১৯৪৮ সালের ১৪ই মে দাভিদ বেন গুরিয়ন ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তার পরের দিনই প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্রগুলো তাদের সামরিক বাহিনী দ্বারা ইহুদীদের ওপর হামলা চালায়, বেন গুরিয়ন ঐ মূহুর্তে সকল ইহুদীকে দেশের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান, কারণ তখনো ইসরায়েলের নিয়মিত সামরিক বাহিনী তৈরী হয়নি। যুদ্ধে ইসরায়েল জয়লাভ করেছিলো। বেন গুরিয়ন পশ্চিম জার্মান সরকারের কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকস্ট এর জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন এবং পশ্চিম জার্মানীর কনরাড আডেনাউয়ারের সরকার ইসরায়েলকে ৩ বিলিয়ন মার্ক অর্থ দিয়েছিলো। এমনকি ২য় বিশ্বযুদ্ধের ২৫ বছর পর জার্মান চ্যান্সেলর উইলি ব্র্যান্ট (Willy Brandt) ১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর পোল্যান্ডের ওয়ারশোতে ঘেটো বীরদের স্মৃতিসৌধে হাঁটু গেড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ইহুদীদের সম্মান দেখান ও পোলিশ জনগণের কাছে ক্ষমা চান, উৎস : Willy Brandt: জার্মানি, ইউরোপীয় এবং কসমোপলিটান । নিচের ইউটিউব ভিডিওতেও (Willy Brandt asks for forgiveness | 1970) আপনারা তা দেখতে পারবেন।
অন্যদিকে :
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন এবং জনগণকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করেন। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামের গণহত্যাযজ্ঞ। ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে আটক হন শেখ মুজিবুর রহমান। আটকের হওয়ার পূর্বে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে যান। নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালি জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে ৩০,০০,০০০ শহীদ হন ও প্রায় ২,০০,০০০ নারী মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষিত হয়।
কিন্তু ইসলামি প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান ১৯৭১ -এর নৃশংসতম গণহত্যা ও ক্ষতির জন্য এখন পর্যন্ত ক্ষমা চায় নি ও ক্ষতিপূরণ দেয় নি।
এখান থেকে কি এটাই বোঝা যায়: পাকিস্তান, নাৎসি জার্মানির চেয়েও বর্বর !!!