রাত জাগা পাখির পালক
খসে পড়ে মাটির ধূসর বিছানায়
সেখানে কি জোৎস্না ঝরে, অবিরত ??
আশ্বীনের আকাশের মত-
স্যঁত স্যঁতে তোর মুখের কাফন!
ধূপ-কর্পূরের ঝাঁঝালো গন্ধে
বিভৎস নির্জন এক ঘর,
“আদিম স্বত্তার মত একা”
তবে কেন লাশ হলি বল ??
চোখের ছায়ায় নেচে উঠে;
নোনা জলের জোয়ার,
চোখের আড়ালেই রাখি তারে
যেন কিছুই হয়নি!
অবধারিত ছিল-অস্পৃশ্য নিয়তির হাতে,
ভাটার উল্টো পথে পাড়ি দিয়েছিলি
অনেক পথ, তোর মনে আছে ?
তবে আজ কেন এ হেঁয়ালি!!
আট ঘন্টা কি খুব বেশি সময় ?
সায়াহ্নের নৌকা ভীড়ে, সময়ের বন্দরে-
লাগামহীন সময়ের মাঝে খুব তাড়াহুড়ো তোর!
গোধূলী বেলার আগেই তাই ডাক এসেছে-
আপন কূলায় ফেরার।
বাম পাঁজরের ক্ষত চীহ্ন চেপে
চীৎকার করে এক শোকার্ত জননী
কি নিষ্ঠুর তুই!! ফিরেও দেখলিনা।
এক বিষন্ন পিতার দৃষ্টি জুড়ে
নূড়ি পাথরের খস খসে পথ
দীগন্তের চেয়ে দূরে-
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ
এ ভারি অন্যায়!!
বয়ে যায় রক্তের স্রোত
অলিন্দ নীলয়ে;
চেয়ে থাকি আকাশের দিকে
ক্ষুধার্থ হৃদয়ে।
যদি কোন দিন ভূল করে হলেও
উড়ে আসিস, আমাদের আঙ্গীনায়
অতিথী পাখির মত-
সেই পর্যন্ত ভাল থাকিস।।
“রবিন যে ছিল আমার খুব কাছের বন্ধু, আমার সকল অনুপ্রেরনার অন্যতম উৎস। যার মৃত্যু হয় এক ভয়ংকর সড়ক দূর্র’ঘটনায় ২০০৭ সালে। সাথে ছিলাম আমিও, নিয়তির খেলায় বেঁচে যাই কিন্তু হারিয়ে ফেলি চিরতরে বন্ধুকে। এই কবিতাটি তাকে উৎসর্গ করেই লিখা ॥