ওয়াশিংটনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট প্রণীত নতুন এক রিপোর্টে বাংলাদেশের আইনের শাসন প্রশ্নে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। ‘‘আইনের শাসন, তত্ত্বে নয়, বাস্তবে’’ শীর্ষক বক্তব্য দিয়ে নির্দেশক প্রণীত হয়। ৬৬টি দেশ নিয়ে গঠিত নির্দেশকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। জুনে ওয়াশিংটনের এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টে বাংলাদেশের প্রশাসনিক সংস্থাসমূহ ও আদালতসমূহকে অত্যন্ত অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিহিত করা হয়। গতকাল শনিবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক নিউএজে ডেভিড বার্গম্যানের লিখিত এক নিবন্ধে এ বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধের নাম ‘‘বাংলাদেশ কোর্টস এক্সটিমলি ইনইফিসিয়েন্ট করাপট : রিপোর্ট’’।
ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের খানাজরিপ রিপোর্টের সাম্প্রতিক তথ্যানুসন্ধানে ইনডেক্সের প্রতি সমর্থন দেখা গেছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এতে দেখা গেছে, বিচার বিভাগকে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সার্ভিস সেক্টর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আদালতসমূহ থেকে যারা সেবা পেতে চেয়েছিলেন এ ধরনের মন্তব্য তাদের বলে খানাজরিপে বলা হয়েছে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও সুপ্রিমকোর্টের অন্যান্য সিনিয়র জজ টিআইবির রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। জুনে প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন লন্ডনে এক সম্মেলনে বলেছেন, বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থা দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে চমৎকার ভূমিকা পালন করছে। সিনিয়র আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন নিউ এজকে বলেন, তিনি মনে করেন যে ব্যাপকভিত্তিক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত রিপোর্টটি অস্বাভাবিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, নিম্ন আদালতসমূহে সামান্য পরিমাণ দুর্নীতির মামলা থাকলেও সার্বিকভাবে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ২ ছেলের বিরুদ্ধে মামলার কারণেই বিএনপি নিম্ন আদালতের বিচার নিয়ে তীব্র সমালোচনামুখর হয়ে উঠে। ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের নতুন রুল অব ল ইনডেক্স ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় এক হাজার মানুষের ওপর জনমত জরিপ চালিয়ে এবং প্রশ্নকারী বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে বাংলাদেশে ডাটা সংগ্রহ করে।