উল্লঙ্ঘনে, কতটুকু আড়াল হতে পেরেছো;
আরশি পানে দেখো।
দৃষ্টিপাত ঘুরানোর জন্য যতটুকু বিচ্ছেদ প্রয়োজন,
ততটুকু অমানবিক হয়েছো কিনা, জানো।
সুন্দর যখন অসুন্দরের গীবত চর্চায় মগ্ন হয়; তখন সুন্দর তার সৌন্দর্য হারাতে থাকে৷
সুন্দর অধিকাংশ সময় প্রতিযোগিতা বাড়ায়; তাই সুন্দর ততটা সুবিধাজনক নয়৷
সঙ্কট যেমন নিষ্পত্তি হয়; প্রতিটি প্রশ্নেরও তেমনি জবাব আছে। তবে যে খুঁজেনা, স্রষ্টা এই সবের পান্ডিত্যও তাকে দেন না।
মস্তিষ্কের মোট ওজন তিন পাউন্ডের মত। অথচ ধারণ এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতার কাছে এই ওজনের অনুপাত, গাণিতিক নিয়ম ভঙ্গ করা অনুপাতের মতই ক্ষুদ্র।
গতানুগতিক ক্রিয়ার মীমাংসা নিদ্রা কিংবা জাগরণ। যা খাদ্যাভাব ও মলত্যাগের ঘর সীমায়, সীমাবদ্ধ।
অপরদিকে, অসামন্য জীবাত্মার স্বভাব’ জাগরণ কিংবা আলোড়ন;
যা হাঘর হলেও, কোন সীমায় ধরা দেয় না।
পারিবারিক রাজনীতি থেকে পালানো যায় না। যারা যায়, তারা পৃথিবীর বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে,
নিজের অন্ত গহীনে উপভোগ করার মতো বিশ্ব সাজিয়ে,
এদিক-সেদিক পরিবার কুড়িয়ে,
আকাশের পাখিদের মতো যেখানে-সেখানে ডানা ঝাপটায়।
তারা যেন,
মুক্ত বাতাসের ঘ্রাণ ধরে চলা কোন আলোকিত ধারার মুগ্ধতার নহর।
দুজন, দু'জনার বিপরীতে ঘৃণা পেল৷
অথচ ঘৃণা পাওয়ার মতো কিছুই হয়ত তারা কেউই করেনি৷
সক্রেটিস তাঁর শিষ্য প্লেটোর ডায়ালগ এবং সৈনিক জেনোফনের রচনা থেকেই কি বিশ্লেষিত, এত ছোট পরিসরেই কি তার চিন্তা তরঙ্গ পরিভ্রমণ করেছে? অথচ তাকে পশ্চিমি দর্শনের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ইতিবাচক এর বিপরীত প্রান্তে দাড়ানো নেতিবাচক কালা বোধের মানুষ;
কখন তার অন্তঃকরণকে বিষের আধার প্রস্তুতকরণে নিয়োজিত করে; তা সে বুঝে না।
তাই যুগে যুগে কিছু প্রভাব চেষ্টা চালিয়েছে, আলোকে কোন এক অন্ধকারে বন্দি করতে। কিন্তু মানুষের লোভ এবং প্রতিহিংসা আলো-অন্ধকারে একাকার হলেও মুক্তি আস্বাদনের সমাধি দাড় করাতে পারে না।
অথচ নিজেকে, অন্যের বিরুদ্ধে দাড় করানোর পরিবর্তে; পাশাপাশি বসানো যেত।
স্মরণ রাখতে হবে যে, স্বার্থ থাকবে; কিন্তু তাকে নিঃস্বাস এবং বিশ্বাস ডিঙাতে দেয়া যাবে না৷
যাকে মারলেন,
যার সাজানো ঘর ভাঙলেন,
তার লোকেরাও যদি আপনার সাথে তাই করে'
তখন আপনার কেমন লাগবে?
কারাগার থেকে যারা মৃদু আলো পেল;
বাহিরের ঝলসানো আলোতে, তারা টিকবে কতক্ষণ?
সক্রেটিস তার সময়ের সূর্য ও চাঁদের সৌন্দর্যতে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন সর্বসাধারণের জন্য; তাই তিনি মৃত্যু সম্পর্কে বুঝাতে চেয়েছিলেন যে, মৃত্যু হল আরোগ্য এবং দেহ থেকে আত্মার মুক্তি।
তাই নিজের কবরে নিজেকে দেখুন। তারপর ভাবুন, উপদেশ দেয়ার যোগ্যতা আপনার কতটুকু?
সময়ের গোলামি সময় দিতে পারে; রাজত্ব নয়৷
শরীর নির্দিষ্ট সময় হজম করতে পারলেও রাজত্ব কারো আওতায় নেই৷
লক্ষ্মীপেঁচাটিও তার প্রভেদ থেকে বের হতে পারে না; থাকে নিরাসক্ত।
খাতার হিসাব রাখা বন্ধুগুলো, যখন জীবনের হাসি-কান্নার বোধটাকে সফলতার বেড়ায় আবদ্ধ রাখছিল, তখন দেখেছি কিছু স্বচ্ছন্দচারী, সক্রেটিসের মতো নানাবিধ গুরুর পরামর্শে, সফলতার সাথে বিদ্রোহ করার জন্য তৈরি হচ্ছিল।
তাদের বিশ্বাস ছিল, মনের অলিগলি জ্ঞান দ্বারা গোপনীয় হলে, সেথায় পোকামাকড়ের আক্রমণ হয় না৷
----------- প্রায় সক্রেটিস-১
----------- আব্দুল্লাহ আল- মাহমুদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৬