ইহা একটি সত্য ঘটনা। একটু আগে খবর পেলাম একটা মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের ছোট্ট একটা বাচ্চা আছে।
আপনার এমন মনে হতে পারেঃ
১। স্বামীর পরকীয়ার কারণে স্ত্রীর আত্মহত্যা, অথবা
২। একটা মেয়ের কারণে আরেকটা মেয়ের আত্মহত্যা
প্রথম ক্ষেত্রে, লোকটার চরিত্র খারাপ। বউ-সন্তান রেখে অন্য একটা মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়েছে। অনেকদিন এভাবে চলতে চলতে একদিন লোকটি ঐ মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই খবর শুনে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করে।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, মেয়েটা জানে যে ঐ লোকটার স্ত্রী-সন্তান আছে। তারপরও সে ঐ লোকের সাথে বিবাহ-বহিঃর্ভুত সম্পর্কে জড়ায় এবং তার সাথে পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এর বিচার কি? এখানেও দুইটা বিষয়ঃ
১। আত্মহত্যায় প্ররোচনা
২। ব্যাভিচার
আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিচার হয়তো করা যাবে, হয়তো কয়েক বছরের জেল। আর মামলা চালাতে গিয়ে কাহিল হয়ে গেলে অথবা ছোটবোনের সাথে বিয়ে দিয়ে মামলা মিটমাট হয়ে যাবে। কিন্তু যে মেয়েটা মারা গেল তার কি হবে?? (প্রসঙ্গতঃ মিতানুরের স্বামীর ক্ষেত্রে হয়তো এরকম একটা কিছু ঘটতে যাচ্ছে।)
কিন্তু ব্যাভিচারের বিচার কি করা যাবে? ধর্ম তো আনা-ই যাবে না, পত্রিকায় ছাপা হবে, "মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন"। অথচ, ঐ মেয়েটার আত্মহত্যার কথা শুনে ঐ পুরুষকে বা ঐ মেয়েকে আপনার মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু ব্যাভিচার বন্ধে দোররা মারা যাবে না ধর্মের রীতি মেনে ব্যাভিচারের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া যাবে না। যাইহোক, ব্যাভিচার তো বন্ধ হতে হবে, নইলে মিতানুররা আত্মহত্যা করতেই থাকবে। পরকীয়াকারী বা অবিবাহিতদের স্বেচ্ছায় যৌনমিলনে শাস্তির বিধান কি বাংলাদেশে আছে? বাংলাদেশের সমাজ খুব পরিবর্তন হয়ে গেছে। ব্যাভিচার ব্যাপারটা বেশ স্বাভাবিক হয়ে গেছে। বয়-ফ্রেন্ড, গার্ল-ফ্রেন্ড একসাথে একান্তে চলা এখন স্বাভাবিক। অথচ এটা ব্যাভিচারের পর্যায়ে পড়ে কিনা, অভিভাবকদের সেটা ভেবে দেখা উচিৎ।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৩