জল ঝরে নিঃশেষ-আকাশের কান্না,
জোছনারা নিঃস্ব-পূর্ণিমা ভাসে না।
ক্লান্তিতে ক্ষেমা দেয়-সংগ্রামী চেতনা,
রোদঘাম মুছে দেয়,বঞ্চিতে বেদনা।
বিকিরণে ভিখারিনী-দেউলিয়া রুখে না,
আঁধারের জ্যাম লাগে-সূর্যটা জ্বলেনা।
আঁধারেও স্থির থাকে-এতটুকু দুলেনা
নাম তার হেলেনা, মানুষ-মেয়ে না।
সময় দেয়ালে জুড়ে, ডিজিটাল আঁচড়ে
ইচ্ছেটা চেপে বসে-আহ্লাদী খেঁচরে।
সাজরব বৈশাখে, সব কিছু জেরবার
হেলেনার সাধ জাগে-হাতধরে ঘুরবার।
বিবেকের ফুটপাথ, ভার্সিটি উঠোনে,
ফড়িঙের মাতামাতি, একসাথে দুজনে।
সন্ধ্যার রঙ মাখা-বৈশাখী বিকেলে,
মগজের অন্দর-সব অসুর দখলে।
একাত্তর একুশে-যার শির দমেনা,
সেই আজ জামাহীন-প্রগতির আয়না !
দামদিয়ে টের পায়, আমাদের হেলেনা,
সমাজটা বধিরের, পশুদের-তার না।
নাম তার হেলেনা, বুঝে গেছে-
মানুষ নয়, মেয়ে সে-ছেলে না !!
পুনঃ
বিকেলে এই কবিতাটি পোষ্ট করেছিলাম,এখন দেখি প্রকাশ হয়নি,তাই আগেরটা মুছে-নতুন করে পোষ্ট করলাম।
ছবি নেট থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭