প্রত্যেক পহেলা বৈশাখে আমি বিশেষ অসুস্থতার জন্য বিশেষ ঔষধ খেতে যাই বিশেষ এক যায়গায়। যায়গাটা কিশোরগঞ্জ সদর থেকে নিতান্তই অনেক দূরে পিকআপ বা সিএনজি ছাড়া যাওয়া বহু কষ্টকর, ১৪২১ সালের প্রথম দিনটাতেই আমি ২য় বারের মতো সেই জায়গায় যাই।
বয়সটা কম হওয়াতে আমাকে সবাই পিকআপে উঠিয়ে দিলো বিষয়টা ভাল না লাগলেও সবার কথা শুনে উঠতে হলো। বয়স্ক আর এক্কেবারে ছোটরা সিএনজিতে আর যারা একটু শক্তপোক্ত তারা পিকআপ এ। কি আর করবো উঠলাম পিকআপ চলছে, বসলাম সবার সামনে। পিচ রাস্তায় চলছে গাড়ি দ্রুত গতিতে, ফাকা রাস্তা ড্রাইভার গাড়িটা বিমানের মতো নিয়ে গেলেই বাঁচে। হঠ্যাৎ একটা শব্দ সবাই পেছনের দিকে তাকালো, পেছনের হাতে ধরার স্যান্ডটা ভেঙ্গে পড়ে, যদি আর একটু পেছনে পড়তো তাহলে একটা ছোট বাচ্চা শেষ। কারণ সেখানে একটা মা একটা বাচ্চারে কোলে নিয়ে বসে আছে। এ ঘটনায় মা ও বাচ্চার কিছু হয় নাই, কিন্তু মা যেন তার বাচ্চার জন্য অজ্ঞান! কারণ যদি বাচ্চার কিছু হতো, এরপর কান্নাকাটি তিনি আর এই পিকআপ এ যাবেন না। কি মুশকিল- উপায়ন্তর না দেখে অনেক রিকোয়েস্ট করে যাওয়ার জন্য রাজি করা হলো কিন্তু তিনি এই জায়গায় আর বসবেন না। কিন্তু কেও আর তার জায়গায় বসতে চায় না শেষমেষ আমিই গেলাম, আর তখন দেখলাম একটা “মা” কিভাবে তার বাচ্চার জন্য কি করে!? তার চোখে আমি সেদিন যে ধন্যবাদ সূচক দেখি তা আগে আর কারো চোখে দেখি নাই। আমরাও একসময় ছোট ছিলাম আমাদের “মা”ও আমাদের এইভাবে বড় করেছেন আমাদের অসহায় সময় আগলে রেখেছে, তাই মায়ের জন্য ভালবাসা একদিনের জন্য নয় প্রথম থেকে তার অসহায় দিন পর্যন্ত সবসময়।
~ ভাল থেকো মা ~