১
অহনার কালে এক উর্বশী নারী
ইশারায় ছুঁয়েছিল ভুবন বিথারি
সবচেয়ে বড় তার দেখিয়াছি গুণ
রূপের আগুন ভরা চিকন উনুন
আমি তার প্রেম চাই, চাই ভালোবাসা
বিনিময়ে ঝাড়িঝুড়ি খাই বেশ খাসা
শেষমেষ বুঝে গেছি ঢের
প্রেমদাস আমি তার অমোঘ রূপের
২
সে মেয়ের দেখেন যদি ঝাঁজ
মনে হবে সম্রাজ্ঞী মমতাজ
৩
এ জন্মে তো পাপ করি নি, আগের জন্মে করেছিলাম?
তাই এ জন্মে অলক্ষুণে অনাঘ্রাত পুরুষ হলাম!
৪
পুরুষবন্ধুরা, করে দিও ক্ষমা
পরজন্মে হতে চাই সুন্দরীতমা
৫
‘মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে’ ফেলে চরণ
নিয়েছেন নারীর শরণ
আমি ক্ষুদ্র চারণ কবি সাধ্য কি ব্যত্যয় করি
না করে পূজোয় বরণ!
৬
নারী নয় নিষিদ্ধ গন্দম
নারীতেই নরেরা উত্তম।
৭
অফিস না থাকলে বাসায় দিনভর পিসির সামনে বসে কী করি? বউ পাশে এসে বসামাত্র ম্যাজিক দেখাই...এই নাও, তোমাকে নিয়ে কবিতা। নেপোলিয়নও তোষামোদি অপছন্দ করতেন না। আর আমার পার্শ্ববর্তিনী বউ? লোহা গলে পানি। চোখরাঙানি উধাও, পেয়ে যাই অনেক আদর ফাও।
উপসংহার
আর কোনও বিত্তভাবনা নেই। একটাই আন্তরিক প্রার্থনা
আর জন্মে আমার বিধাতা
আমায় বানান আগুন অপ্সরা, ডাগরলোচনা। ঐশ্বরিয়া যেমন
তাহলে আর কীইবা বাকি থাকে, যখন করতলে সমগ্র ভুবন!
১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮