ধর্মে পালনের দিন শেষ। ধর্ম হাড়িয়েছে তার প্রয়োজনিয়তা। কল্যান মানুষের প্রকৃত কর্ম এটা মানুষ দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছে। মানুষের বাচবার জন্য সমঅধিকারের প্রশ্ন তোলাটা অবান্তর। সমঅধিকার নিস্চিত করা সম্ভব নয়। প্রকৃতি পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে রেখেছে তার অসমতার উদাহরন। কোথাও গরম তো কোথাও ঠান্ডা কোথাও আবার মানুষের বসবাসের যোগ্য আবাহাওয়াও নেই। তাই নুনতম অধিকার নিশ্চিত করাটাই হোক সর্বন্তরের সিদ্ধান্ত। জন্মের পুর্বে কোথায় ছিলাম সেটা যখন বলতে পারছি না তো মৃত্যুর পর কি হবে তা নিয়ে ভাববার অদৌ দরকার আছে কি? ভালো কাজের ফল ভালো হতে বাধ্য। আর খারাপ কাজতো মানুষ করতেই পারে না। ধর্ম শিখিয়েছে মুনুষ্যত্বের
অবয়ব কিভাবে র্নিমাণ করতে হয়। এটা কমবেশী সব মানুষই জানে। এখন শুধু এটা চর্চা করাটাই মানুষের একমাত্র কাজ।
ধর্মের দিন শেষ। বিধাতার নাম ও নিশানা কি তাহলে মিটিয়ে দিতে হবে, না বিধাতা যেই হন না কেন তিনি যে মানুষ নন সেটা মুনুষকে বুঝতে হবে। শুধু তাকে বুঝবার কৌশলটা একটু বদলাতে হবে। আমরা যেমন পরস্পর পরস্পরকে ভালবাসি ঠিক সেই ভাবে তাকেও ভালবাসতে হবে আমরা তো জানি না তার প্রকৃত অবস্থান কোথায়। ধর্ম অবশ্য সবজান্তা। জাহান্নামের আগুন, জান্নাত, কবরের আযাব সবই পার্থিব মানুষের ভযঙ্কর সৃষ্টি। খানে দাজ্জাল, ঈমাম মেহেদি বা হযরত ঈসা আ: এর প্রত্যাবর্তন সব সব কল্পনাবিলাশী মানুষের কল্পনা বই কিছুই নয়। খানে দজ্জাল অরব্য উপন্যাসে মানায় ইউরোপ বা আমিরিকায় মানায় না। যার কল্পিত ছবি, একচোখ বিশিষ্ট কোকরানো চুল ও বেটেখাটো লাল চামরার আড়ালে থাকবে প্রচুর অলৌকিক শক্তি। লৌকিকতার এই পৃথিবীতে অলৌকিকতার কোন জায়গা নেই। ধর্মিও গল্পগাথায় বলা আছে, ঈমাম মেহেদি তখনি আসবেন যখন মুসলমানরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরবে। বাজে কথা মুসলমানরা আর কখনো মাথা উচু করে দাড়াতেও পারবে না। সেই শিক্ষা ও চর্চা মুসলিম বিশ্বে নেই বললেই চলে। মুসলমানরা প্রতিনিয়ত বিভক্ত হয়ে একে অন্যকে ধ্বংশ করতে জঙ্গিত্বে নিজেদের সর্মাপন করছেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত আমরাইতো পুরিয়ে ও আগুন দিযে দেড়শর মতো মানুষ হত্যা করেছি। দেশে এখন শুরু হয়েছে জিহাদ সস্তায় বেহেস্ত পাবার কৌশল হিসাবে। ইসলম অর্থ শান্তি হলেও মুসলিম বিশ্বের কোথাও শান্তি নেই। ঈমাম মেহেদি আসার গাজাখোরি গল্পটা ভুলে যাওয়াই মুসলমানদের জন্য উত্তম। আর হযরত ঈশা আ: এর প্রত্যাবর্তন অসম্ভব। মৃত লোক আর কখনো ফিরে আসতে পারেন না।
মানুষ এখন পানির উপর দিয়েও হেটে যাচ্ছে দীর্ঘসমযের চর্চার ফলে। হকিং আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করেও কিন্তু তিনি প্রকৃতিক নিয়মের অংকটি কে মেলাচ্ছেন এখানে এসেই থমকে দাড়িয়ে গিযেছেন। তবে প্রচলিত ধর্মগুলির অর্থবতা বুঝতে তিনি বিন্দুমাত্র ভুল করেননি। ধর্মের প্রয়জনিয়তা ফুড়িয়েছে ঠিকি কিন্তু মানবতা চর্চা কি শুরু হয়েছে না, আজ সেটাই আমাদের শুরু করতে হবে।