আমি রগচটা এবং আশৈশবের নিঃসঙ্গ। সবার সাথে আমার বিনবনা হয় না। মাথার দিব্যি দিয়ে অকুণ্ঠচিত্তে মাথায় বাড়ি মারতে পারি। আমি সত্য বলতে পছন্দ করি। যার সাথে বনিবনা হয় তার সাথে বকবক করি এবং সে আমার সাথে দূরত্ব বজায় রাখে। কলেজের দেউড়িতে মাত্র একদিন দাঁড়িয়েছিলাম, যেদিন ভর্তি হয়ে ফটো আইডি কার্ড বানিয়েছিলাম (১৯৮৯)। বিশেষ কারণে লৈখিক ভাষায় ভাবপ্রকাশ করতে খুব ভালোবাসি। সমস্যা হলো, এখানের জীবনযাত্রার আড়ম্বরের কারণ স্বভাবচরিত্র এবং আচারব্যবহারে দৈববিড়ম্বনা। যা আমাকে একঘরে করেছে এবং তাতে আমি খুশি হলেও মুখ গোমড়া থাকার কারণ আমি প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না। তাই আমি ব্লগে আসি এবং ভুলে ভরা লেখা পোস্ট করে আপনাদেরকে বিরক্ত করি। আপনাদের লেখায় মন্তব্য করার সময় আমাকে ভাবতে হয়, প্রতিমন্তব্যে দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয়, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মূর্খ কিন্তু আপনারা সুশিক্ষিত এবং উচ্চশিক্ষিত তা আমি জানি। আমার এই জানা আমাকে সাহায্য করে। আপনাদের লেখা এবং মন্তব্য আমার জন্য চিন্তার খোরাক। যেমন আজকে ঠাকুরমাহমুদ সাহেবের "ধর্ম, অধর্ম, নাস্তিক ও ধর্ম বিদ্বেষ" পোস্ট এবং মন্তব্য পড়ে সম্পূর্ণভাবে সহমত হয়েছি এবং অনুপ্রাণিত হয়ে যা লিখেছি তা নিচে দিলাম...
[ নম্বর এক ]
যেখানে মানুষ বেশি সেখানে থাকে ছদ্মেবশী,
যেখানে বেকার বেশি সেখানে বকাবকি বেশি।
[ নম্বর দুই ]
বাতাস থামলে নিশ্বাস থামবে জেনেও মানুষ বাতাস দূষিত করে নির্দোষ হতে চায় এবং নির্দয়ের মত নির্ধনকে নিধন করে বলে আমি নির্দায়।
[ নম্বর তিন ]
দুষ্টব্রণ টনটন করলে জ্বর উঠে। দুষ্টচরিত্ররা অন্যকে নষ্ট ডাকে। দুষ্টকর্মারা কর্তব্যকর্মের অর্থ জানে না। দুষ্টাশয়রা অন্যকে অসহায় করে। যারা সবসময় ধর্মের দোষ দেয়, ওরাই সবকিছুতে ধর্মকে টানে। এবং টানার কারণ হলো, অন্যকিছু ধরে টানাটানি করলে তাদের নুনে টান পড়ে।
[ নম্বর চার ]
তোমাকে ভালোবাসিয়া আমি আঁখিজলে ভাসিয়াছি,
তোমার সাথে ভালোবাসাবাসির জন্য আমি অপেক্ষায় আছি,
তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আমি ভালোমানুষ সাজিয়াছি,
তোমাকে ভালোবাসা দেওয়ার জন্য আমি ভালো বাসা বানাইয়াছি।
( চার নম্বর হাস্যপরিহাসের জন্য।)
সকলের মঙ্গল হোক।
© Mohammed Abdulhaque
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪২