ভাই রাখেন আপনার মা দিবস। এই দেশে মা দিবস নামে কোন দিবস টিবস পালনের দরকার নাই। যেই দেশে শতকরা ৯৩ ভাগ মানুষ মুসলমান। যর্থাথই মুসলিম বিশ্বে মা দিবসের তাৎপর্য অর্থহীন। এখানে নারীকে ভোগ্যপন্য হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। মা একটা মেসিনের নাম যার কাজ বাচ্চা উৎপদন ও পুরুষের নানাবিধ অপকর্ম মুখবুজে সহ্য করে নেয়া। নারী অধিকারের কথা বলা হলে এখানে ধর্ম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ধর্মের চাইতে কি নারী বড়, মা বড়। সুরা নিশায় পরিস্কার ভাবে নারীর প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে এর বাইরে মুসলমানদের যাবার যে, কোন উপায় নেই। এর বাইরে যাওয়া মানে আল্লাহ তায়ালার বিধিবিধানের পুর্ন লংঘন। নারী অধিকার নিশ্চিত করলে আল্লাহ সম্ভবত ব্যাজার হবে। এই বিশ্বাস যেই দেশের বেশীর ভাগ মানুষ মনে লালন করে সেই দেশে মা দিবস নিয়ে হুজ্জুতির কোন মানে হয় না। বরঞ্চ বাবা দিবস বা আল্লামা শফি দিবস অথবা গর্বিত সোনা দিবস পালন করা যেতে পারে। এইটাতে কোন বাধা নাই। নারী সৃষ্টির মুল লক্ষ ছিল পুরুষকে আনন্দদান ও যেকোন উপায়ে পুরুষকে খুশি করা। নারী একটি শশ্যক্ষেত্র পুরুষ সেখানে তার মন মতো বিচরন করবে এটাইতো প্রকৃত অর্থে আমরা জেনে এসেছি। এর বর্তায় ঘটলে যে পুরুষের অধিকার সংকুচিত হয়ে পরবে। অধিকার সচেতন পুরুষরা তাই অতীব ধার্মিক। ইনিয়ে বিনিয়ে দামড়া দামড়া পুরুষগুলান মায়ের জন্য যখন কষ্ট পায়, তখন মনে হয় মাকে কবর থেকে তুলে এনে পুজা দেই। মায়ের পায়ের তলে সন্তানের বেহেস্ত এই গল্পগুলি কোন গর্ধব যে লিখেছিল। সেটা ভেবেই আমি আর্শ্চায্য হই। পতিতাও কারো না কারো মা তাই বলে কি পতিতাকেও মা এর অধিকার দিতে হবে। আমার কাছে তো মনে হয় নারী মাত্রই পতিতা। একমাত্র মাই বলতে পাড়েন তার সন্তানের প্রকৃত পরিচয়। বাবাতো বাটারফ্লাই বাবার কোন দোষ নেই। সব দোষ ঐ নারীজাতীর। পুরুষের আলোচনায় নারী যতটা উপাদেয় সেখানে মাকে কি অপমানিত করা হচ্ছে না।
সমস্ত নারীজাতীকে সম্মান করতে পারলেই তো মাকে সম্মান করা হবে। নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই, মাকে সম্মান করা হয়। এই কথাটা এই ধর্মিও তেতুল হুজুরদের বোঝাবে কে? আর সাইদী হুজুরের মতো যারা লম্বা আর ঘেরের বর্ননা দিতে অভ্যস্ত হয় তারা মুসলমান নয়তো তারা অমানুষ। আমি এমন তর মুসলানদের ঘেন্না করি।