আসুন আজ আমরা ইসলামের আলোকে একটি আর্দশ মুসলিম রাষ্ট্র কল্পনা করি। রাষ্ট্রপ্রধান একজন খলিফা। তিনি রসুল সাঃ এর অনুসারী। পবিত্র কোরান শরীফ রাষ্ট্রের সংবিধান। তাই এখানে অন্যকোন মত, দল বা রাজনৈতিকমত পার্থক্যের কোন সুযোগ নাই। অনেকটা বঙ্গবন্ধুর বাকশালের মত একটি শাসন ব্যাবস্থা। বাকশালে নির্বাচনের একটা বিধান থাকলেও ইসলামি রাষ্ট্রে এই্ প্রথা রাখার সুযোগ নেই। সয়ং আল্লাহ যাকে যোগ্য ভাবিবেন তিনিই রাষ্ট্রের খলিফা নির্বাচিত হইবেন। খলিফা নিজেও স্বপ্নে আদিষ্ট হইয়া খলিফা র্নিবাচিত হইতে পারেন অথবা তার অনুসারীরাও সেই স্বপ্নটি দেখিয়া তাহাকে খলিফা নির্বাচিত করিতে পারেন। কোরান ও সুন্নার আলোকে দেশটা পরিচালিত হইবে।
এই মুসলিম রাষ্ট্রে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদৌও কোন প্রয়োজন নাই। থাকবে ইসলামী শিক্ষা ব্যাবস্থা। প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে কায়দা, মাধ্যামিক স্তরে আম পাড়া ও উচ্চতর শিক্ষায় কোরান শিক্ষার ব্যাবস্থা থাকিবে। কোরানে হাফেজ কোরানশরীফের ব্যাখ্যা বা তফশির সমুহ উচ্চতর শিক্ষায় পাড়ানো হইবে। মুসলিম গবেষকরা উচ্চতর ক্ষেত্রে কোরানশরীফের নানারকম গবেষনায় নিযুক্ত থাকিবেন কারন কোরান শরীফই সমস্ত শিক্ষার উৎসস্থল। হাসপাতালগুলি মসজিদের তত্ববধানে পরিচালিত হইবে। আয়ুবর্দিয় চিকিৎসা শাস্রের গাছ গাছরার, শিকর বাকর, পাতা, ফল ও্ পানি পড়াই একমাত্র বৈধ চিকিৎশা বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে।
আজকের বাস্তবতায় আজ যা কিছু বিজ্ঞানের কল্যানে মানুষ ব্যাবহার করিতেছে বা যে সকল বৈজ্ঞানিক সুবিধা সমুহ ব্যাবহার করিয়া আসিতেছে তা মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য জায়েজ, কেননা এই সব কিছুই আল্লাহ সাড়ে ১৪০০ বছর আগেই কোরানের মাধ্যমে রসুল সাঃ কে অবগত করাইয়া ছিলেন। শুধুমাত্র ব্যাবহারের দিকটা কোরান ও সুন্নার আলোয় আলোকিত করিয়া নিলেই চলিবে। বিজ্ঞান শিক্ষা নিষিদ্ধ থাকিবে কেননা বিজ্ঞান মহান আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করিবার সাহস যোগাইতে পারে।
যেহেতু ইহা একটি আর্দশ মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে নারী শিক্ষার অবকাশ নাই। নৃত্যকলা, গান বাজনা ও অভিনয় শিল্প সম্পুর্ন নিশিদ্ধ। নারী গৃহকর্ম পরিচালনা, সন্তান প্রসব ও তাদের দেখভালের দায়িত্ব পলন করিবেন। এটা ছাড়া নারী আর কোন র্পাথিব কাজে অংশগ্রহন করিতে পারিবে না। হত দরিদ্র নারীরা আবস্থাপন্ন আলেম, ওলেমা বা মাশায়েখদের বাসায় পয়সার বিনিময়ে গৃহকর্মে অংশগ্রহন করিতে পারিবেন। যাহাতে দাসী ব্যাবহারে জ্ঞানী ও মানি লোকের কোন অসুবিধা না থাকে।
বেতার, টিভি ও রাষ্ট্রিও চ্যানেল সমুহ শুধুমাত্র খবর, টক শো ও খলিফার গুনকৃর্তনে সদা সর্বদা নিয়জিত থাকিবে। মানুষের আত্মিক উন্নতির জন্য রেডিও টিভিতে কবরের আযাব ও বেহেস্তের সুখের বয়ান সিরিয়াল আকারে প্রচার বাধ্যতামুলক। ইহাই হইল প্রকৃত অর্থে একটি মুসলিম রাষ্ট্রের চিত্রকল্প। যা বাস্তবে সম্ভব কি না তা আপনারাই বিবেচনা করবেন।