২০১৫ সালের প্রথম দিক থেকেই রনি আহমেদের সাথে এই অনলাইন আলাপটি শুরু হয়। চলে প্রায় ইয়ার লং, মানে প্রায় লাস্ট অফ দি ফিফটিন। উনার সর্বশেষ সলো এক্সিবিশন “গডস এন্ড বিস্ট” ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার আগে আগেই শেষ হয় এই আলাপ। রনি আহমেদের আর্ট নিয়ে আলাপ, উনার আর্ট চিন্তা নিয়ে আলাপ। দীর্ঘ ইন্টারভিউ বলা চলে। আসুন ইন্টারভিউটা পড়ি।
মঈন উদ্দিনঃ আপনার বাবার কি ধরণের চিন্তা আপনার মধ্যে প্রভাব ফেলে ? একটু খুলে বলেন...
রনি আহম্মেদঃ He was a man of great vision. বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন, ঔষধ নীতি, উপজেলা সিস্টেম এগুলোর গোড়ার চিন্তায় তার অবদান আছে। এছাড়া মহাকাশ নিয়ে তার অনেক ভাবনা ছিল। এবং তিনি আমাকে বলতেন-Always think about the space, ওটা তোমাকে বড় চিন্তা করতে সাহায্য করবে। আর ক্রিয়েটিভ জিলগুলো পেয়েছিলাম মায়ের ফ্যামিলি থেকে, আমার মামারা সবাই অনেক কালচারাল ক্রিয়েটিভ...
মঈন উদ্দিনঃ আর্টিস্টের ব্যাক্তিগত লাইফ লিডিং প্র্যাকটিসের সাথে তার চিন্তা এবং আর্টওয়ার্কের মধ্যে অনেকসময় ক্ল্যাশ দেখা যায়। আবার একটা চিন্তা/আর্টওয়ার্ক আরেকটার কাউন্টার চিন্তা হয়ে যায়, সেলফ-কন্ট্রাডিকশন বলা যেতে পারে। ব্যাপারগুলাকে কিভাবে দেখেন ?
রনি আহম্মেদঃ আর্টিস্ট আর ব্যাক্তিগত লাইফ এক না হলে আর্ট করা সম্ভব নয়। একটা গভীর কেমেস্ট্রির দরকার হয়, নাহলে আর্ট পালায়। Art is a entity, or a kind of girlfriend, if you don’t care, she will fly… হা হা হা...
মঈন উদ্দিনঃ আপনি ম্যারিড ?
রনি আহম্মেদঃ Once...Not Anymore.
মঈন উদ্দিনঃ লাইফ পার্টনার রাইটার অর আর্টিস্টদের উপর ইফেক্ট ফেলেন, লাইক জীবনানন্দ এন্ড লাবন্য দাস। আবার নারীর ব্যাপারে এসএম সুলতানকে একদম নির্মোহ দেখা যায়। আবার নজরুল তো আছেই। মানুষ একগামী না বহুগামী এটা নিয়েও আছে কনফ্লীক্ট। সুমন রহমানের একটা গল্প আছে ‘মনোগ্যামির ভুত’... মেইল-ফিমেলের সাইকো-ফিজিক্যাল রিলেশনকে কিভাবে নেন?
রনি আহম্মেদঃ কখনো এই পার্টনারশিপ বিশাল কিছুর জন্ম দেয়, কখনো ধ্বংসের, ডিপেন্ডস কি রকম আন্ডারেস্টিং, এপ্রেসিয়েশন এসবের উপর।
মঈন উদ্দিনঃ আর্টওয়ার্ক কি কয়েকজনে মিলে করা পসিবল? যেমন যৌথভাবে গল্প-উপন্যাস লিখা। আপনি নিজেও শিবব্রত বর্মনের সাথে ‘ ১০০০ আরব্য রজনীর একটি অংশ ১০০০ বছর পরে বলা’ গল্প লিখছেন, উনি শুরু এবং আপনি গল্পের শেষ করেন। অনেকে বলে থাকেন যে দুইজনে মিলে কেবল প্রোডাকটিভ বলতে সন্তান জন্ম দিতে পারেন, আর্ট নয়...হা হা হা...আপনার থিংকিং কি ?
রনি আহম্মেদঃ কখনো সম্ভব, কখনো নয়। ইট অল ডিপেনডস ঐ দুইজন বা কয়েকজনের মধ্যে কি রকম চিন্তা চেতনা ইমোশনের মিল। কোয়েন ব্রাদারসরা ওয়ার্ল্ড ফ্যামাস মুভি বানাচ্ছেন, গানের ব্যান্ডগুলা একসাথে গান করছে, এটা মিউচুয়াল অর্কেস্ট্রার বিষয় যেটা অনেকগুলো মানসিক তরঙ্গকে এক করে। হাজার হাজার মানুষ মিলেও শিল্প হয়। যতদুর জানি মহাভারতটায় পরবর্তিতে প্রচুর ইমপ্রোভাইজেশন হয়েছে যুগ যুগ ধরে। same goes for many epic tales of the world. তাজমহলের মত মহাশিল্প তৈরি করতে কত লোকের দরকার পড়েছিল?
মঈন উদ্দিনঃ কবিতায় অবসিন নিয়ে প্রশ্ন উঠে প্রায়শ। কবিতায় কি থাকবে কি থাকবেনা এটা ঠিক করে দেয়াকে কিভাবে দেখেন ? আবার অনেকে কবিতার ডেফিনেশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আবার কেউ বলছেন কবিতা বলে কিছুনাই! Poetry is rumour !
রনি আহম্মেদঃ আমার এনিমেশন ফিলমে আমি লিখেছিলাম, Poetry rules the earth. কারণ ধর্ম গ্রন্থগুলো কবিতার ফর্মে লিখা, আর এগুলো এটার্নিটির ট্রুথ, আল্টিমেট কবিতা। এই গ্রন্থগুলো পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ ফলো করে। অবসিন একটা সামাজিক স্টেট, একটা কালচারাল দৃস্টিভঙ্গি, কিন্তু কবিতা হলিস্টিক এপ্রোচ। এটার মধ্যে হোল ইউনিভার্স আছে, আর ইউনিভার্সের মধ্যে অবসিনিটি থাকতেই পারে। সব আর্ট ফর্মকে একটা নির্দিষ্ট আর্ট ফর্মে দেখা যায়। আবার আলাদা করেও দেখা যায়। একেকটা শিল্প একেক রকম ভাব প্রকাশ করে। ভাবটাই বিষয়। রেসলিং এর ভাব আর কবিতার ভাব যদি আলাদা হয়, তাইলে কবিতা আছে। আর ডেফিনিশন ডিপেন্ড করে শিল্পের বা সমাজের হিস্টোরিক্যাল পজিশনের উপর। ডেফিনিশন সবসময় পরিবর্তনমুখী। যেমন মানুষের নিজের ডেফিনেশনও। এখন আপনি যে after one year you are not the same person !
মঈন উদ্দিনঃ সাইন্স দিয়ে সাইন্স বুঝা যায়, নাথিং এলস... এধরনের ফিলিং কেন হল আপনার?
রনি আহম্মেদঃ সাইন্সের একাডেমিক এটিচিউটটা বললাম। আপনি সাইন্স দিয়ে বুঝতে হলে সাইন্টিফিক কনক্লুশনে আসতে হবে। ক’জ এন্ড ইফেক্টের জগত হল সাইন্স। ক্রিয়েটর আছে কি নাই এটা সাইন্সকে ক’জ এন্ড ইফেক্ট দিয়ে বুঝতে হয়। কিন্তু ওইটা ওভাবে বুঝার জিনিস না। এটা বিলিভের বিষয়, তাইলে বুঝা যাবে। বাংলায় প্রবাদ আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু কিন্তু তর্কে বহুদুর, এই তর্কটাই কিন্তু সাইন্স। আর বিশ্বাস হল স্পিরিচুয়ালিজম। এবং সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল, কোয়ান্টাম মেকানিক্স কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিলিভের দ্বারপ্রান্তে এসে যাচ্ছে। বিষয়গুলো এত কমপ্লেক্স যে, একসময় হয়ত সাইন্সকে বিলিভের হাইপার-জাম্পে এসে থামতে হবে। At the end, science itself is search of the God. আপনি সকল কিছুর অর্থ খুঁজতেছেন এই সাইন্স দিয়ে। এবং স্পিরিচুয়াল জগত কিন্তু পুরোটায় সাইন্টিফিক নিয়মে ঘটে থাকে, যাকে আল্টিমেট সাইন্স বলা যায়। আমাকে একজন প্রশ্ন করেছিল কিভাবে মহাকাশ পাড়ি দেয়া যায়। এই যে অনন্ত বিস্তৃতি...আমি বলেছিলাম একমাত্র চিন্তা দিয়ে, কল্পনা দিয়ে। ফিউচারে এমন স্পেসশিপ আসবে যা কল্পনা দিয়ে চলে। ইমোশন, চিন্তা, কল্পনা, বিশ্বাস এসবই কিন্তু ফিউচার সাইন্সের অংশ হয়ে যাবে। সাইন্সের শেষ হবে এর শুরু থেকে, আগুন আবিস্কারের মধ্যদিয়ে, যে আগুন তৈরি করবে টাইম...স্পেস...
মঈন উদ্দিনঃ কসমিক সেক্স মুভিটা দেখেছেন ?
রনি আহম্মেদঃ হ্যাঁ...দেখলাম।
মঈন উদ্দিনঃ কেমন লাগল?
রনি আহম্মেদঃ বানানো এবং স্টোরি টেলিংটা কিছু হয় নাই, কিন্তু বিষয় বস্তুটা ভালো এই অর্থে যে ওটা আনচার্টেট টেরিটোরি...তবে সিনেমাটা অনেক মাচিউরড হতো যদি মাচিউরড দৃষ্টিভঙ্গি থাকত। সেক্স আর সাধনার অসাধারণ আর্টওয়ার্ক হতে পারতো। Realm of the Senses’ ছবিটার মত...
মঈন উদ্দিনঃ আপনি গ্রামে ছিলেন কখনো? প্যাসটোরাল লাইফকে কেমন মনে হয়? এসএম সুলতান যেভাবে মিশে গেছিলেন...
রনি আহম্মেদঃ না, গ্রামে ওভাবে থাকিনি। দুই আড়াই মাস এভাবে। ওয়ান্ডারফুল লেইডব্যাক জীবন। আমার স্লো লাইফ ভালো লাগে। প্যাস্টোরাল লাইফ তো স্বাভাবিক জীবন, নগর জীবন হল উত্তেজনার জীবন। যেকারণে নগর জীবনে এংজাইটি বেশি, ন্যাচার ওখানে অলমোস্ট ভার্চুয়ালিটির মধ্যে থাকে আর গ্রামীন জীবন শান্ত, ফ্রোজেন মিউজিকের মত...অনেক ইনফর্মাল, যেটা ভালো লাগে। বরাবরি নগর মানে এক বিশাল পাওয়ার হাউস অথবা সিম্বল অফ হিম্যান এম্বিশান, সিভিলাইজেশন। আর গ্রাম হল মানুষের প্রকৃত বাসস্থান। আদি উপাদান কেন্দ্র। গ্রাম যদি অরগানিক হয় তবে শহর হল হাইব্রিড, হা হা জিনিসটা এরকমই। এসএম সুলতান একজন ম্যাজিক আর্টিস্ট। তার পেইন্টিং গুলো আদি পৃথিবীর রিচুয়ালের মত। তার ছবি রিচুয়ালকে পোট্রেইট করে। মিথিক্যাল এনার্জিকে নিয়ে আসে। বিশাল পেশীবহুল ফিগারগুলা একেকটা ভীম, হারকিউলিস অথবা অন্য প্ল্যানেটের এলিয়েন মিথের মত। দে আর নট ফ্রম দিস রিয়েলিটি। আর তার ভিলেজও কিন্তু ভিলেজ নয়, পার্ট অফ দি রিচুয়াল। উনি একটা মেটাফিজিক্যাল রিচুয়াল রিয়েলিটির সাথে বাংলার ন্যাচারকে এক করেছেন। গ্রামকে একটা মায়া নির্ভর ফোর্স হিসেবে দেখিয়েছেন। উনি বাংলার গ্রামে মিশে গিয়ে একধরনের টাইম ট্রাভেল করেছেন। হাজার বছর পিছিয়ে গিয়ে দূর থেকে গ্রাম বাংলার কসমিক এনার্জিকে এগ্রিকালচারাল এনার্জির মুখোশ পড়িয়ে প্রকাশ করেছেন, এটাই সুলতানের মিসটিক ভিশন টোওয়ার্ডস হিজ লাইফ এন্ড ওয়ার্কস। তার পেইন্টিংকে পাগান এগ্রিকালচারাল রিচুয়াল বলা যায়। ব্যাক্তিগত জীবনে শুনেছি তিনি তান্ত্রিক প্র্যাকটিসে ছিলেন। পানি পড়াও দিতেন মানুষজনকে! আর প্রানিদের ভাষা বুঝতে ও তাদের সাথে কমিউনিক্যাট করতে পারতেন সুলতান। তাই এসব বাদ দিয়ে কিন্তু তাকে বুঝা যাবে না। রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলা যেমন তার প্লানচেট করার প্র্যাকটিস ছাড়া উপলব্ধি বা এক্সপ্লেইন করা যায়না তেমন। রবীন্দ্রনাথের ঐ হন্টেড ফিগার এটমোসফিয়ার তো আর এমনি এমনি আসে নাই, ডার্ক স্পিরিটদের জগত থেকে এসেছে।
মঈন উদ্দিনঃ ভারতনাট্যমকে স্পিরিচুয়াল সিমবল বলা হয়...লর্ড শিবা,অফারিংস...আরো অনেক কিছু। আপানার ভারত নাট্যাম কেমন লাগে ?
রনি আহম্মেদঃ ভালো লাগে। এটা কসমিক ড্যান্স। লর্ড শিভা রিপ্রেজেন্টস প্রোটেকটর, ডেমোনিক ফোর্স থেকে প্রোটেকট করেন। ডেস্ট্রোয়ার, ইউনিভার্সকে শিবের নৃত্য দিয়ে ধ্বংস করে ব্রহ্মার জন্যে সৃষ্টির পথ তৈরি করেন। এটা ফায়ারকে রিপ্রেজেন্ট করে। ভারত নাট্যম হল ফায়ারের বিভিন্ন ভঙ্গি। ফায়ার, আর্থ, এয়ার, ওয়াটার এই পাঁচটা উপাদানের মহিমাকে নাচ প্রকাশ করে। তাই ড্যান্স অফ ক্রিয়েশন আর ডেসট্রাকশন সবই এই নৃত্যকলায় আছে। আবার এই ফাইভ এলিমেন্ট দেখেন, সব জায়গাতে, যোগা, ফেন সুই, বাউল ঘরানা, সুফিজম, জৈন, হাইয়ার সেলফের চর্চা এই ফাইভ এলিমেন্টের মাস্টার হওয়াকেই বুঝায়। আপনি যদি এয়ার (দম) এর সাধনায় মাস্টার হন তবে বাকিগুলোকে বুঝা যাবে। ন্যাচারের ফোর্সকে বুঝা কিন্তু সাইন্স আর ধর্মের কাজ, এর বাইরে কিছু নাই।
মঈন উদ্দিনঃ ফিদা হুসেইন ন্যুডিটিকে হিন্দুইজমে পিউরিটির সিমবল বলেছেন। তিনি নিজেও ভারতমাতাকে এজ ন্যুড উইম্যান আঁকছেন। আবার দেখা গেল ‘মিনাক্ষীঃ এ টেল অফ থ্রি সিটিজ’ এ নায়িকা টাবুর রূপ-সৌন্দর্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন ‘নুর-উন-আলা-নুর’...ফ্রম কোরান। ফিদা মকবুল হুসেনের কাজ নিয়ে বলেন। উনাকে নিয়ে তো বিতর্ক আছে বাংলাদেশ এন্ড ইন্ডিয়াতে...
রনি আহম্মেদঃ ফিদা হুসেন সুফি ঘরানার লোক ছিলেন। আপনি সাধনার উচ্চ পর্যায়ে গেলে সব কিছু এক মনে হবে। লাইট এন্ড ডার্কনেসের পার্থক্য স্পস্ট হবে, এটা বিশাল অর্জন। চোখের পর্দাগুলা সরে যায়। জন্ম ও মৃত্যুর সময় আমরা ন্যুড থাকি। যে দেহ কবরে যায়, বা পুরোনো হয় তা তো কাপড় থাকলেও মাটি আর আগুনের কাছে সে তো ন্যুড। এরচেয়ে পিউর অরিজিনাল আর কে আছে! সারা আর্ট হিস্ট্রি দেখেন, কয়টা ফিগারে কাপড় আছে! ৩০ পার্সেন্ট? বাকিগুলো ন্যুড ! আর্টিস্টরা বরাবরি দেহতত্বে বিশ্বাসী। যে যত বড় সে তত দেহের মধ্যে ইনফিনিটিকে আনতে পারে। ইউনিভার্সকে পোয়েটিক্যালি দেখাতে পারে। ফিদা কালারের শিল্পী, তবে আমার কাছে মনে হয় তিনি আলো’রও শিল্পী। হোয়াইট কালারের শিল্পী। সাদার মধ্যে সাত রঙ থাকে, রংধনুর মত তার পেইন্টিং। লাইট পাসিং থ্রু এ প্রিজম। সাদা রঙ/আলোর বর্ণালী পোশাক। হি ইজ এ ট্রু সুফি পেইন্টার অফ সাব-কন্টিনেন্ট, এন্ড দি ওয়ার্ল্ড। বিতর্ক থাকবে...সব বিদ্যা সবার জন্য না...সব খাদ্য সবার জন্য না।
মঈন উদ্দিনঃ এফডিসি এর মুভি সম্পর্কে আপনি কি কিছু বলছিলেন? যে আপনার মনে হচ্ছে বাংলা সিনেমার ওই অবাস্তবতার ভিতরে একধরনের ম্যাজিক রিয়েলিজম আছে...এভাবে...নাকি আমার ভুল হচ্ছে?
রনি আহম্মেদঃ হ্যাঁ বলছিলাম... ওই ছবিগুলা আসলেই একধরনের ফোক মুভি, এবং ফ্রী ফ্লোয়িং। কোনো অরগানাইজ স্ট্রাকচার নাই, বাট একটা বিশেষ ভঙ্গিতে আনরিয়েল রিয়েলিটি বা রূপকথার মত একটা বিষয় দাড় করায়। এবং সেখানেই নিম্নবিত্ত মানুষের ফ্যান্টাসি। ক্লাস স্ট্রাগল কালচারকে মোস্টলি নন-ফিলোসোফাইজড করে প্রকাশ করে, ফলে সব মিলায় এগুলাকে আমাদের অঞ্চলের ম্যাজিক রিয়েলিজম বলা যায় যেখানে নায়ক অলওয়েজ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট রেজাল্ট করে...অথবা গাড়ির ড্রাইভার হয় আর নায়িকা ধনীর দুলালি যার হাতে ব্যাডমিন্টন র্যা.কেট, ভিলেন শুধু রেপ করতে চায়...আর প্রায়ই ঔষধ কেনার টাকা থাকেনা গরিব কোন মায়ের। মান্নার একটা ছবি দেখেছিলাম... মা ছেলের সামনে রেইপড হয় ছোট বেলায়, এই কারনে ছেলের সাথে ডাইরেক্ট কথা বলেনা লজ্জায়, ছেলের বন্ধুর মাধ্যমে কথা বলে। তো, ছেলে শহরের সবচেয়ে বড় মাস্তান। মা ছেলের বন্ধুকে বলে ফ্রুট খাবে। ছেলে তা শুনে শহরের সব ফ্রুট ট্রাকে ট্রাকে নিয়ে আসে। মা বলে, এত ফ্রুট ক্যান ! ছেলে তার বন্ধুকে বলে, মা তো ফ্রুট খাইতে চাইছে কিন্তু কি ফ্রুট সেটা তো বলে নাই, এজন্য। এখন গল্পটা দেখেন... মিথিক্যাল, এবাসার্ড, ফেয়ারটেল, ম্যাজিক, স্যুররিয়েল সবই আছে। ওয়ার্ল্ড লিটেরেচারের যে কোন শর্ট স্টোরি হতে পারে, যদি ইউনিক ন্যারেশন দেয়া যায়।
পুরো ইন্টারভিউটি পড়তে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১০