আমি আজ থেকে বেশ দিন হলো এই প্লাটফর্মে আছি, আমার অনেকগুলো লেখাই এযাবত প্রকাশ পেয়েছে। আমি যখন কোন লেখা শেষ করতাম, তা প্রথম যিনি এক নি:শ্বাসে পড়া শেষ করতেন,তিনি আর কেউ না তিনি আমার প্রাণ প্রিয় স্ত্রী "নার্গিস" । তিনি গত ১২/১০/২০১৮ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ২:৩০ ঘটিকায় মহান আল্রাহু রাব্বুল আলামিনের ডাকে সাড়া দিয়ে, আমাকে ছেড়ে চিন বিদায় নিয়েছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন), আর কেউ আমাকে বলবে না, তারাতারি লেখা শেষ করো ভাত খাবো, বাজারে যাবে, এখন তোমার হাটার সময়, হাজারো কথা কেউ আমাকে মনে কনিয়ে দেয় না। আমার লেখা কেমন হলো, কোথায় কোন ভূল হলো কিনা্ আজ আর কেউ বলার নেই। স্ত্রী হারানোর ব্যাথ্যা এত কঠিন আকার হতে পারে তা কথনো অনুভব করিনি।
সেই খাট পড়ে আছে, বিছানা পড়ে আছে, আমার চার পাশ্বের সবই পড়ে আছে, কিন্তু আমার সাথে কথা বলার সেই প্রিয় ব্যক্তিটি আজ আর নেই। আমার এই শোকের কথাগুলো লিখতে কখন জানিনা মনের অজান্তে লোনা জল অঝর ধারায় নেমে আসছে। যতই বলি, হে জল তোদের কি কোন লজ্জা শরম নাই, স্ত্রি জন্য কাদলে মানুষে হাসবে, কিন্তু কে শোনে কার কথা, বেশরম, বেহায়া, কোন কথাই শোনে না, অঝর ধারায় পড়েই যাচ্ছে। আজ সেই বিচ্ছেদ গানটা বার বার মনে পড়ে যায়.........
আমার সোনামন পাখি, আমার প্রানের পান পাখি
আমি ডাকি তুমি ঘুমাইছো নাকি?
তোমার আমার দুজনাতে ছিল প্রেমের মাখামাখি
আমি ডাকি তুমি ঘুমাইছ নাকি।। ....................চির নিদ্রায় সুয়েগেল আর কথা বললো না।
ছেলেরা এতো করো বুঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু আমার অবুঝ মন কেন যেন মানতে চায় না। জীবনে তার কোন চাহিদা ছিল না। কোন ভাল শাড়ি না, কোন ভাল খাবার না, কোন গহনা না, কোন বিলাসিতা না, সুদুই তার সন্তানের লেখাপড়া। আজ যখন তার সন্তানরা লেখা পড়া শেষ করলো, দুই ছেলেই দুটো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার শেষ করে রুজির করার দরজায় এসে দাড়িয়েছে, ঠিক তথন সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। এত সুখ কে দেখবে, কে ভোগ করবে আমার জানা নাই, আপনাদের কি জানা আছে?
স্বামী স্ত্রী দু:খের সাগর পারি দিয়ে যখন সুখের নাগাল পাবো, ঠিক তথন আমাকে একা রেখে নিষ্ঠুরের মত মহান আল্লাহুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাকে আল্লাহুর জিম্মায রেখে গেলেন। আমি আমার সামু পরিবারের প্রত্যেক সদ্যসের কাছে নেক দোয়া কামনা করছি আমার প্রাণ প্রিয় "নার্গিস" সেখানে যেন ভাল থাকে। এবিদায় যে আমার জন্য এত কষ্টের হতে পারে কখনো ভাবিনী।
পুকুরের পাড়ে আমার নার্গিস ঘুমিয়ে আছে। আমি যেন দাওয়ায় বসে দেখতে পাই। তার পাশ্বেই আমার জন্য জায়গা করে রেখেছি, কখন জানি ডাক আসে জানি না। আমরা যেন পাশাপাশি থাকতে পারি, কেউ যেন বিরক্ত না করে।
"কুল্লু নাফসি যায়কাতুল মউত" জন্মের পরে মৃত্য আসবেই, কিন্তু এত তারাতারি যে তিনি চলে যাবেন, হয়তো ভাবিনি। তার অসুস্থ্যতার কারনে সামুতে বেশ দিন অনুপস্থিত ছিলাম, এখন হযতো নিয়ামিত থাকবো।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬