শিষ্য গুরুজিকে বললেন- সেলাম। আপনার আশীর্বাদ নিতে এলাম। আবারো তীর্থযাত্রায় বের হচ্ছি। এবার উত্তরের দেবালয়গুলো পরিব্রজ্যা করার মনোবাসনা রয়েছে। মনটা বড়ই অশুদ্ধ। এই কলুষিত মনের ক্ষালন করা বড়ই প্রয়োজন ।
গুরুজি বললেন- আহা! মনের শুদ্ধ চর্চা। এতো বড়ই দূরুহ এক কাজ। যাবে যখন যাও। সাথে করে এই উচ্ছেটা নিয়ে যাও। তুমি যত দেবালয়ে যাবে সাথে করে এই উচ্ছেটাও নিয়ে যাবে। ফেরার সময় নিয়ে এসো।
বেশ কিছু দেবালয়ে আরাধনার পর শিষ্য ফিরলেন।
গুরুজি বললেন-আরাধনা কেমন হলো সে কথা পরে হবে। আগে বলো- আমার উচ্ছেটা কি নিয়ে এসেছো? যদি নিয়ে আসো, তবে একটু রান্না করো।
শিষ্য গুরুর জন্য উচ্ছে রান্না করলেন।
গুরু বললেন - উচ্ছেটা এতো দেবালয় ঘুরে এলো । কিন্তু আগে যেরকম তেতো ছিলো-এখনোও তাই রয়ে গেলো।
শিষ্য বললো- গুরু উচ্ছের স্বভাবই যে এরকম।
গুরু বললেন- ঠিকই বলেছো বাছা। যতই দেবালয় পরিব্রাজা করো, আরাধনা করো- কিছুই আসে যায়না। যার যে রকম স্বভাব সে সেরকমই রয়ে যায়।