ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির শাস্তি কাটিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা হলো চমক জাগানিয়াই। ব্যাটসম্যান আশরাফুলের বদলে বোলার আশরাফুলকেই প্রথম দেখা গেল ফেরার ম্যাচে। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর আশরাফুল তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট।
আশরাফুল ফিরতে পারতেন আগের ম্যাচেই। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষেই। কিন্তু বৃষ্টির কারণে খেলাটা ১৫ ওভারের বেশি হতে না পারায় আশরাফুল অপেক্ষাতেই ছিলেন। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো পরের ম্যাচে। তবে ব্যাটসম্যান নয়, তিনি দেখা দিলেন ‘বোলার’ হয়েই।
টসে জিতে ব্যাট করা বরিশালের শুরুটা ভালো দেননি আশরাফুলই। প্রথমে শামসুর রহমানের ক্যাচে ফজলে মাহমুদকে আউট করার পর এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ফিরিয়েছেন ফর্মে থাকা শাহরিয়ার নাফীসকে। আগের ম্যাচে ৭২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলা নাফীস আশরাফুলের বলে এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফিফটি থেকে ২ রান দূরে—৪৮ রানে। মোট ১৩ ওভার বল করে ৫ মেডেনে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট আশরাফুলের—পুরোদস্তুর এক বোলারের পারফরম্যান্স যেন।
আশরাফুল বরাবরই বোলার হিসেবে কার্যকর। সে প্রমাণ মিলেছে বারবারই। ৬১ টেস্টে ২১ উইকেট ক্ষণকালীন বোলার হিসেবে খুব খারাপ কিছু নয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর বোলিং রেকর্ড দেখে ১৩৫টি ম্যাচে এখনো পর্যন্ত তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৩৬।
টেস্টে ২০০৩ সালে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪২ রানে ৩ উইকেটই হয়ে আছে দীর্ঘ পরিসরে তাঁর সেরা বোলিং। ১১৭ ওয়ানডেতে ১৮ উইকেট আছে তাঁর। ২০০২ সালে কলম্বোয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রানে ৩ উইকেটই তাঁর ক্যারিয়ার-সেরা। ব্যাটসম্যান পরিচয়ের ভারে ঢাকা পড়ে যাওয়া তাঁর বোলার পরিচয়টি নতুনভাবেই প্রকাশ পেল তাঁর প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে।
এখন ব্যাট হাতে কী করেন, সেটাই দেখার।
সূত্রঃ প্রথম আলো ।