অনেকদিন আগের কথা আমি আর আমার এক বন্ধু যাচ্ছি মার্কেটের দিকে, রাস্তায় হঠ্যৎ ওর দুলাভাই এর সাথে দেখা। আমরা রাস্তার এই পাশে আর উনি ঐই পাশ। বন্ধু আমাকে বলল ২মিনিট সৌজন্য মূলক কথা-বার্তা বলেই চলে আসবো।
কিন্তু একি ওরা কথা চালায়েই যাচ্ছে তো যাচ্ছে এক সময় বিরাট অ-ধ্যার্য লাগলো, চিন্তা করলাম উল্টা বাসার দিকে হাটা ধরি।
এমন সময় চোখে পড়লো দুই রমনী প্রথম জনের চোখে গ্লাস(চশমা) আর আরেকজন চশমা ছাড়া। চেহারা ভাল, রং ও খারাপ না। কিন্তু দুই জন আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে, কিরে ঘটনা কি??? আশে পাশে তাকায়ে দেখলাম আমি ছাড়া তেমন কেও নাই! পকেট দিয়ে পেন্টের চেইন চেক করলাম কিন্তু এইটাও ঠিক আছে। জামাতে ছিড়া নাকি! নাহ আমি কোন জায়গায় বের হওয়ার আগে বের হওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি নেই, যাতে পরে সমস্যা না হয়। সব ঠিক আছে তাও এখনো হাসছে! এইবার আমার ভয় লাগা শুরু করলো? কেন? জানিনা, মেয়েদের সাথে আলাপ করি না দেখেই এই অবস্থা মনে মনে চিন্তা করলাম। নাহ এইবার কিছু একটা করা দরকার, মেয়ে ২টা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করবো ইহা আমারে পক্ষে ইহকালেও সম্ভব না।
তখন ৫ টাকার ছোলা নিলাম, ছোলা বিক্রেতার সাথে মুটামুটি জানা শোনা আছে ২-৪টা ছোট খাটো কথাও বললাম, কথা বলার সময় আড় চোখে মেয়েদের অবস্থা নিশ্চিত হলাম । হঠ্যৎ চশমা না পড়া মেয়েটা, চশমা পড়া মেয়েটাকে বললো চল বুট খাই, তৎখনিক চশমা পড়া মেয়েটা বললো ছিঃ তুই এইসব ছোট লোকদের কাছ থেকে খাবি ।
এইবার বুঝলাম তরা কতো সুন্দর আর তোদের মন কত সুন্দর । যতটুকু সম্ভব ছোলা বিক্রেতায় বিষয়টা বুঝছে, উনার মনটা মূহুর্তেই খারাপ হয়ে গেল। এইবার হাটা শুরু করলাম মেয়েদের দিকে, ২টা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, কাছে গেলাম তারা এইবার পুরাই হা ।
শুধু আস্তে আস্তে বললাম“মানুষকে একটু সম্মান দিতে শিখবেন, তাহলে আপনার কোন উপকার বা ক্ষতি হবে না। কিন্তু নিজের হীনতাটা মানুষের সামনে প্রকাশ পাবে না।” যাওয়ার সময় কয়েকবার মুখস্ত করছি দেখে এইভাবে বলতে পারলাম । যখন চলে আসতেছি তখন দেখলাম ২টা মেয়েই অট্ট হাসি।
তখনেই বুঝলাম প্রকৃত ছোট লোক কে?