আপনার পোষ্টটা পড়লাম বেশ আরাম করেই। সামুর (কর্তৃপক্ষের) ঘোষিত সেরা ১০ ব্লগার নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। বরং খুশিই। এবং তাঁদের প্রতি আমার শুভকামনা মন থেকেই। যে যে স্থানেই থেকেই যে কৃতিত্বের কারনেই সেরা দশে আসতে সক্ষম হয়েছেন সেটা তাঁদের যোগ্যতা, মেধার জোরেই। এখানেও কিছু পার্থক্য আছে। কেউ রম্যের জন্য, কেউ সাহিত্যের জন্য, কেউ সাংবাদিক না হওয়ার পরও জাহাজী কিংবা কায়রো ভাই যে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য এ স্থানে আসীন হয়েছেন সেখানে কাজটাই প্রাধান্য পেয়েছে। সব দিক বিবেচনায় যাঁদেরকেই কতৃপক্ষ সেরা দশে স্থান দিয়েছেন সেটাতে অযৌক্তিকতার সেরকম কোন অবকাশ নেই। তবে সেখানে অন্য আরো যোগ্যতাসম্পন্ন ব্লগারদের নামযে আসতে পারে সেরকম অনেকের নাম অনেকের মন্তব্যে উঠে এসেছে। যোগ্যতাসম্পন্ন আরো কাউকে স্থান দেয়ার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মনোনীত কারো ব্লগীয় অবস্থান ব্যাখ্যায় কাউকে হেয় করাও ঠিক না। যেটা আপনি কৌশলে করেই ফেলেছেন বিশেষ তিনজন ব্লগারের ক্ষেত্রে। আপনি প্রশ্ন তুলেছেন শায়মা আপুকে রান্নাবান্নার জন্য মনোনীত করা হয়েছে কিনা? আপনি কি এই একটা জিনিসই দেখলেন উনার আজ পর্যন্ত সব পোষ্ট পড়ে? শায়মার ব্যাপারে আপনার মন্তব্যে এটাই মনে হলো যে আপনি উনার কোন পোষ্টই পড়েন নি। শায়মার ব্লগের মূল বৈশিষ্ঠ বৈচিত্রপূর্নতা। সেটাকে শুধু মাত্র গল্প কবিতা বা রান্না দিয়ে টাইপড বানানো যায়না। ব্লগীয় বৈশিষ্ঠের আরও একটি বিশেষ ক্ষমতা উনার আছে সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলা। সদ্ভাব বজায় রাখা। সত্যি কথা বলতে কি এমন বৈশিষ্ঠ আর কোনো ব্লগারের মাঝে আমি দেখিনি। রান্না পোস্টের উদাহরণ দিয়ে একেতো ভুল করেছেন আবার সাথে টেনেছেন আরও দুজন সন্মানিত মহিলা ব্লগারকে। নীল দর্পন বা কিনাদি
দুজনই দুজনের স্থানে স্বমহিমায় মহীয়ান। একজন কিনাদির সাথে যেমন নীলুর তুলনা চলেনা তেমনি একজন নীলুর সাথেও শায়মার চলেনা।
আপনি হামার পার্ফরমেন্স বিচার করেছেন উনার সাথে তুলনা করে। একজন হামা তো হামাই একজন শায়মা শায়মাই। হামার মত উচ্চমার্গীয় রচনা যেমন শায়মা পারবেনা ঠিক তেমনি শায়মার মত একটা খোকাভাই চরিত্র সৃষ্টিও হয়তো হামা পারবেনা। সে যাইহোক এসবই যার যার স্বকীয়তা।
আর তাই থেকেই আমাদের একেকজনের ব্যাক্তিগত ভালোলাগার বা কারো প্রতি দূর্বলতা সৃষ্টি হতেই পারে। সমালোচনাও হতে পারে, তাই বলে কাউকে ছোট করে এমন সমালোচনা মোটেও কাম্য নয়। আমার ধারনা যাদেরকে তুলনায় ফেলেছেন অথচ তারা সেরা দশে আসেনি তারাও আপনার এহেন কাজে বিব্রত! তার প্রমান কিনাদির মন্তব্য।
আরিয়ানার মত একজন নির্ভেজাল ভদ্রমানুষকেও আপনি তুলনা করতে ছাড়েননি। উদাসী বা রাইসুল জুহালা আপনার প্রিয় মানুযদের মত আরও অনেকের অনেক প্রিয় মানুষদের নামই তো তাহলে এইখানে আসবে। অথচ ব্লগ মানেই দিনলিপি। এই দিনলিপি বা ব্লগিং কি তা মনে হয় একমাত্র আরিয়ানাই শিখাতে পারবে আমাদেরকে।
দুর্যোধন আপনারও অন্যান্য অনেকেরই প্রিয় হতে পারে তাই বলে তাকে উর্ধে তুলতে গিয়ে ডিসকো বান্দরকে ছোট করার কোনো অধিকার আপনার নেই।
আপনি লিখেছেন
আমরা সাধারনত নিজের বন্ধুকে বা প্রিয় কাউকে ভুল করলেও ডিফেন্ড করি। এটা ওকে, হিউম্যান নেচার. হয়তো সামুকে ভালোবেসেও কেউ ডিফেন্ড করবে সামুর এই নির্বাচন. তবে এখানে এইটুকু বলেন এই সিলেকশন কি প্রশ্নবিদ্ধ নয়???
এখানে আপনার কার্য্যক্রমও প্রশ্নবিদ্ধ ও সন্দেহজনক। আপনি হয়তো প্ররোচিত হয়েছেন তাঁর মাধ্যমে যে নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে বা যাকে আপনি আকাশে তুলতে চান তারা আপনার বন্ধু প্রিয়জন বা কলিগ।
আপনি নিজেই বলেছেন প্রিয় মানুষ যাইহোক তাকে ডিফেন্ড করে মানুষ।
তাই আপনার অপ্রিয় মানুষগুলোর হয়ে ডিফেন্ড করলাম আমি।
আপনার শেষের কথা গুলো বড় হাস্যকর। সেসব পড়ে আমার ছোটকালে পড়া একখান কথাই মনে পড়েছে। জুতা মেরে গরু দান।ঠিক যেন সে কাজটাই করতে চেয়েছেন আপনি।
সবশেষে বলতে চাই নিজের প্রিয়জনদেরকে ভালোবাসুন দোষের কিছু নয়। তবে অন্যের অনুভুতিকে আঘাত করে নয়। অন্যদের অনুভুতিকেও সন্মান করতে শিখুন। সবখানেই ক্যাচাল করতে ঝাঁপিয়ে পড়ার মাঝে কোনো কৃতিত্ব নেই। হ্যাপি ব্লগিং ব্রো..........