বুনো অজুহাতে রেশমি চুড়ির নীল গদ্য রঙ
কড়াভাবে মাতাল করে রাখে;
অথচ ভেবে দেখিনি আমার গল্পের গা বেয়ে যে
ঘামের ফোঁটা নেমে আবারো বাষ্প হয়ে
উড়ে গেছিলো উত্তরায়ণের দিকে
তখন ত তালপাতার সেপাইরা মহাযুদ্ধের মোহড়া নিচ্ছিল; আমি জানি তাই
সে কথা অকপটে স্বীকার করে
খালি পায়ে সাদা পাজামা আর সাদা পাঞ্জাবি পরে
হেঁটে পথ ধরি তোমার মহাদেশের।
আমার হাতে কোন ঘড়ি ছিল না,
ছিল না সময়জ্ঞান মাপার মত চৈতন্য;
আমার ব্যাহত হবার পরিমাপ নাবিক মাপতে গিয়ে হারিয়ে ফেলে পথ,
সেই অভিশপ্ত কম্পাস আমাকে তোমার
মহাদেশে নিয়ে যাবে
বিশ্বাস করে আমি ফুল নিয়েছিলাম আমার
পিতার হত্যাকারির থেকে।
পথে আমি দেখা পেয়েছিলাম একদল ব্যান্ড পার্টির
যারা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে বলেছিল,
বাজাতে চেয়েছিল বাদ্য আমার বোনের বিয়ের দিন:
সে বোন সতীত্ব হারায় এক কাপুরুষের হতে;
এখন কিনা সে দিন কাটায় এক অন্ধকারে।
তাদের দেখে আমি আরো ব্যাহত হয়ে তোমার মহাদেশের দিকে পা বাড়াই।
আমার ক্লান্তি লাগেনা খালি প্রয়োজন পড়ে
একটি রেডিও; খবর দিবে আমায় আবহাওয়ার।
দেহের খঞ্জর প্রতিবাদী হয়ে উঠে
আমি নাকি মাছিদের সাথে নিয়ে বেড়াই
কিন্তু শপথ আমার মায়ের প্রার্থনার
যেখানে তিনি অর্থনীতির চাকায় পৃষ্ট হয়ে
প্রতিনিয়ত মৃত্যু কামনা করতেন তার:
আমি কখনোই আমার দুধের মাছিদের তাড়াব না,
তারাই ত সাহস করে মহাপথে সঙ্গ দিচ্ছে আমায়
তোমরা চুপ রও!
এত কিছু তালাশ করতে গিয়ে ফ্যাকাসে ফুলের
পাপড়ি পড়ে যায়
শুরু হয় যুদ্ধ।
সম্মুখ-সমরে মারতে নয়
নিয়ে এসেছি ফিলিস্তিনের চিঠি এবং কাঁটাতার;
আমাকে গ্রহণ করো!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৬