জনৈক ব্লগার কে নিয়ে যাওয়া হল মানসিক ডাক্তারের কাছে ।
মানসিক ডাক্তার: কি সমস্যা রোগীর?
রোগীর আত্মীয়: কতিপয় দুষ্ট ছেলে ওরে অপনা করছে, তারপর থেকেই এই অবস্থা। রাইতে কান্দে। দিনে হাসে । আর পরিচিত মানুষ দেখলে বয়ান দেয়।
মানসিক ডাক্তার: এরকম কেন....
রোগীর আত্মীয়: আমিও বুঝলাম না, সামান্য মাইর খাইয়া এই রকম বিপর্যয় । এমনি তে ওর আবার লজ্জ্বা শরম কম..... এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি কমাইতে গিয়া একটা বক্তৃতা দিতে যাই প্যান্ট ভিজায় দিছিলো। অবশ্য পড়ে বলছে বৃষ্টি তে ভিজছে ....
মানসিক ডাক্তার: (রোগি কে ) আপনি বসুন।
রোগীর আত্মীয়: রোগী বসে না.....
মানসিক ডাক্তার: পাইলস আছে নাকি ?
রোগীর আত্মীয়: কি বলবো শরমিন্দার কথা, লোকটা বাশের ওপর আছে। ভার্চুয়াল এবং রিয়েল দুই দিকেই সমানে বাশ খাইতেছে। বসলেই চিৎকার করে ওঠে " আচাছা বাশ, আচাছা বাশ"
মানসিক ডাক্তার: (রোগীকে) আপনার নাম কি ?
রোগী: আমি আমি আমি আমি....
মানসিক ডাক্তার: রোগী তো দেখি তোতলামী ও করে.....
রোগীর আত্মীয়: জ্বী না স্যার, নিজেরে হ্যাডা ভাবতো ছোটকাল থেকে, তাই আমি আমি ভাব টা গিরায় গিরায়....
মানসিক ডাক্তার: রোগী তো থার্ড স্টেজে.... এরকম করলে প্রোবলেমে পড়বে...
রোগীর আত্মীয়: পড়ছিলো তো, ডিবি অফিসে যাইয়া "আমি আমি: যেই না কইছে, তারপরই দিছে গিরায় বাড়ি ।
মানসিক ডাক্তার: আপনি কি করেন ?
রোগী: আমি বিশিষ্ট লেখক। বাংলা ব্লগে নাস্তার পথিকৃৎ ।
মানসিক ডাক্তার: নাস্তা ? আপনে কি কেকা ফেরদৌসীর রিলেটিভ নাকি ?
রোগির আত্মীয়: না স্যার, চাপার ওপর ঘুষি খাইছে, নাস্তিক কইতে যাইয়া নাস্তা কইছে ।
রোগী: আমি ক্ষুরধার লেখায় সামাজিক সকল বাধা কে চুরমার করে দেই, আমার শানিত লেখা এতটাই প্রচন্ড যে মাঝে মধ্যে আমি নিজেও বুঝি না কি লিখছি।
রোগীর আত্মীয়: হ, তার লেখা পড়লে পাঠক মনে মনে কয় - " কেমনে কি ?" আর তার লেগের নাস্তিক রা কয় " আবাল কুনখানের"
মানসিক ডাক্তার: নামাজ টামাজ পড়েন ?
রোগী: আমি আল্লাহ ।
মানসিক ডাক্তার: নাউজুবিল্লাহ, এর অবস্থা তো খুবই করুন । মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভুগতেছে ।
রোগীর আত্মীয় : তার সব মাল্টিপল স্যার । মাল্টিপল নিক, মাল্টিপল ই-মেইল, মাল্টিলপল জেন্ডার.....
মানসিক ডাক্তার: চোখের চাউনী দেইখাই তা আন্তাজ করছি...... তো বস কই থাকেন ?
রোগী: (চিৎকার করে) আমি শাহবাগ থাকি না, আমি শাহবাগ থাকি না।
মানসিক ডাক্তার: শাহবাগ আইলো কেমনে ?
রোগীর আত্মীয় : শাহবাগে হালকা মাইর খাইছিলো । এখন ওই জায়গার নাম হুনলেই পাছা ডলে আর চিল্লায় ।
মানসিক ডাক্তার:
শক্ত চোপাড় খাওয়ার ফলে আপনের মানসিক একটু সমস্যা দেখা দিছে। ব্যাপার না।ঘুমের ঔষুধ দিলাম, তাইলে আর রাইত জাইগা ওইগুলা লিখবো না । আর পশ্চাৎ দেশের ব্যাথার জন্য ক্রিম দিলাম। শাহবাগ এলাকা টা এভয়েড করবেন, পুরানা সৃত্মি ব্যাক করতে পারে । আর কাউন্সিলিং এর জন্য দেওয়ানবিগী হুজুরের খানকায় সপ্তাহে তিনদিন যাবেন । হুজুরের পা টিপবেন ।
আর বাল ছাল লেখা অফফ করেন, যেই মাইর খাইছনে, আমগো এলাকার মদন চোরাও তো এত মাইর খায় নাই ।
বি:দ্র: সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক । বাস্তবে কারো সাথে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয়