গতকাল রাত থেকেই ও কাঁদছিলো। আমি বারবার অভয় দিচ্ছিলাম- " তুমি শুন্য পেলেও আমি খুশী। চেষ্টা করেছো- এটাই আমার তৃপ্তি। তোমার যোগ্যতা আছে- ভালো কিছু করার, আর রেজাল্টটাই চুড়ান্ত বিচার নয় । তাছাড়া তোমার মা- ওপাড় থেকে তোমার দিকে তাকিয়ে আছে, সমস্ত আশির্বাদ সাথে করে। তুমি অবশ্যই ভালো করবে। বারবার চোখ মুছেছি- লুকিয়ে লুকিয়ে। এই ভার- বেদনার বোঝা, কতটা কষ্টের তা বলে বা লিখে বুঝাতে পারবোনা।
জ্বী- আমার মা হারা এতিম মেয়ে কাংখীতা কিরমানী কৃতীর কথা বলছিলাম। এবার জেএসসি সমাপনী পরীক্ষায় এ+ পেয়েছে- আলহামদুলিল্লাহ। রেজাল্ট পাওয়ার পর থেকেই মেয়েটা একটানা কাঁদছে। আমিও- ওর সামনে যেতে পারছি না- যদি নিজেকে সামলিয়ে উঠতে না পারি, আরও ভেঙ্গে পড়ি- এই ভয়ে। হয়তো মাকে খুঁজছে, যে মা- ভোর থেকে রাত অবধি তার সাথে আঠার মতো লেপ্টে থাকতো- অসুস্থ শরীরের কষ্টগুলো আড়ালে লুকিয়ে রেখে। মাকে বলতেে চায়, মা- এই দেখো-
আমি পেরেছি। তোমাকে বাঁচিয়ে তোলার আমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হলেও- তোমার চেষ্টা বিফলে যায় নি। কখনও কখনও প্রাপ্তিও দীর্ঘশ্বাসকে- শুধুই বিস্তৃত করে। সুখের বন্যা- লোনায় ভরে উঠে। জীবন এমনই- পরতে পরতে তার রহস্যের অবগাহন।
আপনাদের সবার আশির্বাদ কামনা করছি কৃতীর জন্য। সে যেন প্রকৃত মানুষের মতো নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আলোকিত কীর্তিমান হও মা- জননী আমার।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩