যে ছেলেটা বলাকা ২৭ নাম্বার বাসে উঠে চোখের
কালো সানগ্লাসটা খুলে চোখ বড় বড় করে
কন্ডাক্টরের হাতে ১০ টাকা ধরায় দিয়ে বলে ঢাকা
কলেজের স্টুডেন্ট আর সেই ছেলেটা ঢাকা
কলেজের সামনে বাস থেকে নেমে গিয়ে
লোকজনরে জিজ্ঞেস করে ভাই ঢাকা কলেজটা কোন
দিগে?
যে ছেলেটা সারা জীবন স্টুডেন্ট ভাড়ায় বাসে যাতায়াত
করে সে আজ পাশে বসা মেয়েটার জন্য ফুল ভাড়া দিয়ে
দিচ্ছে। কি অদ্ভুত!
কিন্তু মেয়েটা যখন বাসের অন্য পাশে বসা ছেলেটার
হাত ধরে নেমে যায়, তখন ছেলেটা নিজের চুল নিজেই
টেনেহিঁচড়ে ভাবতে লাগলো__ ধুর হালা! কেন যে ফুল
ভাড়া দিয়ে দিলাম।
যে স্টুডেন্ট হওয়া সত্বেও বাস কন্ডাক্টররা তাকে
কোন দিন বিশ্বাস করতে পারেননি বলে স্টুডেন্ট কার্ড
দেখতে চাওয়া হয় সেও আজ রেগে গিয়ে কিন্ডার
গার্ডেন বাচ্চাদের মতো গলায় ফিতা ঝুলাইয়া সিটের
কোনায় বসে কন্ডাক্টরের দিগে চাইয়া মিটমিট করে
হাসতেছে।
বাস কন্ডাক্টর যে ছেলেটাকে সারাজীবন স্টুডেন্ট
হয়ে থাকবে বলে অভিশাপ দিয়েছিল সেই ছেলেটা আজ
জব করেও স্টুডেন্ট হয়ে আছে।
সে মানুষটা হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের হেল্পারের সাথে মারামারি
করে গালের দাগ এখনো মেশাতে পারেনি সেই মানুষটা
আজো গালের দাগ দেখায় নিজেকে গালকাটা মাস্তান
বলে ভয় দেখিয়ে হাফ ভাড়ায় যাতায়াত করে।
যে লোকটার কাছে ভাড়া চাইলেই বলে বসে "ছেড়ে
আসা স্টপেজের নাম" কায়দা একটাই ---সামনে ফাও
যাওয়ার ধান্দাবাজী...
এতো কিছুর পরেও আমরা রংপুর বাসিন্দাররা মানুষের
দেয়া মফিজ নামটা ঘোচাতে পারিনি ...
বাস্তবতা এমনি ধরা খাইলেই মফিজ! ধরা না খাইলেই বীর
বিক্রম!