বিক্ষিপ্ত ভাবনা
০৬ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
পত্রিকায় আজকাল ভালো খবর তেমন একটা থাকেনা। দু:সংবাদ কুসংবাদ পড়ে আমিও মজা পাইনা। চিন্তা করছি বাসায় পত্রিকা নেয়াই বন্ধ করে দেব। এখন আর পত্রিকার প্রথম পাতা বা সম্পাদকীয় পড়ে কোন রকম আরাম বোধ করিনা। তার চেয়ে বিজ্ঞাপন অংশের হরেক রকম পাত্রপাত্রীর খবর,আর বাপ মা কর্তৃক ছেলে মেয়েকে ত্যাজ্য করার হলফনামা পড়ে মজা পাই। অর্থনৈতিক দৈন্যতার এই দেশে থেকে বোধ হয় আমার রুচিও অনেক নিচে নেমে গেছে। পত্রিকা গুলোর কলাম লেখকরা হর হামেশাই আকাশে শকুন দেখার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। আরেকটা দুর্ভিক্ষ নাকি আসন্ন্।কিন্তু চাল আটা,চিনি র দাম যখন ৫০ ছুই ছুই,সয়াবিন যখন রেকর্ড দরে বিক্রি হচ্ছে তখন আর কলামিস্টদের দোষ দেই কি করে?বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের ম্যানেজমেন্টের যে দুর্বলতা তা প্রগাড় ভাবে ফুটে উঠছে। মাথায় ভাবনা আসে এই কলাম গুলো আমার মতো সাধারণ মানুষ পড়ে কিন্তু যাদের পড়া দরকার সেই উপদেষ্টা গুলো কি এসব পড়ছে?পড়লে তারা কেন নির্বাচন দিতে এত গড়িমসি করছে? জানিনা।এত ভাবতে ভালো লাগেনা। তবে এতটুকু বুঝতে পারি নির্বাচিত যে কোন সরকারের আমলেদেশের মানুষ এরচেয়ে অনেক ভালো ছিল।
পরিস্থিতি যে কোন দিকে যাবে এই ক্ষুদ্র মস্তিস্ক তা বুঝতে পারছেনা। হয়তো শফিক রেহমান আর তার যায়যায়দিন আবারো ক্লিক করবে। হয়তো দুই নেত্রীর মধ্যে কোন একজন আবারো আপসহীন বলে পরিচিত হবেন। কিন্তু আমি ভাবি কেন আমাদের বেলাতেই বারবার এমন হবে?অতীতে শত প্রকারের দুর্নীতির জন্য অস্বস্তি বোধ করলেও বিদেশী পত্রিকাগুলোতে re-building Bangladesh টাইপের হেডলাইন গুলো দেখে মনে একটা প্রশান্তি আসতো।মনে হতো তাও আমাদের গর্ব করার মতো কিছু আছে।কিন্তু বর্তমানের এই দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের মাঝেও আমাদেরকে কেন broken খেতাব পেতে হয়?জোট সরকার যেই অর্থনৈতিক অবস্থা রেখে গিয়েছিল তাতে আর দশটা সিডর পরপর হলেও দেশের মানুষের এই অবস্থা হতোনা।কিন্তু এই এক তত্ত্বাবধায়ক সরকারই বাংলাদেশকে re-building থেকে brokenএ পরিণত করেছে। তাই কার্টুনিস্ট ডা.শাহরীয়ার শরীফের মতো তাদেরকে বলতেই হয় ,"কংগ্রাচু্লেশনস্।"অনেকগুলো সিডর যা করতে পারেনি তারা তাই করে দেখিয়েছেন। (মন্দের ভালো আর কি!)
আমার মনে হয় প্রাকৃতিক সিডরের চেয়ে অনেক বড় সিডর হচ্ছে ফকরুদ্দিনের এই তত্ত্বাবধায়ক সিডর। প্রাকৃতিক সিডর দেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষকে ভুগিয়েছে। কিন্তু এই সিডর সম্ভবত বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষকেই পথে বসাতে যাচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক সিডরে আক্রান্ত মানুষকে সহযোগীতা করার পাশাপাশি এই কৃত্রিম সিডরকে দূর করাও সমান জরুরী।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী...
...বাকিটুকু পড়ুন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি।
একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে...
...বাকিটুকু পড়ুন
সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।...
...বাকিটুকু পড়ুন লিখেছেন
জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
শেখস্থান.....
বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন