আল-কুরআনের ১৯ ফর্মূলা নিয়া লিখব লিখব করছিলাম ,সুযোগ হয়ে উঠে না।অনেক বই ঘেটে সংক্ষেপে যতটুকু পারি সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি,ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে,দেখিয়ে দিবেন। সকল আস্তিক(অমুসলিম),নাস্তিক,আজ্ঞেয়বাদ,সংশয়বাদ সহ যত বাদীরা আছেন তারা মানতে নারাজ যে আল-কুরআন একটি ঐশি গ্রন্থ বা আসমানী কিতাব। তাদের মতে এটি মুহাম্মাদ ও তার অনুসারী হতে রচিত। অথচ এটি এমন একটি গ্রন্থ যা মানুষ বা মহাপুরুষ কারো দ্বারাই রচনা করা সম্ভব না। এ গ্রন্থে বর্ণিত আয়াত সমূহের বিপুল অর্থবাচকতা মানুষের জ্ঞান সীমার বাইরে।
“বলুন (হে মুহাম্মাদ সাঃ) এ আল-কুরআন অনুরূপ গ্রন্থ রচনা সমগ্র মানবজাতি এবং জ্বীন সম্প্রদায় একযোগে সমবেত হয়ে তারা কখনো এমন গ্রন্থ রচনা করতে পারবে না এবং একে অপরকে সাহায্য করেও (তবুও না)”- সূরা বনী ইসরাইল-৮৮
এবার আপনার প্রশ্ন হতে পারে,কেন তাহলে আল-কুরআন শ্রেষ্ঠ? কী এমন আছে এতে? ওয়েট বলছি,এই সমগ্র গ্রন্থকে এমন এক গাণিতিক ফর্মূলায় আবদ্ধ করা হয়েছে যে,এর ব্যবহৃত বর্ণ,শব্দ,আয়াত সমূহ পরিবর্তন,পরিবর্ধন,সংযোজন এবং বিয়োজন করতে গেলে উক্ত ফর্মূলার কাছে ধরা খাবে যার নাম- “Numerical Value 19”
আল-কুরআন এর ভাষায় “ইহার উপর ঊনিশ”-সূরা মোদাসসের-৩৩
আল-কুরআনের প্রত্যেক সূরার শুরুতে “বিছমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম” আয়াতটি আছে (সূরা তাওবা ব্যতীত)। উক্ত আয়াতের ৪ টি শব্দ ১৯টি হরফ দ্বারা গঠিত। শব্দ ৪ টি হচ্ছে “ইস্ _ম”, “আল্লাহ”, “রহমান”, “রাহীম”। যাদের অর্থ যথাক্রমে- নাম,মহান স্রষ্টার জাতিনাম,পরম হিতৈষী,পরম করুণাময়।
সমগ্র কুরআনে “ইসম” শব্দটি এসেছে ১৯ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য,
আল্লাহ শব্দটি এসেছে ২৬৮৯ বার যা ১৯ দ্বরা বিভাজ্য,
রহমান শব্দটি এসেছে ৫৭ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য এবং
রাহীম শব্দটি এসেছে ১১৪ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
* আরবী ভাষার হরফ সমূহের কিছু নিজস্ব মান আছে নিচে তা বাংলাতে যতটুকু সম্ভব হইছে আমার পক্ষে তাই দিলাম
আলিফ-১
বা-২
তা-৪০০
ছা-৫০০
জীম-৩
হা-৮
খ্বা-৬০০
দাল-৪
জাল-৭০০
রা-২০০
জা-৭
সীন-৬০
শীন-৩০০
ছোয়াদ-৯০০
দোয়াদ-৮০০
তোয়া-৯
জ্বোয়া-৯০০
আইন-৭০
গ্বাইন-১০০০
হে-৮০
ক্বাফ-১০০
কাফ-২০
লাম-৩০
মীম-৪০
নু-৫০
ওয়াও-৬
হামজা-৫
ইয়া-১০
* বিছমিল্লাহ বর্ণমালার সমষ্টি মান হল ৭৮৬। বিছমিল্লাহের একই শব্দের পুনারবৃত্তি বাদ দিলে মোট বর্ণ পাওয়া যায় ১০টি।
আবার, “১৯” সংখ্যাদ্বয়ের অংক দুইটির যোগফল
১+৯=১০
সুতরাং ১০/১০=১ ( আল্লাহ এক এবং একক চিরকাল)
এখন বিছমিল্লাহ তে পুনারবৃত্তি হরফ বাদ দিলে এদের মান
বা-২
সীন-৬০
মীম-৪০
আলীফ-১
লাম-৩০
হামজা-৫
রা-২০০
হা-৮
নু-৫০
ইয়া-১০
মোট হল ৪০৬।
সুতরাং ৭৮৬-৪০৬=৩৮০
আবার,৩৮০/১৯= ২০
১৯ টি বর্ণের সংখ্যা মানের সমষ্টি (৭৮৬) থেকে পুনারবৃত্তির বর্ণগুলোর সংখ্যা মানের সমষ্টি বাদ দিয়ে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
এ থেকে সহজেই বুঝা যায় আল-কুরআনের কোনো কিছুর রদ বদল ঘটাতে গেলে তা ১৯ ফর্মূলার কাছে ধরা খাবে।
“আপনার প্রভু আপনার প্রতি যে গ্রন্থ (আল-কুরআন) ওহী করেছেন তা পাঠ করুণ। তার আয়াত সমূহ কেউ পরিবর্তন করতে পারবেনা চিরলকাল” - সূরা কাহাফ-২৭
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪৯