কমলাপুর রেল স্টেশন। স্টেশনের কিছু দূর সামনে রেল লাইনের পাশে ছোট্ট বস্তিতে বেশ কিছু ঘর নিম্ন শ্রেণীর পরিবারের বাস। হ্যাঁ নিম্ন আয়ের নয়, নিম্ন স্রেনি ই বেশি উপযুক্ত শব্দ। যারা অনেক টা পথের ধারে অযত্ন অবহেলায় বেড়ে ওঠা কলমি ফুলের মত, পানি দেয়ার, আগাছা পরিস্কারের, দুষ্টর হাত থেকে রক্ষা করার কোন মালি নেই। তাই তাদের আর বাগান হয়ে ওঠা ওঠে না, পরিচর্যাহীন কলমি ঝোপ হয়েই বেঁচে থাকে প্রকৃতির আট দশ টা রহস্যের মত। ছোট ছোট ঝোপ গুলোকে পৃথিবীর নিয়মে মানুষের পরিবার নাম দিয়ে ছোট্ট ফুল গুলোকে মালির মত যত্ন না হোক পানি, খাদ্য দিতে একটি কলমি গাছের কাণ্ড কেই দুর্ভাগা মালির ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। কিন্তু সাজান বাগানের মালির মত দুষ্টর হাত থেকে বাগান রক্ষার মত শক্তি এই দুর্ভাগা মালিদের শুধুই কল্পনা। বরং ফুল গুলোর জন্য খাদ্য পানির অন্বেষণে হরহামেশা চড় থাপ্পড় হজম করলে ও তাদের নিজের প্রতিবাদের যেমন শক্তি নেই, তেমনি তাদের পক্ষে প্রতিবাদের ও কেও নেই। একই শ্রেণি কে সাজানো বাগানের জন্য দুষ্ট বলা হলে ও কলমি ঝোপের জন্য তারা সমাজে সভ্য বলেই সম্মানিত।
এমনি একজন দুর্ভাগা মালী, জহিরের বাবা মতলু মিয়া। ঘরে বউ, জহির সহ আরও তিন ছেলে নিয়ে তার পরিবার। ঠেলা গাড়ি চালায় সে। দিন যা আয় হয়, তা দিয়ে কোন রকম সংসার চলে খেয়ে না খেয়ে। বউ টুকটাক অন্নের বাসায় কাজ করে। ছেলেদের লেখা পড়া শেখানোর মত বিলাসি ইচ্ছা তার ছিল না। ছেলেরা বড় হয়ে বাস ট্রাক চালাবে এই সামান্য স্বপ্ন ছিল তার। মাঝে মাঝে হয়ত বড় বাবুদের গাড়িতে তার ঠেলা সামান্য লাগলে কপালে যা জুটত, তার রাগে বাড়ি এসে আচ্ছা করে বউ পেটাত। কেন মারত, তা সে জানত না। বউ যদি বলত, মার কে? মতলু আরও ক্ষেপে উঠত। বলত, চোপ মাগি... মরদের ওপর কথা কস? নারি অদিকার মারাও? নারি অদিকার? মতলু দেখেছে , সুন্দর সাজে সজ্জিত নারিরা টি ভি তে নারি নিয়ে কি কি অধিকারের কথা বলে। সেখান থেকে নারী অদিকার কথা টা শিখেছে সে। মতলুর বউ এসবের অর্থ বুজত না। নিস্ফল কান্নায় তাদের ছোট্ট টিনের ঘরটা গমগম করে উঠত। এরকম দিনে জহিরের ভাইয়েরা নির্বিকার ভাবে সাইকেলের টায়ার একটা ছোট লাঠি দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেলতে চলে যেত। জহির ছুটে পাশের বাড়ির পলি দের বাড়ি চলে যেত। বাড়ি বললে ভুল বলা হয় সভ্যতার ভাষায়। মুলত বস্তির আর একটা ছোট্ট টিনের বেড়ার ঘর।
রেলের পাশের এই সরকারি জায়গা টার দখল খয়ের হাজীর, সে সরকারি দলের বিরাট নেতা। জুম্মন মিয়া তার এই জায়গার দেখাশোনা করে। জুম্মন কমলাপুরের বড় মাস্তান। চার পাঁচটা মার্ডার কেস তার নামে। হাজী সাহেবের আদেশে রেলের এই জায়গার দখল রাখতে সে চল্লিস-পঞ্চাস টা টিনের ঘর তুলে ভাড়া দিয়ে রেখেছে। বস্তির সবাই এমন কি এলাকাবাসী ও তাকে ভয় পায়। পলির বাড়ি তে শুধু ভাড়া নেয়ার সময় আসে । পলি কে চকলেট দেয়, পলির বোন কে ও দেয়। পলি, ইয়াদুন দুই বোন। ইয়াদুনের বয়স পাচ ছয়, আর পলির বয়স জহিরের চেয়ে এক দের বছরের কম, কতই হবে দশ এগার। জুম্মন লোক টা কেমন যেন ৩০-৩৫ বছরের অথচ চকলেট দেয়ার সময় পলির পিঠে কেমন করে যেন হাত বুলায়। পলি এখন এসবের মানে বোঝে। পলির বাপ রিক্সা চালায়, মা হোটেলের বাসন কসন ধোয়। তাদের ও অভাবের সংসার। পলির বাপ ও মাঝে মাঝে তার মাকে পিটাত। কিন্তু পলির জন্য সবচেয়ে বিব্রত কর ব্যাপার ছিল রাতে। একই ঘরে এক বিছানাতে তারা ঘুমাত। মাঝে মাঝেই গভীর রাতে মায়ের অদ্ভুত আর্তনাদে পলি এক চোখ খুলে লাউ গাছের নগ্ন কচি লতাগুলোর জড়াজড়ির মত এক বিচিত্র দৃশে কেপে উঠত। ক্ষোভ ঘৃণা, লজ্জা, ভয়, ভাল লাগা, অবাক হউয়ার মিস্র এক অনুভুতি জাগত তার মনে। পলি তার দিনের আলোর আর রাতের বাবা মাকে কখন ও এক করতে পারে নি। যেন রাতে দুটি দেহে সম্পূর্ণ ভিন্ন আত্তা বাসা বাধে। পলি রাতে তার মাকে উদ্দেশ্য করে বাবা কে বলতে শুনেছে যে, “ মরদ শক্ত না হইলে তরে জুম্মনের লাগান কুকুর বিলাইয়ে ছিঁড়া খাইত। “ পলি ধীরে ধীরে মানব মানবীর বিচিত্র সম্পর্কের কথা বুঝতে শিখেছে, তার মনে আরও বাসা বেধেছে শক্ত পুরুষ ছাড়া নারী খোলা শিন্নীর মত। কারন সে দেখেছে, পাশেই এক বাবার মাজারে প্রতি বছর ওরস হয়। অনেক মানুষ কে শিন্নী খাওয়ানো হয়। শিন্নী তাদের মত গরিব মানুষ গুলোর সবচেয়ে লোভের বস্তু। ওরসে শিন্নীর হাড়ি একটু ফাঁকা পেলেই শিশুরা তো বটেই এমন কি বড় মানুষ রা ও বাসনে করে যে যত টুকু পারে শিন্নী নিয়ে দৌড় দেয়।
পলি বড় লক্ষি মেয়ে , পলিকে জহিরের বড় ভাল লাগে। পলির নাম মুলত ফুলি, জহির তাকে পলি বলে ডাকে। আগে রাগ করলে ও পলি এখন আর রাগ করে না। জহিরের বাবা তার মাকে যেদিন পেটায়, সে পলির কাছে আসে। পলি বুঝতে পেরে বলে, “ মন খারাপ করিস না জহির... খিয়াল কইরা দেক, তোর বাপে যেদিন ভাল টেকা কামায় সেদিন মাছ- টাচ নিয়া তগ লগে কত আমোদ করে খায়। “ জহির চোখ টা বুজতেই দেখতে পায়, তার বাবা হাসি মুখে কত গুলো কই মাছ নিয়ে এসে তাদের ডাকাডাকি করছে, “ কই গো জহিরের মা...???? ওই হারামজাদারা তোরা কই গেলি??? দেখে যা... “ সেই দিন হারামজাদা ডাক টাকে পৃথিবীর সবচেয়ে মায়া ময় ডাক মনে হয় তার, যেন স্বর্গ থেকে ভেসে আসা কোন দরদ ভরা গান। কিন্তু সেই কণ্ঠ টা মাঝে মাঝে নরকের জমের মত হয়ে যায় কিভাবে জহির তা কখইনই বুঝতে পারে না। হয়ত পলি বোঝে। এজন্যই পলির বাবা পলির মাকে মারলে পলি কখনই কিছু বলে না।
“ এ পুলি।। তোর বাপেরে ক চকি সারাইতে। সারা রাতের ক্যাঁক ক্যাঁক শব্দ তো সব ঘরের চকি লড়াবার সিগন্যাল হয়া গেছেরে...। হেহেহে ’’ একটা বাজে শব্দের হাসিতে জহিরের চিন্তা গুলো হারিয়ে গিয়ে যায়। চোখ খুলে জসিমের ঠোঁটে মুখে মাখান হাসি দেখে হাসির বিচ্ছিরি শব্দ টা যেন ম্লান হয়ে যায়। জহির ভাবে এ মাকাল ফলের উল্টো হয়ে যায়ই না। মুহূর্তেই পলি কে করা জসিমের বাজে রসিকতা টা মনে পড়ে জহিরের। পলি কে জসিম পুলি ডাকে জহিরের দেয়া পলি নামকে খোঁচা দিতে। পুরো ব্যাপারটায় জহিরের অন্তরের আগুনে মুখ টুকুর আদ্রতা পুড়ে দৃঢ় হয়ে শক্ত হউয়ার পরিবর্তে যেন ফেটে যায়। এ ফাটল চোখে দেখা না গেলেও পলি বুঝতে পারে। জসিমের এমন ধরনের রসিকতা তার গা হউয়া হয়ে গেলেও সে দেখেছে, জহির কখনও পলির প্রতি জসিমের রসিকতা কে সহজভাবে নেয় না। কিন্তু জসিম কে প্রচণ্ড ভয় পায় জহির। পলিদের সামনের ঘরটায় মা ছেলে মিলে থাকে জসীমরা। বাবা আছে তবে এখানে আর আসে না। নাম করিম মোল্লা, তিন চার টা বিয়ে করেছে সে। আগে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বউদের বাড়ি গিয়ে থাকত। কাজের কাজ বলতে বউদের মারধোর করে কিছু টাকা নেয়া, মদ খাওয়া আর বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন বউ দের শরীরের চাহিদা পুরনের বৃথা চেষ্টা করা – এইত । চার পাঁচ বছর আগে পলিদের বস্তিতে কি ভারসিট না টাড়সিটের কয়েকজন ছাত্র এসে মন্তু মিয়ার টং ঘরের পাশের ক্লাব ঘর টাতে একটা স্কুল খুলেছিল। ক্লাব বলতে কিছুই ছিল না। স্কুল খোলার দিন খয়ের হাজী এসে সাংবাদিক দিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠার ছবি তুলে নিয়ে গেছে, পরদিন পেপারে বড় করে খবর এসেছিল, বস্তির শিশুদের জন্য অবেবহিত ক্লাব ঘরকে খয়ের হাজীর সহযোগিতায় স্কুল ঘরে রূপান্তর। হাজী বস্তির সবাইকে বলেছে, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। বস্তির সব বাচ্চাকে বাধ্যতামূলক ভাবে স্কুলে পাঠাতে হবে। মতলব বাজ হাজীর কথায় দ্বিধা হলে ও বস্তির সবাই তাদের বাচ্চাকে ভয়ে স্কুলে পাঠাত। জসিম, জহির, পলি সহ ছয়- থেকে নয় বছরের বস্তির সব বাচ্চাই স্কুলে যেত। মজার ব্যাপার স্কুলে প্রতিদিন বাচ্চাদের পাউরুটি বা কেক দেয়া হত, তাই বস্তির প্রত্যেকটি বাচ্চা আগ্রহ নিয়ে স্কুলে যেত। আর স্কুলের স্যার এরাও অনেক মজার মজার গল্প বলত। প্রায় প্রত্যেকটি বাচ্চাই স্কুলের ভক্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রতিদিন স্কুলের বাচ্চাদের জন্য জুম্মনের লোক টিফিন দিয়ে যেত। সে সময় জসিম কে স্যার এরা একটু বেশি পছন্দ করত। ক্লাসে সব সময় একে ওকে খোঁচা খুচি করলে ও যে কোন কবিতা জসিম এক দুই বার শুনেই মুখস্থ বলতে পারত। যে কোন অঙ্ক একবারেই বুঝে ফেলত। ক্লাসের বাচ্চারাও জসিমের প্রতিভায় মুগ্ধ ছিল। তাদের মদ্ধে বেশি মুগ্ধ ছিল মনে হয় পলি। সপ্তাহ দুই পর একদিন স্কুল থেকে বাড়ি মাতাল বাবা কে দেখে তার মাকে পেটাতে। ছোট্ট জসিমের চোখ হাত পায়ে মায়ের কান্নাকাটি এক নেশা ধরিয়ে দেয়। ঝিম মেরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে যেন কি হয়ে যায় জসিমের। দরজার পাশে রাখা বটিটা নিয়ে বাবার হাতে একটা কোপ দেয়। মাটির ধূসর মেঝে টা লাল এর সাথে মিশে নিমিষেই খয়েরি বর্ণ ধারন করে সাথে জসিমের বাবার চিৎকারে ঘর টা কে গরম তেলের কড়াইয়ের মত মনে হয় জসিমের। ঘটনার দ্রুততায় জসিমের মা বাকশূন্য হয়ে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বস্তির লোকজনের জটলায় জসিমদের ঘর যেন গুরুত্বপূর্ণ একটা স্থান হয়ে যায়, আর জসিম কোন গুরুত্ত পূর্ণ বেক্তি। কয়েকজন ধরে করিম কে হাসপাতালে নিয়ে যায়, কারন মাতাল করিম ইতিমধ্যেই নিজের রক্ত দেখে অজ্ঞান হয়ে গেছে। আর বাকি লোক জন জসিমের মা আর জসিম কে শয়তান, বেজন্মা, নিমকহারাম বলে গালাগালি করতে লাগল। জসিম ঘরের ভিতরে মায়ের আচল ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল। যদি ও পুলিশ কেস, সালিস কিছুই হয় নি। তবে এর পর করিম জসিমদের বাড়ি আসা ছেড়ে দিল, আর জসিম স্কুল। বস্তিতে এ ঘটনার গুঞ্জন কিছু দিন থাকল। স্কুলেও ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখে চলল এ ঘটনা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ। শুধু পলি এ নিয়ে কারও সাথে কিছু বলত না। বরং কেন যেন জসিমের প্রতি ভাল লাগা টা পলির বেড়ে যায়। যে ছেলে মায়ের জন্য বাবা কে মারতে পারে, তার অন্তত ভালবাসা, সাহস, শক্তি কোনটারই কমতি নেই। চোখ আর হাসি ও যেন এক মায়ার পিদিমের মত, যা থেকে মায়া বের হয়ে ঠিকরে বের হয়ে আশপাশের সবার মন ভিজিয়ে দেয়। ছোট্ট পলি এত গুছিয়ে না বুঝলে ও স্কুলেই সে জসিমের প্রতি এক অদ্ভুত আকর্ষণ অনুভব করত। জসিম স্কুল ছেড়ে দিলে তার স্কুলে জেতে খুব কষ্ট হত। মনে হত স্কুল টা যদি ভেঙ্গে যেত। ছোট্ট পলির ইচ্ছা টা কেও শুনেছিল কিনা তা বোঝা যায় না। মাস দেড়েক পরে জুম্মনের লোক স্কুলের টিফিন নিয়ে আসা বন্ধ করে দিল। স্কুলের স্যার এরা তবু ও কম দামি টোষ্ট বিস্কিট দিয়ে বাচ্চাদের টিফিন দিত। স্যার দের সেই বিষণ্ণ মুখের চিন্তার রেখা গুলো তখন না বুঝলে ও পলি এখন বোঝে যে স্যার এরা নিজের টাকা দিয়ে টিফিন খরচ চালানোর চেষ্টা করেছিল মুলত হাজীর টিফিন বন্ধ করে দেয়ার পর। কিছু দিন চললে ও হঠাৎ কয়েক জন পুলিশ নিয়ে ঝকঝকা তকতকা সার্ট প্যান্ট পড়া কয়েকজন সাহেব এসে বলে, স্কুল এর জন্য নাকি সরকারের অনুমতি নেয়া হয় নি, তাছাড়া সরকারি জায়গায় স্কুল- তাই আর চলবে না, বন্ধ। সেদিন হাজী সাহেব ও আসে নি, কোন সাংবাদিক ও আসে নি। পলি তখন ভেবে পায় নি, খয়ের হাজীর জমিতে স্কুল করার জন্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে কেন? সরকার কোন এলাকার তাও সে জানত না। এত দিন পর যখন স্কুলের কথা মনে হয়, পলি শুধু এটুকুই ভাবে কেনই বা হাজী বস্তিতে স্কুল খুলেছিল, কেনই বা বন্ধ হলে কিছু বলেনি। স্কুলের স্রিতি টুকু মলিন হয়ে গেলে ও জসিমের প্রতি সেই ছোট বেলার ভাল লাগা পুষ্ট বিজের স্বর্ণ লতার মত তার মন কে আস্রয় করে আকারে ও রঙ্গে সমান তালে বিচিত্রময় হয়ে উঠেছে। তাই আজ ও জসিমের কুৎসিত কথার রসিকতা গুলো সেই ভাল লাগার কাছে হার মানে। জহির এসবের কিছু জানে না, আন্দাজ করার মত ও বুদ্ধিমান না। সে শুধু জানে পলিকে তার ভাল লাগে। এই সদ্য কৈশোরে পড়া তিনটি মনের অনুভুতি গুলো দীর্ঘ দিন একে ওপরের অজানা থেকে যায়।
ব্লগে দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গেল। এই দীর্ঘ সময়ে শিখেছি অনেক কিছু, পেয়েছি কিছু অসাধারণ মানুষের সহচার্য। কিছু দিতে না পারলে ও পাওনার পাল্লাটা আমার অনেক ভারী ই হয়েছে। অবশ্য দেয়ার মত কিছুই নেই নিতেই তো এসেছিলাম।
উৎসর্গ ঃ আমার প্রথম পোস্টের প্রথম কমেনটার প্রিয় কুনোব্যাঙ ভাই কে এবং ব্লগে আমার অন্যতম উৎসাহ দাতা প্রিয় আমিনুর রাহমান ভাই কে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০২