ছোট বেলার মুহূর্মুহু সময় ...
আব্বুর হাতটি ধরে হাটি হাটি পা পা
করে ঘুরে বেড়ানো।
ভয়ের সময়ে কোলেতে চোখ বুজে
সাহসী হওয়ার ভান করা।
সব কাজে কৌতুহলে পাশে থাকা,
দাবা খেলার সময় ..
গুটি গুলোর দিকে তাকিয়ে
আব্বু খেয়ে চেক দাও! খেয়ে চেক দাও।
দক্ষ দাবারু হওয়ার তীব্র বাসনা,
আব্বুর চোখের আনন্দ;
আমার প্রিয় ক্ষন।
বুঝলাম বড় হয়েছি..যেদিন
হারিয়ে দিলাম তাঁকে দাবার কোটে।
আজ আমি অনেক বড় হয়েছি,
আকাশের মত বড়,
আব্বুকে কষ্ট দিয়ে বেড়ে উঠেছি।
ভালবাসার বদলে দিয়েছি চোখের জল,
তবুও মাথায় হাতটি রেখে বলেছিলেন,
শশুড় বাড়িতে ভাল থাকিস।
রাগী মেয়েটিকে রাগ না করার অনুরোধ
জানাতে একবারও ভুলে যাননি।
আকাশের মত শূধুই বড় হয়ে যাওয়া।
এই আমি তাকে দুঃখী করে,
ভেঙ্গে পরে,...
আবারও হাটতে ভুলে গেলাম।
সব কষ্ট ভুলে আবারও ছুটে এসে,
নতুন করে হাটতে শিখিয়েছেন,
যখন পৃথিবীতে বইছিল
শুধুই বদ্ধ বিষাক্ত বাতাস।
যখন আঁধারের তীব্রতা স্পর্শ করে,
ভয়ে চিৎকার করে উঠি,
দূরে বা কাছে যেখানেই থাকে
গভীর রাতেও জেগে থাকেন তিনি।
আমার সমস্ত ভালবাসা এক করে
তার ঋণ পূরণের ঐদ্ধত্য আমি
করতে পারিনা।
আমার প্রভূর কাছে চোখের জল ফেলে ফেলে,
তারই জন্য নিঃশ্বসের প্রতিটি চলাচলে আমি
শুধু দোআ করি।
উৎসর্গঃ আমার আব্বুকে। তাকে আমি বুঝিয়ে কোনদিন বলিনি, তাকে কত ভালবাসি আর শ্রদ্ধা করি। তার জন্য সবাই দোআ করবেন।বাবা দিবসের শুভেচ্ছা পৃথিবীর সব বাবাকে।
তানিয়া হাসান খান
সময়ঃ৯:০৫ মি.
তারিখঃ১৬/৬/২০১৩ইং