানী ছাড়া আর কিছুই না। আল্লাহু আকবর, মানুষের সেবায় নিজেকে বিনিয়োগ করতে পারায় আমার খুবই ভালো লাগতেছে। এখানে একটা কথা না বললেই নয়, যারা আমাকে সামান্য টাকা দিতে পারে ভালো কথা যারা না দিতে পারে তাদের থেকে টাকা নিচ্ছি না। তবে আমি কোন ভিজিট নেই না,ঔষধের সামান্য পরিমান খরচ রাখি।
একদিন এক মহিলা অনেক দুর থেকে এসেছেন, একঘন্টা সময় নিয়া তার কস্টের কথাগুলো সুনলাম এবং রেপাটরী লিখলাম এবং একটা ঔষধ নির্বচন করলাম তাকে এক ডোস ঔষধ খাইয়ে দিলাম। কিছু সময় বসার অনুরোধ করলাম এবং অন্য একজন রোগীর রেপাটরী করলাম, প্রথম রোগীকে ঔষধ বুঝাইয়া দিলাম এবং একশত টাকা চাইলাম, তিনি আমার কথা সুনে রেগে ঘেমে আগুন হয়ে গেলেন, "আপনী কি ভিক্ষুক, যে ভিক্ষা চাচ্ছেন" আমি তো কিংকর্তব্যবিমুড়, কি জবাব দিবো বুঝতে পারলাম না, তিনি জিজ্ঞসা করলো, আপনার ভিজিট কত, আমি বললাম , ৫০০/- টাকা, কিন্তু আমি তো ভিজিট নেই না, উনি আরো রেগে গেলেন, বললেন আমি তো গরীব না, বিশেষ করে উনি এতোট্কো গাড়ী ভাড়া করে এতদুরে এসে ১০০ টাকার ঔষধে খুশি না, তার পর তাকে ঠান্ডা মাথায় বুঝাতে সক্ষম হলেম, যে এই ঔষধেই আপনী ভালো হবেন। ঠিক ঔ মহিলা সেই ১০০ টাকার ঔষধেই ভালো হয়ে গেলো, ৬ মাস পরে তিনি, তার বেশ কয়েক জন আত্মিয় স্বজন সহ আমার বাড়ীতে হাজির হলেন, এবার তারা বললো, জরায়ু ক্যানসার একশত টাকার ঔষধে কেমনে ভালো হলো, এরা সবাই আমাকে দেখতে এলো।
যখন কোন লোক মহান আল্লাহর রহমতে সুস্থ্যতা লাভ করেন, আমার তখন বেশ আনন্দ অনুভব করি এবং মহান আল্লাহর শোকরানা আদায় করি। আমি কখনও ভাবিনি সার্টিফিকেটটি শেষ বয়সে এসে কাজে দিতে পারে, আমি সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি। আমি যেন সাধারন মানুষের সেবা করে বাকি জীবনটা কাটাতে পারি। আমিন।
চলবে