১. বজরঙ্গি ভাইজান
কবীর খানের পরিচালনায় ‘ভাইজান’ সলমনের এ ছবি,
এ বছরের অন্যতম সেরা ব্লকবাস্টার৷ শুধু ব্যবসার
নিরিখে নয়, ছবির সামাজিক বার্তা আর বলিপাড়ার
বিনোদনের ফর্মূলাকে যেভাবে মেশানো হয়েছে
তা সচরাচর দেখা যায় না৷ বলিউডে এরকম ছবি কমই
হয় যেখানে বিনোদন ও সামাজিক বিষয় এমন
সমানুপাতে মিশে যায়৷ সলমনকেও এ ছবিতে পাওয়া
গিয়েছিল একেবারে অন্যভাবে৷ সাংবাদিকের
চরিত্রে মাতিয়ে দিয়েছিলেন নওয়াজউদ্দিন
সিদ্দিকি৷আর মুন্নির চরিত্রে সবার মন কেড়ে
নিয়েছিলেন ছোট্ট হর্ষালি মালহোত্রা৷
২. মাঝি
দশরথ মাঝির জীবন অবলম্বনে কেতন মেহতার এ ছবি৷
নিজের হাতে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি
করেছিলেন দশরথ৷ তাঁর জীবনকে অনবদ্য
সিনেম্যাটিক অভিব্যক্তিতে পরদায় তুলে
এনেছিলেন কেতন৷ দশরথের চরিত্রে অসাধারণ
অভিনয় করেছিলেন নওয়াজউদ্দিন
সিদ্দিকি৷একেবারে অন্যরকমভাবে পাওয়া
গিয়েছিল রাধিকা আপতেকেও৷ কাহিনি, অভিনয়,
দেশপ্রেম সব মিলিয়ে এ ছবি এ বছরের তো বটেই,
হিন্দি সিনেমার আকার্ইভেও তুলে রাখার মতো
সেরা একটি ছবি৷
৩. দৃশ্যম
দক্ষিণী ছবির রিমেক হলেও বলিউডের ‘দৃশ্যম’ এ
বছরের অন্যতম সেরা সিনেমা৷ উপস্তাপনার গুণে এ
সিনেমা আলাদা হয়ে উঠেছে৷ ছবির চিত্রনাট্যেই
ছিল টানটান উত্তেজনা৷ গোত্রে থ্রিলার এ ছবি
জানিয়ে দিয়েছিল, চোখের দেখাও ভুল হতে
পারে৷ পরিবারের জন্য একজন মানুষ কতদূর যেতে
পারেন তাইই দেখিয়েছিলেন পরিচালক নিশিকান্ত
কামাত৷ দুরন্ত অভিনয় করেছিলেন অজয় দেবগণ, টাবু,
রজত কাপুর প্রমুখ৷
৪বেবি
অক্ষয়কুমারের কেরিয়ারে নিঃসন্দেহে বড় জায়গা
করে নেবে এ ছবি৷ নীরজ পান্ডের এ ছবির বিষয়
ছিল দেশের সিক্রেট এজেন্সির কাজকর্ম৷
এজেন্টের ভূমিকায় ছিলেন অক্ষয়কুমার৷ সিক্রেট
এজেন্সির কাজের সূত্রেই ছবি যেভাবে
সন্ত্রাসদমনের ছবি তুলে ধরেছিল, তা আলোড়িত
করেছিল সারা দেশের মানুষকে৷ অভাবিত
বাণিজ্যিক সাফল্যও পেয়েছিল ছবিটি৷
৫. পিকু
বাবা-মেয়ের সম্পর্কের মাধুর্য, পারিবারিক বন্ধন,
প্রেম-সব মিলিয়ে ক্যানবাসে যেন এক মনোরম
গার্হস্থের ছবি এঁকেচিলেন পরিচালক সুজিত
সরকার৷ অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনয়ে অমিতাভ বচ্চন আরও
একবার মনে করিয়ে দিয়েছিলেন কেন তিনি বিগ
বি৷ যোগ্য সঙ্গতে ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন ও
ইরফান খান৷
৬.. বাজিরাও মস্তানি
পেশোয়া বাজিরাও ও তাঁর আধা মুসলিম স্ত্রী
মস্তানির জীবন অবলম্বনে তৈরি এ ছবি পরিচালক
সঞ্জয় লীলা বনশালীর একটি ‘মাস্টারপিস’৷
সঞ্জয়ের সিগনেচার হিসেবে এ ছবিও নান্দনিক৷
সেই সঙ্গে দুরন্ত অভিনয় করেছেন রণবীর সিং,
দীপিকা পাড়ুকোন ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া? তবে
অসহিষ্ণুতা নিয়ে দেশের বাতাস যখন ভারী, তখন
ধর্মের উর্ধে প্রেমের নিশানকে আরও একবার
উড়িয়ে দিল এ ছবি৷
৭. দম লাগাকে হাইস্যা
এ ছবির বিষয়ও চিল চমকে দেওয়ার মতো৷
নায়িকাদের চেনা ছবিকে ভেঙে ভূমি
পেদিনীকরের অভি,েক হয়েছিল ছবিতে৷ কল্পনা
আর বাস্তবের মিল কখনও হয়, কখনও হয় না৷ কিন্তু
তাতে সম্পর্ক কতখানি প্রভাবিত হয়, সম্পর্কের আসল
বাঁধন কোথায় লুকিয়ে তাইই দেখিয়েছিল এ ছবি৷
আর সেই সঙ্গে ফিরে এসেছিল পুরনো দিনের
গানের সুর৷
৮তানু ওয়েডস মানু রিটার্নস
বছরের অন্যতম সেরা ‘এন্টারটেইনিং’ ছবি৷ ‘তানু
ওয়েডস মানু’ ছবির সিকুয়েল এ ছবিতে অসাধারণ
অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত৷ দ্বৈত
চরিত্রে এমন শক্তিশালী অভিনয় বহুদিন দেখা
যায়নি বলিপাড়ায়৷ খোদ ‘বিগ বি’ কঙ্গনাকে
নিজের হাতে চিঠি লিখে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন৷
আনন্দ এল রাইয়ের এ ছবি দাম্পত্যের এক গভীর
সত্যিও তুলে ধরেছিল পরদায়৷
৯
মার্গারিটা উইথ দ্য স্ট্র
ছবির বিষয় ছিল বেশ চমকে দেওয়ার মতো৷
সেরিব্রাল পালসির মতো জটিল অসুখে আক্রান্ত
নারীরও যে যৌনচাহিদা থাকে, এই সমাজের
ব্যবস্থায় তা যে অবদমিত হয়ে থেকে যায়-এরকমই
বিষয় উঠে এসেছিল ছবিটিতে৷ সোনালী বোসের
পরিচালনায় এ ছবিতে নিজের অভিনয় প্রতিভা
চিনিয়ে দিয়েছিলেন কালকি কোয়েচলিন৷
১০. এনএইচ টেন
ছবিতে প্রযোজক হিসেবে অভিষেক হয়েছিল
অনুষ্কা শর্মার৷ দুরন্ত অভিনয়ও করেছিলেন তিনি৷
খাপ পঞ্চায়তের নিষ্ঠুরতা এবং সেই সূত্রে ওম্যান
এমপাওয়রমেন্টের বার্তা রাখা ছিল ছবিতে৷ ছবিটি
পরিচালনা করেছিলেন নভদীপ সিং৷
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১