-
-
১.
বিচিত্র এই পৃথিবীতে বিচিত্র মানুষগুলো। তাদের নানান রঙের মন। কারো লাল, কারো নীল, কারো সবুজ, আবার কারোটা সাদা-কালো।
এখানে কাউকে আশ্বাস দিতে নেই; সময়ে-অসময়ে কারো পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা করতে নেই। কারো আশ্বাসে বিশ্বাসও করতে নেই। কখনো কখনো স্বপ্ন দেখতেও মানা।
ঘরের প্রতিটা দেয়ালে যেন প্রতিধ্বনিত হয় মিথ্যা আশ্বাসের বানী। আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব যেন বাঁকা হেসে মনে করিয়ে দেয় প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের মুহুর্তগুলো, মনে করিয়ে দেয় ব্যর্থ সময়ের ব্যর্থ স্বপ্নগুলোর কথা।
এখানে ক্ষণস্থায়ী সুখবোধ ছুঁড়ে ফেলে কেউ বাঁচে আপোষের জীবনে । কেউ বা বাঁচতে চায় তার সাময়িক সুখটুকুকে আশ্রয় করে।
“...আমার শরীর মানে আমি ও ছায়া
ছায়া মানে মৃত রোদ
আত্মাহুতি দেয় তাদের আলোর যৌবন সারাক্ষণ
মেঘে মেঘে ঢাকা পড়ে
চেনা অচেনা কত মুখ
ছায়ার শরীর ছায়ায়
বাঁচে আলোর ভয় ...” (ঘূণে খাওয়া রোদ)
২.
অথবা কেউ বাঁচে মিথ্যা স্বপ্নে। কল্পনায় আপন পৃথিবীতে নিজের মত করেই ভেবে নেয় অন্য সবাইকে। দিন শেষে ভুল ভাঙে। ভুল বোঝে অন্যদের; ভুল বোঝে অন্যরাও।
সেই কোনও একজন হয়ত একসময় ভুলে যায় সবকিছু। আবারো ফিরে যায় তার পুরোনো মিথ্যা স্বপ্নে।
"... স্বপ্নমঞ্চে মেলানো যায় না জীবন
অলীক স্বপ্নে বদলায় না বাস্তবতা
সময় বদলায়, বদলায় এ জীবন
ধীরে ফিকে হয়ে যায় আমার এ অস্তিত্ব ..." (ভুল জন্ম)
৩.
"এসব স্বপ্ন দেখা তোমার সাজে না। ওসব আমাদেরকেই মানায় ভালো। অতএব, স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস করো না কখনও।" একসময় একথাগুলোই প্রতিধ্বনিত হতো তোমাদের দেয়ালে দেয়ালে। সেই থেকে স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছি। স্বপ্ন ছাড়া বাঁচার অভ্যাস করতে শিখে গেছি। আজ আবার তোমাদের সেই দেয়ালেই প্রতিধ্বনিত হয় তিরষ্কারের সুর, "তুমি স্বপ্ন দেখতে পারো না! ধ্বিক তোমাকে! "
হা হা হা! আজ যত চেষ্টাই করো না কেন পারবে না আর আমাকে স্বপ্ন দেখতে বাধ্য করতে। এবার আমার বলার পালা,"ওসব তোমাদেরকেই মানায় ভালো। সুতরাং, আমাকে স্বপ্ন দেখানোর কিংবা দেখতে শেখানোর দুঃসাহস করোনা কখনও।"
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩২