প্রিয় বাবা,
উপলব্ধির দরজা খুলতেই তোমার ছায়া-
বোধের বারান্দায়-সকালের মিষ্টি রোদের মতো মিশে থাকো তুমি,
তোমার মুখের মায়ার দিগন্ত কোনেই,খুঁজেছিলাম আশার আকাশ,
স্বপ্নের জঠরে জন্ম নেয়া ভালোবাসার প্রথম বীজতলা,সে-তুমি!!
তোমার আঙুলের মাথায় দেখা-
জীবনের প্রথম সূর্যোদয়-আজো অবিচল।
নিয়মের আকাশ,তার মেঘ-রঙধনু বিকেল,
প্রথম চিনেছিলাম তোমারই চোখের তারায়।
মনে পড়ে বাবা,আমি তখন সিক্সে
স্কুল শেষে মাঠে ফুটবল খেলছিলাম,
পলাশের তীব্র শুট সরাসরি ঠাই পায়
আমার বুকের বাম পাশটায়!
অজ্ঞান আমি,যার চোখের জলের ছোঁয়ায়
জ্ঞান ফিরে পাই-সে তুমি।
বাস্তবতার স্যাঁতস্যাঁতে পৃৃথিবীর-জয়হীন গন্তব্য,
বেঁচে থাকার উল্টো আঁধার,
ক্ষয়ে যাওয়া জীবনের ভগ্নাংশ পাঠ,
তোমার কাছ থেকেই পেয়েছি।
উল্টো স্রোতে টিকে থাকার সহজ সমীকরণ,
আবেগের অক্ষমতা-তুমিই শিখিয়েছ,
অল্পতে খুশী থাকার উপায়টাও-তোমারই উত্তরাধিকার।
মোল্লার দৌড় মসজিত ছাড়িয়ে মক্কায় পৌঁছায়,
বাস্তবতার খসখসে পৃথিবী রঙ বদলায়,
ধুসর সময় ফেরায় দুহাত,
ঢেকে দেয় নিকশের কালো চাঁদর,থেকে যাও তুমি-
তোমার আদর্শের সমস্ত উত্তাপ-
আমার স্বত্বায় দিয়ে যাও,প্রেরণার উন্নত বীজ ...।
বাবা-
জানিনা আজ তুমি কোথায়,
কল্পলোকের কোন কাচারিতে
ছড়াও তোমার নৈবদ্য সুবাস?
দৃষ্টির পথ ধরে ছুটে চলা দিগন্তে,
অনির্দিষ্ট অসীমের প্রান্তরেখায়,সুন্দর প্রেরণায়
সারাক্ষণ তোমাকেই খুঁজে-ফিরি,বারবার,আত্মার মুগ্ধতায়।
যেখানেই থাকো-ভালো থেকো বাবা,তোমার ছেলের আত্মার শুভ্রতায়,
অগুন্তি শুভকামনায়...!!!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৫