এত গুলো বছর ঢাকাতে আছি কিন্তু ঢাকার বুকে কোনদিন নীল আকাশ দেখেছি বলে আমার মনে হয়না। সারা বছরই আকাশটা ঘোলা থাকে। নীল আকাশ দেখব কিভাবে? দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আমাদের ঢাকা শহর। প্রথম স্থানটা অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়ে গেছে আমাদের। মাস্ক কোম্পানী গুলো এবার ভাল ব্যবসা করতে পারবে। এবার হয়ত আমাদের দেশে কিছু কিছু কোম্পানী বোতলে ভরে অক্সিজেন বিক্রি করবে। ব্যবসার প্রসার হবে বটে। সকালে যখন পাবলিক বাসে করে অফিসে যাই তখন দেখি সবাই মাস্ক পরে বসে আছে। আর খুশখুশে কাশি তো আমার সারা বছরের নিত্যসঙ্গী। এখন আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে থাকতে পারিনা। অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। যার মধ্যে ৪০ লাখই শিশু। আগামী বছর গুলোতে হয়ত ফুসফুসের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। ততদিনে হয়ত আমরা ক্যান্সারের সাথে সখ্যতা গড়ে ফেলব। মানিয়ে চলাটা আমাদের স্বভাব হয়ে গেছে। আমাদের বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই কারন তিনি কন্ডিশনড বায়ুমণ্ডল বানিয়ে নিয়েছেন নিজের জন্য।
এই সমস্যা থেকে বের হতে আমাদের গন পরিবহনের উন্নতি দরকার। ফিটনেস বিহীন গাড়ি তুলে ডাবল ডেকের বাস (এসি, নন-এসি) নামানো উচিৎ। মেট্রো রেলের বাস্তবায়ন দ্রুত দরকার। ইট ভাটা গুলোর আধুনিকায়ন দরকার। শিল্প কারখানার দূষিত ধোঁয়াকে ফিল্টারিং করে পরিবেশে মুক্ত করতে হবে। আর আমরা চাইলেই সবার বাসার বারান্দায় বাগান করতে পারি। সবার বাসার বারান্দা গুলো হতে পারে এক একটা মিনি অক্সিকেন ফ্যক্টরী।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮