আগে চীনের লক্ষ্য ছিল আমেরিকার হুমকি মোকাবেলা করে নিজ অঞ্চলে অর্থাৎ তার প্রতিবেশি দেশের মধ্যে গ্রেটপাওয়ারে পরিণত হওয়া যেমনটা আপাদত রাশিয়া আছে।
কিন্তু না, চীন এখন বিশ্বের কতৃত্ব চাইছে, এবং এটাই বেশিরভাগ আমেরিকান থিংক ট্যাংকের ধারণা। চীনের ধারনা ট্রাম্পের আসার পর কিছুটা এরকম, " Be killed or kill"।
আমেরিকার নিক্সন সরকার যখন চীনকে নিরাপত্তা পরিষদে স্থান দিয়েছিল এর অন্যতম কারণ ছিল তারা ভেবেছিল, "চীনের মানুষ এমনিতেই মুক্ত বাণিজ্যের পরশে ও লিবারেলিজমে বিশ্বাস হয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে উপড়ে ফেলে দিবে৷"
এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
চীনের অঞ্চলিক শক্তি বিস্তারে বাধা ভারত। আর ভারত হংকং এর পিছনে যে গোপন তাল দেয়না এর প্রমাণ কি? তাই এর ব্যালেন্স করতে চীন এখন ভারতের ভূখন্ড নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করেছে যার একটু আচ নেপালেও পড়েছে। নেপালও ভারতের ভূমি তাদের মানচিত্রে নিজেদের দাবি করছে, পাকিস্তানও কাশ্মিরে এখন আরও নজর দিচ্ছে।
ভারতও ছাড় দিতে রাজি না। পাল্টা চীনের নানান পন্যে নিষেধাজ্ঞা দিল। লাদাখ নিয়ে অনেক কিছু হল তারপর এখন অনেকটাই ঠান্ডা। যদিও চীনের বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার অনেকটাই দিল্লির দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে।
ভারত চাপে পড়ে যদি ইউএসের কথাত কান দিয়ে কিছু করে ফেলে কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিনা তবে এশিয়ার কপালে দুঃখ আছে যদি চীনের খারাপ কিছু হয়।
কেননা আমেরিকার একমাত্র উদ্দেশ্যই সাম্রাজ্যবিস্তার৷ মাঝখান থেকে ভারত-চীন উভয়ের থেকে লাভবান হবে রাশিয়া।
চীনের সাথে যুদ্ধজড়ানোর মতো ভুল ভারত করবে না আশা করা যায়। কেননা এতে উভয়েই নিউক্লিয়ার অস্ত্রের অধিকারী। যদিও ফুল স্কেল ওয়ার হবেনা বলা যায়৷
ভারত কাউন্টার হিসেবে চীনের মতো অর্থনৈতিক খেলা খেলতে পারে। তবে ছোট আকারে ভবিষ্যতে যুদ্ধ হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাও আবার ট্রাম্প সাহেব যদি আসেন কথাই নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০২