ঈশ্বরদী: পরীক্ষার ফিস দিতে না পারায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী বিলকিস খাতুন (১৪)।
রোববার সন্ধ্যায় পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, কচুয়া গ্রামের হতদরিদ্র নজু প্রামানিকের মেয়ে কচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী বিলকিস খাতুন ফি`র টাকা জমা না দিয়েই রোববার দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে যায়।
এসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম পরীক্ষার হলে সহপাঠিদের সামনেই বিলকিসকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এতে চরম অপমানিত কিশোরী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে ফিরে যায়। একপর্যায়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে বিলকিসকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বিলকিসের বাবা নজু প্রামানিক বাংলানিউজকে জানান, সোমবার পাট বিক্রি করে মেয়ের পরীক্ষার ফি স্কুলে জমা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি গত শনিবার। কিন্তু পরীক্ষার প্রথম দিনেই আরিফ স্যার আমার মেয়েকে চরম অপমান করেন। মেয়ে তা সহ্য করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া থানার ওসি মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা তিনি বলেন- মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আমাদের কাছে দরখাস্ত নিয়ে এলে অবশ্যই মামলা রেকর্ড করা হবে।
View this link