সরকারী চাকুরী জীবন শেষ করে আমার কোন্ত ইচ্ছা গ্রামের বাড়ীতে বসবস করবো, গ্রামকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসবো, প্রকৃতির কি নিয়ম, চাকুরী থেকে অবসর নেওয়ার সাথে সাথেই স্ত্রী মারা গেলেন, তার কবর দিতে বাড়ী আসলাম, আমার কাছে মনে হলো এই গ্রামের মানুষগুলো আমাকে চিনে না। ণাকি ওরা আমাকে মেনে নিতে পারছে না, ঠিক ভালো বুঝে উঠতে পারছি না, ক্নে জেনো পরিচিতো লোকগুলো অপরিচিত বলে মনে হয়।
বউ মারা গেছে আমার আর কপাল পুড়লো সকলের বুঝলাম না। তার মারে দাড়ালো আমি এই গ্রামে লোকের জন্য যা ভালো কিছু করেছি, তা নাকি আমার স্ত্ররি জন্যই করেছি, হায়রে কপাল, এবার বুঝলাম, আমার স্ত্রীর কিছু ভালো গুন আছে। পর্যায় ক্রমে তার ভাল্রে গুনোগান সুনতে লাগলাম, হঠাৎ করে রেগে যাই যা অনেকেই পছন্ধ হয় না, আসলে এই বাড়ীঘর জমিজমা কোন কিছুই আমাকে শান্তি দিতে পারছে না। সব কিছুতেই যেন কিছু না কিছু ঝামেলা আছে। ভাবতে কস্ট হয়, কি করে এই মানুষগুলোর সাথে মিলেমিসে বসবাস করলোই। । আমি যাদেরকে একমিনিট সহ্য্ করতে পারি না, এতোগুলো বৎসর আমি তাকে এই গ্রামে এদের কাছে রেখেছি, কেন যেন আজ নিজেকে বড়ই অপরাধী মনে হয়। কবরের কাছে দাড়িয়ে চোখের পানি ঝড়ানো ছাড়া ক্নে গতিই রইলো না, দ্য়ো শেষে ঘরে ফিরলাম।
দুইদিন পর এক সময় চায়ের টেবিলে বড় ভাই ডেকে বললো, এই ভাবে বসে থাকলে, বা একা একা থাকলে শরীর ও মন ভেঙ্গে পড়তে পারে, তার চাইতে নাতি নাতিন ও লোকজনের মধ্যে থাকলে সব ঠিক হয়ে যাবে, পরের দিন বুঝলাম, নাতি ও নাতিনরা আসলো আমার কাছে বই নিয়ে, সময়টা ভালোই কাটছে, আমিই এই বংসে প্রথম শিক্ষিত ব্যাক্তি, আমার বংসের লোকগুলোকে কোন কিছু শেখানো আমার পবিত্র দায়িত্ব বটে।
একে একে অনেকগুলো ছাত্র ও ছাত্রী পেলাম, কেউ পেইড আবার কেউ বিনা পয়সায়, সবই আমার আপনজন ও প্রতিবেশী এটাই যথেস্ট, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নামাজ কালাম ও ছেলে মেয়ে নিয়া ব্যস্ত সময় পার করছি। ।অলহামদুলিল্লাহ, ভালোই লাগতেছিলো, কিন্তু বাদ সাধলো শয়তানে, সে দুরে বসে হাসতেছিলো, এবং আমার এক ছাত্র ও ছাত্রির কাধে বসে একটু কস লাগাতে চাইলো এবং মনের অজান্তেই চোখে আসলো, কোরআনের বানী শোনোতে তার আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে গেলো। চেস্টা করে ও আর তাদের সুশিক্ষা দেওয়া সম্ভব হলো না, আমি হলেম তাদের চরম শক্র, আমার গ্রাম্য জীবনের শান্তি হলে গেলো এক শোনার হরিন, মনে হলো সকল অপরাধে আমিই দায়ি।
দেখতে আরম্ভ করলাম, কেমন করে মানুষকে লজ্জায় ফালাতে হয়, অপমানে ফালাতে হয়, মিথ্যা কাহাকে বলে, কত প্রকার কি কি? একটা প্রমানের তথ্য হাজির করতে করতে আর একটা পেচ লাগোতে চেস্টা, শুরু হলো গ্রাম্য লোকের নোংড়া প্যাচের খেলা, যাতে আমি কোন দিনই অবস্ত ছিলাম না, আমার একমাত্র বড় ভাই যিনি আমাকে সব কিছুতে সাহায্য করতো, কারন তিুন জানতেন আমি সৎ ওরা অসভ্য, বিশেষ করে কিছু মহিলা আছে, যাদের কাজই হলো এই নোঙড়ামি করা। আপন পর কিছুই তারা চিন্তা করে না কিভাবে আমাকে ভিটে ছাড়া করবে এটাই তাদের উদ্যেশ বটে। অনেক ত্যাগ ও কস্ট শিকার করে বেচে আছি, তবে তাদের মিথ্যা ও ফাজলামো গুলো আস্তে আস্তে প্রকাশ পাইতেছে, মহান আল্লাহুর মেহেরবানী ছাড়া আর কিছুই না।
চলবে