মহাপ্রলয়ের দিন পৃথিবীর শেষ ঘড়িটি যখন
এ্যালার্মে বেজে উঠবে ইসরাফিলের শিঙ্গার হুঙ্কারে;
প্রতিক্ষিপ্ততা জানানোর ষেষ সুযোগ হয়ত পাবোনা
তোমার প্রতি। শুধু তোমারই প্রতি সেদিন থাকবে
আমার ঘৃণায় ভরা ভালোবাসা যা ছিল নীল কালিতে লেখা।
যখন তুমি নরকের দিকে হেঁটে যাবে;
দরদ দেখাবোনা আমি,দেখাবোনা অবহেলা কোনো
যে সময় তুমি কেড়ে নিয়েছিলে আমার;
শরতের সাফেদ মেঘের সাথে উড়ে বেড়াত যে সময়,
পাখির মিহি সুরের সাথে শুনা যেত যে সময়ের গান,
চন্দ্রের মহাসৌন্দর্যকে ডানা মেলিয়ে দিত যে সময়,
দেয়ালে লেখা বিপ্লবীদের বর্ণমালার দল প্রেমিক হয়ে যেত যে সময়ে,
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ্মাইলের প্রিয়জনের ঘনিষ্ঠতা
ছিল তোমার সাথে; সেই সময়
রেসের ঘোড়ার মত তোমার পিছুই ছুটতাম!
অশ্লীল প্রগাঢ়ের ব্যাকরণ তুমিই শিখিয়েছিলে;
প্লেটোর দর্শন তত্ত্বের মতই ছিল পদ্মতাগ।
জ্যায়সি ছিল না সে সময়
বিকলাঙ্গ পরজীবী হয়ে ঠাই নিয়েছিলাম আমি;
জানি তুমি ছেড়ে যাওনি (!)
কুঠারাঘাত করে পদতলিতে ফেলে হেঁটে হেঁটে
যাবে তুমি নরকে।
তা কুড়িয়ে এনে আমি পরম যত্নে মাল্য গাথব
তোমাকে পরিয়ে দেয়ার জন্য!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৯