নারী তুমি প্রকৃতি হও
মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে কিছুক্ষণ অন্ধকারে চেয়ে থাকা যায়
আরো কিছুক্ষন চেয়ে থাকলে হয়তো আলো বিন্দুর দেখা মিলে
হয়তো আরো কিছুক্ষণ জ্যোৎস্নার দিকে চেয়ে রইলে
হঠাৎ কিছু অশ্রু ঝিলমিল করে উঠে;
তবুও... তবু আরো কিছুক্ষণ না হয় থাকলাম জেগে,
রাত জাগা লাল চোখে লাল সূর্যটা দেখে ।
ভোরের স্নিগ্ধ হওয়া অশ্রু জলে মিশে-
কী অপূর্ব ! জীবনের সাধ মিটে গেছে ।
তবু কি জীবনের সাধ মিটে ?
তবু কি রাত-তারা-চাঁদ, ভোরের হাওয়া; নারীর নরম হাত ছুঁয়েছে ?
জীবনের স্বাদ রয়েছে ঐ অন্ধকার ঘরে, ঘুমের ঘোরে- অবচেতনে
দেহখানি বুকে চেপে ধরে নিয়ে
তার অস্পষ্ট অনুভূতি
একটুখানি তিরস্কার
তবু কোথাও নেই বিচ্ছিন্নতার নিস্তার !
হঠাৎ লাল সূর্যটা উঠে গেলে-
সলাজে রাঙা; আলিঙ্গন ভাঙা !
এই লজ্জার রক্তিম আভায় আলোকিত হলে
সহস্র বছর কোন হৃদয়বান মানব আর ভোরের আলোয় পুলকিত হতে পারে না !
এই সকল সহস্র বছরের সঞ্চিত স্বাদ বুকে নিয়ে
তবু কি জীবনের সাধ মিটে ?
তবু কি উর্বর বুক, রক্তিম ঠোঁট, এলোচুল
কখোন প্রকৃতির উদারতায় দুচোখ রেখেছে ?
কখোন কী নারী প্রকৃতি হয়েছে পুরুষকে ভালোবেসে !
জীবনের সাধ মিটে না এই সকল নারী আর প্রকৃতিতে
জীবন; সেতো সীমাহীন সুখে সুপ্ত রয়েছে চির অচেনা কোন অনুভূতিতে।