
অনেকে আছেন এমিমেশন মুভি দেখেন।আবার অনেকে আছেন যারা দেখেন না।আমি অবশ্য কঠিন ভাবে ২য় গ্রুপে আছি।আমার খুব ভালো লাগে এনিমেশন মুভি দেখতে।এত ভালো লাগে যে কি বলব।আজ কে চারদিকে খালি কাটাকাটি,খুন,ধর্ষন।বর্তমান চলচিত্রগুলাও এর বাইরে নয়।তাই কিছুক্ষণ হারিয়ে যাই-কল্পনার রাজত্বে।সব এনিমেশন মুভি অবশ্য ভালো লাগে তা বলবনা।কিছু কিছু বেশি বাচ্চাদের জন্য।কিনতু গত কয়েকদিন আগে দেখা এনিমেশন মুভি "Howls Moving Castle". দেখে আমি মুগ্ধ।অনেকেই হয়ত দেখেছেন।আবার হয়ত বা অনেকেই দেখেন নি।তাদের সবার প্রতি আমার এই পোস্ট।

যাক গে চলে আসি "Howls Moving Castle" এ।মুভিটার কাহিনি এমন-সোফি নামের ১৮ বছর বয়সি তরুণি এক ডাইনির খপ্পরে পড়ে বুড়িয়ে যায়।এ অবস্থায় বাবার হ্যাটের দোকানে কাজ করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে।তাই সে একরকম পালিয়ে যায়।পথে তার সাথে দেখা হয় একটি কাকতাড়ুয়ার।সে তাকে নিয়ে যায় হাউলের মুভিং ক্যাসলে।নোংরা ভাঙাচোড়া সেই দুর্গে তার পরিচয় হয় হাউলের আগুনের দানব কেলসিফারের সাথে।হটাৎ বুড়ি সোফির সাথে সে চুক্তি করে সে যদি কেলসিফারকে সাহায্য করে তবে সেও সাহায্য করবে তাকে।তার দেখা হয় জাদুকর হাউল ও ছোট মার্কেল এর সাথে।এক সময় সোফি প্রেমে পড়ে যায় হাউলের।সে হাউলকে সাহায্য করে তার প্রাক্তন শিক্ষক ম্যাডাম সুলিমানএর মুখোমউখি দাড়ানোর।এক সময় সে জানতে পারে হাউলের হৃদয় আছে কেলসিফারের কাছে।যদি তা হাউলকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। তবে হাউল বেঁচে যাবে আর মুক্ত হবে কেলসিফার..কাহিনি এগিয়ে যেতে থাকে.. ছবির শেষ হয় হাউল এবং সোফির মিলনের মাধ্যমে।ভালোবাসার শক্তির কাছে পরাজিত হয় সব কালো ছায়া..।

এ ছবির এক অসাধারন দিক হল সাউন্ডট্রাক।আবোহ সংগীত আর সুর অসাধারন মনে হয়েছে।মুলত জাপানি এনিমেশন মুভি হলেও পরে ডিজনি এর ইংরেজী ভার্সন বের করে যাতে হাউলের কন্ঠ দেন ক্রিশ্চিয়ান বেল..।আমার ভালো লেগেছে.। আপনাদেরও খারাপ লাগবেনা।যান ঘুরে আসুন Howls Moving Castle এ.



