১) "ওমুকের চামড়া তোলে নেবো আমরা","একটা দুইটা তমুক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর"- প্রকাশ্য দিবালোকে যারা এসব শ্লোগান দেয় তাদের জঙ্গী বলেন না কেন? আর এমন শ্লোগান দিয়ে দিয়েইতো একজন ছাত্র ধীরে ধীরে ছাত্রনেতা তারপর একসময় আসল নেতায় পরিণত হয়ে কাউকে কানে ধরালে, চড় থাপ্পড় মারলে তখন এতো গায়ে লাগে কেনো?
২) হাতে স্মার্ট ফোন আছে আর মাথার নীচে কান আছে। তাই, নিজের ছবি অতি সহজে তোলে ফেসবুকে আপলোড করা যত সহজ- আসল যে নাটের গুরু তার কান ধরে ছবি তোলা তত কঠিন।
৩) ছাত্রদের শিক্ষা দেয়ারতো অনেক কিছু আছে।সব কিছু বাদদিয়ে একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে আল্লাহ নাপাক, তোদের ধর্ম নাপাক -এসব বলে উস্কানিমূলক কথা বলতে হবেই বা কেন?সুযোগ পেলেই ধর্মকে গালি দেয়াই কি একমাত্র বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া?
৪) আর কেউ আল্লাহ নাপাক বললেই কি আল্লাহ, ধর্ম সব একসাথে নাপাক হয়ে গেলো।
৫) আপনি মারা যাওয়ার পরই কি জিজ্ঞাসা করা হবে- অমুক হিন্দু তোদের আল্লাহকে নাপাক বললো আর একথা শোনার পর সেই শিক্ষককে চড়-থাপ্পড়, কিল ঘুষি মারলি না কেন? তুইতো জীবনে ধর্ম-কর্ম,কিছুই করিস নাই। যা জাহান্নামে চলে যা।
৬)একবার এক লোক উঁচু ছাদ থেকে শুণলো- দীপা ধর্ষিতা হয়েছে। শুণেই লোকটি ছাদ থেকে নীচে লাফ দিলো- তার মেয়ে ধর্ষিতা -এ জীবন রেখে আর লাভ নাই।উপর থেকে শূণ্যে নীচে পড়তে পড়তে তার মনে হলো- হায়! হায়!! সে করছে কি?দীপা নামেতো তার কেউ নাই। সে দ্রুত নীচে পড়ছে -আবার মনে হলো- দীপাতো দূরের কথা, তারতো কোনো মেয়েই নাই।অল্পক্ষণ পরে মনে হলো- মেয়ে থাকবেতো দূরের কথা-সেতো বিয়েই করেনি। প্রথমে ভালো করে শুনুন, তারপর বুঝুন, এরপর চিন্তা করুন তারপর কাজ করুন।
৭)জন্ম,ধর্ম, বর্ণ, বংশ কোনো কিছুই ভালোবাসা সৃষ্টি করেনা। ভালোবাসা সৃষ্টি করে শুধু মানুষের কর্ম।
৮)প্রতিদিন পাঁচবেলা আযান দেয়া হয় মসজিদে নামাজ পড়তে আসার জন্য-পাঁচজন মানুষও ঠিকমতো আসেন না। কিন্তু মসজিদের মাইকে ধর্ম গেলো বলে পাঁচ সেকেণ্ডের ঘোষণা দিলে পাঁচশত মানুষ একসাথে দা,চুরি, বটি, লাটি নিয়ে জিহাদি জোসে ধর্ম রক্ষায় হাজির হয়ে যান কেন? আসল আহ্বানে ধর্ম পালনে মানুষ নাই -কিন্তু নকল আহ্বানে কাউকে পিটানোতে মানুষের অভাব নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৪১