somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেমের বয়সকাল

০২ রা জুন, ২০০৯ রাত ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রেমের বয়সকাল



মাঝে মাঝে মিস্‌ডকল। হঠাৎ হঠাৎ কথা। ‘চিত্তে’ দোলা লাগে।


নিয়মিত মিস্‌ডকল। মাঝে মাঝে কথা। কী যেন বলতে চায়। বুঝি,
আবার বুঝিও না। উৎফুল্লতায় উড়তে থাকি।


‘তোকে ভালোবাসি’- বহুদিন বলতে বলতে আমিও তাকে একদিন বলে ফেলি।


রাতদিন কথা হয়।
আধঘণ্টা পর পর মিস্‌ডকল।
২০ মিনিট পর পর মিস্‌ডকল।
১০ মিনিট পর পর মিস্‌ডকল।
খুব ঘন ঘন মিস্‌ডকল।
মোবাইলস্ক্রিনে সারাসময় আমার দু চোখ চুম্বকের মতো আটকে থাকে।
মিস্‌ডকল দেরি হলেই কুরুক্ষেত্র।
একেকটা মিস্‌ডকল একেকটা সুইট কিসের মতো।


রাতদিন কথা হয়।
‘ওয়েটিং’ পেলে মাথায় খুন চাপে তার। সে ছাড়া আর কারো সাথে আমার কোনো যোগাযোগ ঘটতে নেই মোবাইলে- যদি সে নারী হয়, এই তার ভয়।

তাকে ওয়েটিংয়ে রেখে ইচ্ছেমতো অহেতুক দীর্ঘ কথা বলি পরমানুষের সাথে- তার অগ্নিবর্ষ ভর্ৎসনা আমার ভালো লাগে- নেশার মতো।


আমিও কি মিস্‌ডকল দিতে পারি না? খুব ঘন ঘন? ১০ মিনিট পর পর? ২০ মিনিট
পর পর? আধঘণ্টা পর পর? নিদেনপক্ষে একদিনে একটা, কিংবা সপ্তাহে?

আমি মিস্‌ডকল দিতে পারি না। পেতে ভালোবাসি যদিও, দেয়াটা খুব ছেলেমানুষি মনে হয়। এটা কি স্বার্থপরতা? অথবা অহমিকা?


মাঝে মাঝে কল করি। মিস্‌ডকল দিই। সুখে সুখে সে ভেসে যায়।


অহনার মোবাইল ‘ওয়েটিংয়ে’ ছিল।

আমি পুনর্বার কল করি, মিনিট পাঁচেক পর। ওয়েটিংয়ের কল কেটে দিয়ে আমার কল রিসিভ হয় না।
আমি অবাক হতে পারতাম, কষ্টও পেতে পারতাম। কিংবা কুরুক্ষেত্র।
আমি কল করি। করতেই থাকি।
আর ভাসমান ওয়েটিংয়ে অহনার আস্পর্ধার সীমারেখা খুঁজি।

আমি এতোবার তাকে কল করি না। কখনো না। ঔৎসুক্যের কারণে অগুনতি বার করি। অহনা অনবরত আমাকে ওয়েটিংয়ে রাখে। ও জানে না... কী সে করছে...

ঘণ্টাদুয়েক পর তার ওয়েটিং ভাঙে।
‘কিরে... আমারে ওয়েটিংয়ে রাখলি যে... তোর খুব সাহস, না?...’


অহনা কী যেন বলতে চায়।
দিনরাত কল করে। অবশ্য কোনো মিস্‌ডকল না। সিরিয়াসলি, পাগলের মতো কল করে। কী যেন বলতে চায়। ভূরি ভূরি এসএমএস। পাগলের মতো হয়ে গেছে।
অহনাকে কষ্ট দিতে আমার কষ্ট লাগে... সে জানে না কী সে করেছে।

১০
সিম বদল করেছি। ১ বছর।
অহনা কি এখনও আমাকে খোঁজে পুরনো মরা নাম্বারে?

০২ জুন ২০০৯
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×